কোন কারণে রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিলেন ইভাঙ্কা?
ইভাঙ্কা ট্রাম্প তার বাবা ডোনাল্ড ট্রাম্পের দুটি নির্বাচনী প্রচারণার সময় বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। সেই তিনিই কিনা রাজনীতি থেকে সরে গিয়ে পরিবারের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে ওয়াশিংটন ছাড়েন ইভাঙ্কা। এর পরই তিনি তার সন্তানদের বড় করার এবং ব্যক্তিগত জীবনকে প্রাধান্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। তার দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
২০২২ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার তৃতীয় দাফায় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর, ইভাঙ্কা তার রাজনৈতিক পুনরাগমনের কোনো ইচ্ছা নেই বলে স্পষ্ট করেছিলেন। তার এই অবস্থান ২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের পরেও অপরিবর্তিত রয়েছে।
আলোচনা থেকে দূরে
ইভাঙ্কার এই সিদ্ধান্ত তার বাবার প্রথম মেয়াদে হোয়াইট হাউসে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থেকে একটি বড় পরিবর্তনের দিকে ইঙ্গিত দেয়। সেই সময় তিনি নানা সমালোচনা ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন। রাজনীতির অন্ধকার দিকগুলো এবং তীব্র চাপ তাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাবিত করেছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
মায়ামিতে ব্যক্তিগত জীবন
ইভাঙ্কা ও তার স্বামী জ্যারেড কুশনার বর্তমানে মায়ামিতে বসবাস করছেন। সেখানে তারা তুলনামূলক শান্ত জীবনযাপন করছেন। ইভাঙ্কা তার সামাজিক মাধ্যমে পারিবারিক বাগান, সার্ফিং ক্লাস এবং পরিবারের সঙ্গে বোর্ড গেম খেলার মুহূর্তগুলো নিয়মিতই শেয়ার করেন।
তার এই পরিবর্তনের পেছনে একান্ত ব্যক্তিগত কারণও ছিল। তার মধ্যে ২০২২ সালে তার মা ইভানা ট্রাম্পের মৃত্যু অন্যতম। এছাড়া তার স্বামী কুশনারের থাইরয়েড ক্যান্সারের জন্য একাধিক অস্ত্রোপচারের সময় তাকে তার পাশে থাকতে হয়েছে।
জ্যারেড কুশনারের ভূমিকা
জ্যারেড কুশনারও বর্তমানে কোনো আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক ভূমিকা নিচ্ছেন না। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কিত উদ্যোগে পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছেন তিনি।
নতুন অধ্যায়
ইভাঙ্কা এখন তার ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক প্রভাবকে মানবিক কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করছেন। তিনি প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার ও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা, খাদ্য সংকট মোকাবিলা এবং ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছেন।
একই সঙ্গে তিনি তাদের পারিবারিক ব্যবসা রিয়েল এস্টেট প্রকল্পেও ফিরেছেন। সম্প্রতি একটি আলবেনীয় দ্বীপে বিলাসবহুল প্রকল্প নিয়ে কাজ করতে গিয়ে ইভাঙ্কা বলেছেন, পুরনো দক্ষতাগুলোকে নতুন করে ব্যবহার করার সুযোগ পাওয়া সত্যিই আনন্দের।
৪৩ বছর বয়সি ইভাঙ্কা ট্রাম্পের রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে সরে আসা তার জীবনের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। যেখানে পরিবার এবং সমাজসেবার প্রতি তার প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট।