Bangladesh

খামারবাড়ি ‘দখলে’ রাখতে রাজনৈতিক ডিগবাজি

রাজধানীর ফার্মগেটের খামারবাড়িতে চলছে মতলববাজ কৃষি কর্মকর্তাদের দুর্বৃত্তায়ন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর অনেক কট্টর আওয়ামী লীগ সমর্থক কর্মকর্তা সুর বদলে নতুন পথে হাঁটছেন। কোনো কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী ‘বিএনপি সমর্থক’ সাজার চেষ্টায় মশগুল। আওয়ামী লীগ আমলে যেসব কর্মকর্তা দুর্নীতিতে জড়িয়ে শাস্তি পেয়েছেন, তারাও এখন নিজেকে ‘বঞ্চিত’ দাবি করে আছেন পদ বাগানোর দৌড়ঝাঁপে। কিছু আওয়ামী লীগপন্থি কর্মকর্তা ভালো পদে থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে চাকরি করতে বিএনপিপন্থি কর্মকর্তাকে ‘বিশেষ সুবিধা’ দিয়ে মন জয় করছেন।

এদিকে, এতদিন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) গ্র্যাজুয়েট কর্মকর্তাদের হাতে ছিল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) নিয়ন্ত্রণ, এখন তা শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) গ্র্যাজুয়েট কর্মকর্তাদের কবজায় চলে গেছে। 

এমন দলাদলিতে সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে দানা বেঁধেছে ক্ষোভ ও অসন্তোষ। প্রশাসনিক, গবেষণা এবং মাঠ পর্যায়ের কৃষি কার্যক্রমেও লেগেছে ধাক্কা। 

পদ দখলের লড়াই
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশাসনের উপপরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুর রশিদ। এখন তাঁর হাতেই খামারবাড়ির পদোন্নতি, পদায়নের নাটাই। গত ১৯ আগস্ট এ পদে বসার আগে তিনি নরসিংদীর জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। মাহবুবুর রশিদ ছাত্রজীবনে শেকৃবির ছাত্রদলের সহসভাপতি ছিলেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত উপপরিচালক রেজাউল ইসলাম মুকুল। 

ডিএইর হর্টিকালচার উইংয়ের উদ্যান উন্নয়ন কর্মকর্তা এবিএম শাহ ইমরান দুই বছরের শিক্ষা ছুটিতে আছেন। সরকার পতনের পর খামারবাড়িতে বিএনপিপন্থি কর্মকর্তারা ঐক্যবদ্ধ হন। পদ-পদবি নিয়ে চলছে একের পর এক সভা। সেখানে সামনের সারিতে আছেন শাহ ইমরান। তাঁর সঙ্গে আছেন প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের পরিচালক ড. মো. সাহিনুল ইসলাম, উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের উপপরিচালক হাসান ইমাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি উইংয়ের সাদেকুর রহমানসহ আরও কয়েকজন। মাহবুবুর রশিদের প্রধান সহযোগী মুকুল হলেও তাদের দু’জনের হয়ে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেন দুই নন-ক্যাডার কর্মকর্তা ইমরান ও সাদেক।

ইমরান ও সাদেক ইতোমধ্যে বিএনপিপন্থি হিসেবে নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করেছেন। খামারবাড়ির ৩ নম্বর ভবনের ৫১৮ নম্বর কক্ষ দখলে নিয়েছেন বিএনপিপন্থি হিসেবে পরিচিত এসব কর্মকর্তা। সরকার পতনের পর তারা ডিএইতে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের বঞ্চিত হওয়ার দাবি-দাওয়ার কথা তুলে ধরেছিলেন। ডিএইর পদোন্নতি, নতুন পদায়ন, প্রকল্প পরিচালক নিয়োগসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা বদলের জন্য মন্ত্রণালয়ে তালিকাও পাঠিয়েছেন তারা। সে অনুযায়ী, কিছু কর্মকর্তাকে বদলিও করা হয়েছে। বদলি-পদায়ন নিয়ে এখনও খামারবাড়িতে চলছে অস্থিরতা। গত ১৮ সেপ্টেম্বর উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (বালাইনাশক প্রশাসন) পদে পদায়ন করা হয় হাসিনুর রহমানকে। তিনি ওই পদে যোগ দিতে গেলে বাধার মুখে পড়েন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই দিন বিকেলে তাঁর কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন ওই পদে যেতে ইচ্ছুক কৃষি তথ্য সার্ভিসের রাঙামাটি আঞ্চলিক অফিসে কর্মরত আহসান হাবিব। 

প্রশাসনের উপপরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুর রশিদ বলেন, দীর্ঘদিনের বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ধীরে ধীরে পদায়ন করা হচ্ছে। খামারবাড়িকে সুবিধাভোগী ও দুর্নীতিমুক্ত করতে জোর চেষ্টা চলছে। 

অন্যরকম ‘মুকুল’
কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হিসেবে রেজাউল ইসলাম মুকুল ২০০১ সালে চাকরিতে যোগ দেন। ২০০৭ সালে তিনি বরিশাল অঞ্চলের একটি প্রকল্পের সহকারী পরিচালক ছিলেন। ২০১০ সালে হয়ে যান বৃহত্তর বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলের লবণাক্ত পতিত জমিতে সম্প্রসারণ কর্মসূচির পরিচালক। এর মধ্যে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। বেশ কয়েক বছর পর আবার চাকরিতে ফিরে ‘কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউসে স্থাপিত উদ্ভিদ সংগনিরোধ ল্যাবরেটরিকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল্যাবরেটরিতে রূপান্তর’ প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক পদ পান। সেখানেও নানা অনিয়মের অভিযোগে প্রকল্পের মাঝপথে তাঁকে সরিয়ে পরিকল্পনা, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি উইংয়ের সহকারী প্রধান (পলিসি প্ল্যানিং) করা হয়। এর কয়েক মাস পর গণমাধ্যমে তাঁর অনিয়মের সংবাদের সূত্র ধরে গত বছর হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক করা হয়। সরকার বদলের পর দিন কয়েক আগে তিনি প্রকল্পের ফোকাল পারসন হিসেবে খামারবাড়িতে ফেরেন। 

একসময় তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের কাছাকাছি। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর দুর্নীতিতে অভিযুক্ত এই কর্মকর্তাই ভোল পাল্টে ফেলেছেন। ছাত্রদল করার কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বঞ্চিত হয়েছেন দাবি করে তিনি এখন খামারবাড়িতে সংস্কার, বদলি ও পদায়ন কার্যক্রমের পুরোভাগে উঠে এসে খেলছেন। শুধু তাই নয়, বড় প্রকল্পের পরিচালক হওয়ার জন্যও দৌড়াচ্ছেন। এ ব্যাপারে রেজাউল ইসলাম মুকুল বলেন, আমি আওয়ামী লীগ আমলে বঞ্চিত ও নির্যাতিত ছিলাম। কৃষি মন্ত্রণালয়ে এখনও আওয়ামী লীগের দোসররা বসে আছে। তাই আওয়ামী লীগপন্থি অনেক কর্মকর্তাকে খামারবাড়ি থেকে সরানো যাচ্ছে না।

শাস্তি হয়নি পুরোনো দুর্নীতিবাজদের 
অর্থ ও প্রশাসন উইংয়ের পরিচালক ছিলেন জয়নুল আবেদীন। তিনি সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের এলাকা টাঙ্গাইলে বাড়ি হওয়ার সুবাদে খামারবাড়ির বদলি-পদায়ন নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাঁর নেতৃত্বে এই উইংয়ে গড়ে ওঠে কর্মকর্তা-কর্মচারী সিন্ডিকেট। কথা বললেই জামায়াত-বিএনপির তকমা দিয়ে মেধাবী ও যোগ্য কর্মকর্তাকে শাস্তিমূলক বদলি করেছেন। অবশ্য গত ২ সেপ্টেম্বর জয়নুলকে গাজীপুরের বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সিতে বদলি করা হয়। এই সিন্ডিকেটের মধ্যে ছিলেন এক সময়ের প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের উপপরিচালক (পার্সোনাল) মুহাম্মদ আবদুল হাই, উপপরিচালক (লিগ্যাল ও সাপোর্ট সার্ভিসেস) মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম ও অতিরিক্ত উপপরিচালক (প্রশাসন-১) মোহাম্মদ বনি আমিন। খামারবাড়ির প্রভাবশালী কর্মচারী অর্থ, হিসাব ও নিরীক্ষা শাখার বাজেট অফিসার (সাবেক ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক) মো. তাইজুল ইসলামের নেতৃত্বে কর্মচারীরাও ছিলেন এই সিন্ডিকেটে। যাদের বেশির ভাগের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা হয়েছে। তাদের কেউ কেউ বদলি হলেও তাইজুল ইসলাম, উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের উচ্চমান সহকারী মো. ফারুক হোসেন, সরেজমিন উইংয়ের সার অনু শাখার উচ্চমান সহকারী মো. শেখ ফরিদ, আইসিটি উইংয়ের (প্রেষণে হিসাব শাখা) প্রধান সহকারী মো. মোফাজ্জাল আমিন, প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের হিসাব অনু শাখার অডিটর মো. কামরুল ইসলাম ও আমির হামজা এখনও বহাল তবিয়তে আছেন।

দুর্নীতিবাজ কর্মচারীর মধ্যে প্রশাসন ও অর্থ উইং প্রশাসন-১ শাখার প্রধান সহকারী মো. নাজমুল হুদা ইতোমধ্যে সপরিবারে কানাডা পাড়ি দিয়েছেন। প্রশাসন উইংয়ের কর্মকর্তাদের ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় বদলি করলেও ক্ষমতাধর তাইজুলরা খোলস পাল্টে বিএনপি সেজে খামারবাড়িতে থাকার তদবির করে যাচ্ছেন। কোনো কোনো কর্মকর্তাকে তারা আর্থিক সুবিধা দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এ ছাড়া খামারবাড়ির বিভিন্ন বিভাগের ২৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি দুদকে একটি অভিযোগ জমা পড়ে। তাতে উঠে এসেছে, অনিয়ম-দুর্নীতি করে এসব কর্মকর্তা কীভাবে অঢেল সম্পদ গড়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন তাইজুল ইসলাম, আরমান মিয়া, আব্দুল হান্নান খান, তৈফুর রহমান, এম এম এস আজম সরকার, নাফিসা সরকার, কামরুল ইসলাম, দিদারুল আলম, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, আবুল কলাম আজাদ, ফারুক হোসেন, শেখ ফরিদ, হাবিবুর রহমান, আমান উল্লাহ, মো. লোকমান, মোফাজ্জাল আমিন, আবুবক্কর মাতুব্বার, নাছরিন আক্তার, অলি উল্লাহ প্রধান, সায়েদুর রহমান, মাহিন ইসলাম, রীনা আক্তার, মার্জিনা খান (হ্যাপী), সাইফুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান, হুমায়ুন কবির (লিটন), আবুল কালাম ও আলমগীর হোসেন। দুদকের অভিযোগে বলা হয়, এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী নানা অনিয়ম করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন। তারা নতুন করে সিন্ডিকেট করার মিশনে আছেন। 

বাকৃবি-শেকৃবির ঠোকাঠুকি 
খামারবাড়িতে কর্মকর্তাদের অলিখিত দুটি গ্রুপ। একটি বাকৃবির, অন্যটি শেকৃবির। সেখানকার কর্মকর্তারা জানান, আওয়ামী লীগের শাসনামলে খামারবাড়িতে আধিপত্য বিস্তার করেন বাকৃবির গ্র্যাজুয়েট কর্মকর্তারা। তারা নিজেদের গ্রুপের কর্মকর্তাদের ভালো জায়গায় পদায়ন, বদলি বা প্রকল্পের কর্মকর্তা নিয়োগে প্রভাব রেখেছেন। এ সময় অনেক যোগ্য কর্মকর্তাকে বঞ্চিত করে অযোগ্য ব্যক্তিকে পদায়নের অভিযোগও ওঠে। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাকৃবি গ্রুপের নেতৃত্ব দিতেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। কারণ তিনি ছিলেন বাকৃবির ছাত্র। ফলে তাদের গ্রুপটি ভালো পদায়নসহ সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার ব্যাপারে শীর্ষে ছিল। এসব পদায়নের পেছনে টাকা লেনদেনেরও অভিযোগ রয়েছে। আব্দুর রাজ্জাকের পক্ষে ডিএইর সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান দরপত্র থেকে শুরু করে পদায়ন-বদলির বিষয়ে প্রভাব রাখতেন। হামিদুর রহমান এখনও একটি প্রকল্পে মোটা বেতনে কনসালট্যান্ট হিসেবে চাকরি করছেন। আগের সরকারের দাপুটে কর্মকর্তা তেল জাতীয় ফসল প্রকল্পের কনসালট্যান্ট নজরুল ইসলাম এখনও প্রকল্প পরিচালকদের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছেন। বিভিন্ন প্রকল্পে টেন্ডারবাজিও করেন এই কর্মকর্তা।

অন্যদিকে শেকৃবি গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন সেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। ড. রাজ্জাক কৃষিমন্ত্রী থাকাকালে শেকৃবি থেকে পাস করা কর্মকর্তারা ছিলেন কোণঠাসা। তবে গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হলে আব্দুর রাজ্জাকের জায়গায় প্রভাব বাড়তে থাকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ওয়াহিদা আক্তারের। যিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ সুপারিশে এক বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছিলেন। যদিও এই নিয়োগ বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। জানুয়ারির নির্বাচনের পর আব্দুস শহীদ কৃষিমন্ত্রী হলেও সচিবের মতামতই প্রাধান্য পেত। সাবেক এই সচিব ছাত্র আন্দোলনের সময় কর্মকর্তাদের নিয়ে ছাত্রদের বিপক্ষে মিছিলে নেতৃত্বও দিয়েছিলেন। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর এবার শুরু হয়েছে শেকৃবির গ্র্যাজুয়েট কর্মকর্তাদের দাপট। এতে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন বাকৃবির গ্র্যাজুয়েট কর্মকর্তারা। আবারও শুরু হয়েছে সেই পুরোনো কাদা ছোড়াছুড়ি। দুই গ্রুপের রেষারেষির কারণে কৃষিবিদরা তাদের মেধা ঠিকমতো মেলে ধরতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, কৃষিবিদরা এ দেশের কৃষির প্রাণভোমরা। অথচ তাঁদের মধ্যে চলছে বিভাজন। প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ঘায়েলের চেষ্টা করছে। সবাইকে এক ছাতার নিচে আনতে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
এ ব্যাপারে কথা বলতে মো. আব্দুর রাজ্জাক ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে সমকাল। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দু’জনই আত্মগোপনে থাকায় তাদের মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। 

খামারবাড়ির অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে কৃষি উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, কৃষির বিভিন্ন দপ্তরে শুরুতে কিছুটা অস্থিরতা ছিল, এখন তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। বঞ্চিতদের দাবি-দাওয়া থাকলেও সেটা যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তির সুবিধা পাওয়ার সুযোগ নেই।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
Situs Toto
toto togel
slot toto
Toto slot gacor
bacan4d
totoslotgacor
bacan4d
bacan4d slot gacor
bacan4d login
Bacan4d
bacan4d
bacan4d bonus
Toto gacor
Toto gacor
slot gacor hari ini
bacan4d toto
bacan4d toto
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d link alternatif
slot gacor bett 200
situs toto
SITUS TOTO
toto 4d
toto gacor
Slot Toto
Slot Toto
Slot Toto
Situs toto
Slot toto
Slot Dana
Slot Dana
Judi Bola
Judi Bola
Slot Gacor
toto slot
bacan4d toto
bacan4d akun demo slot
bacantogel
bacan4d
bacan4d
slot gacor
bacantoto
bacan4d
Bacan4d Login
slot demo
Bacan4d Toto
toto gacor
Slot Gacor
Live Draw
Live Draw Hk
toto slot
Bacan4d slot gacor
toto macau
toto slot
Toto Gacor
slot dana
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
Slot Dp Pulsa
Bacan4d Login
toto slot
Bacansports/a>
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
slot gacor
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
slot demo
toto slot gacor
bacansports Slot toto toto slot Slot toto Slot dana Slot toto slot maxwin slot maxwin toto slot toto slot slot dana
Toto Bola
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
bacan4d
ts77casino
situs toto
slot pulsa
bacansports
situs toto
slot toto
situs toto
slot toto
situs toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansports
slot toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
situs toto
situs toto
xx1toto
toto slot
xx1toto
xx1toto
slot qriss
Slot Toto
slot dana
situs toto
slot toto
slot dana
Situs Toto Slot Gacor
xx1toto
xx1toto
bacan4d
xx1toto
xx1toto
toto slot
situs toto slot gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
situs toto
Slot Toto
Toto Slot
Slot Gacor
Slot Gacor
Slot Gacor
slot toto
Toto Slot
slot gacor
situs togel
Toto Slot
xx1toto