International

ক্ষুধার জ্বালায় শিশুদের কান্না দেখা ‘হৃদয়বিদারক’

গাজার খান ইউনিসে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে একটি শিশু।

গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বানে সাড়া দেয়নি ইসরায়েল। জাতিসংঘেও যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ পরিস্থিতিতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে গাজার বাসিন্দারা। 

গাজার খুব অল্প কিছু জায়গাতেই কেবল মানবিক সহায়তা পৌঁছানো যাচ্ছে এখন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গাজাজুড়ে এখন খাদ্যের তীব্র সংকট। ক্ষুধায় শিশুরা কাঁদছে।

ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি আশ্রয়কেন্দ্রে থাকছেন মুস্তফা আল-নাজ্জার। তিনি আল জাজিরাকে বলেন, ‘আমি ভীষণ ক্ষুধার্ত। আমরা এখন টিনজাত খাবার আর বিস্কুট খেয়ে বেঁচে আছি। যেটুকু খাবার আছে, তা-ও যথেষ্ট নয়।’

প্রাপ্তবয়স্করা ক্ষুধা সহ্য করে নিতে পারলেও, বাচ্চারা তা পারছে না। আল-নাজ্জার বলেন, ‘নিজের ছোট ছোট ছেলেমেয়েকে খিদেয় কাঁদতে দেখাটা ভীষণ হৃদয়বিদারক ও কঠিন অভিজ্ঞতা।’

দুই মাসের বেশি সময় আগে হামাসের হামলার জবাবে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তাদের হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ১৭ হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অবরুদ্ধ গাজায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানীয়ের জন্য ফিলিস্তিনিদের মধ্যে চলছে হাহাকার। ইসরায়েলের আক্রমণ ও অবরোধে মানবেতর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে উপত্যকায়।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button