কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নেই : পিটার হাস
আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সমর্থন করে, যেখানে কোনো পক্ষ থেকে সহিংসতা হবে না। আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করি, যেটি বাংলাদেশের জনগণকে আগামী সরকার নির্বাচনের সুযোগ করে দেবে।কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
পিটার হাস বলেন, আমরা বিশ্বাস করি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রত্যেকের ভূমিকা আছে। সরকার, গণমাধ্যম, রাজনৈতিক দল, বিচার বিভাগ, সুশীল সমাজ, নিরাপত্তা বাহিনী- প্রত্যেককে তার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ, অন্যান্য দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। সবাইকে আমি মার্কিন নীতির কথা জানিয়েছি। আওয়ামী লীগসহ সবাইকে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য বলেছি।
এদিকে পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছে মার্কিন প্রশাসন। সেইসঙ্গে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়েও কথা চলছে। এরই অংশ হিসেবে মাঝে মাঝেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন রাষ্ট্রদূত হাস।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১ আগস্ট) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। বৈঠক শেষে তিনি জানান, আগামী অক্টোবরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-পর্যালোচনা (প্রি-অ্যাসেসমেন্ট) দল বাংলাদেশে আসবে। প্রাক পর্যালোচনা নির্বাচনী দলে থাকবে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট এবং ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউটের বিশেষজ্ঞরা। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও প্রস্তুতি নিয়ে যাদের অগাধ অভিজ্ঞতা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরেপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। যাতে বাংলাদেশের জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে।