গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে বাধা: গুয়াতেমালার ১০০ এমপিসহ ৩০০ জনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে বাধা দেয়ার অভিযোগে কমপক্ষে ১০০ এমপিসহ গুয়াতেমালার প্রায় ৩০০ নাগরিকের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, গুয়াতেমালার গণতন্ত্রকে খর্ব বা বাধাগ্রস্ত করতে যাকেই দায়ী পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধেই নিষেধাজ্ঞা দেয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, গুয়াতেমালার যেসব মানুষ গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের সুরক্ষা চাইছেন তাদের পাশে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান। যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে নিশ্চয়তা দিচ্ছে যে, গুয়াতেমালার জনগণের চাওয়াকে সম্মান করে যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রেক্ষিতে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের ২১২(এ)(৩)(সি) ধারার অধীনে বর্তমান কংগ্রেসের কমপক্ষে ১০০ এমপিসহ প্রায় ৩০০ নাগরিকের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে আছে বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি ও তাদের পরিবারের সদস্যরাও।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গুয়াতেমালার পাবলিক মিনিস্ট্রি এবং অন্য অসৎ ব্যক্তিরা গণতন্ত্রবিরোধী যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে তার কড়া নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। উল্লেখ্য, অন্য দেশে অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস যে ভূমিকা পালন করে গুয়াতেমালায় সেই দায়িত্ব পালন করে পাবলিক মিনিস্ট্রি। তাদের পক্ষ থেকে গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বাতিল ছাড়াও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত বেরনারেডো আরেভালোর দায়মুক্তি প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছে পাবলিক মিনিস্ট্রি।
নির্বাচনের ফলকে বাতিল করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এতে স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় যে, গুয়াতেমালায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে অবৈধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর রোধ করা হচ্ছে। এই কর্মকাণ্ড ইন্টার আমেরিকান ডেমোক্রেটিক চার্টারের সঙ্গে পরিষ্কার অসামঞ্জস্যপূর্ণ। অন্য অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপের দীর্ঘ তালিকার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এসব বিষয়। এর মধ্যে আছে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী ম্যাজিস্ট্রেটদের দায়মুক্তি তুলে নেয়া, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে টার্গেট করা, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের ভীতি প্রদর্শন, নির্বাচনের ফলাফলের রেকর্ড রাখা হয় যে ভবনে সেখানে অভিযান চালিয়ে ব্যালট বাক্স খুলে ফেলা।
বিবৃতিতে বলা হয়, গুয়াতেমালায় দুর্নীতি এবং অগণতান্ত্রিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে জবাবদিহিতা উৎসাহিত করতে যুক্তরাষ্ট্র আগে থেকে যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে, ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তাকে আরও গতিশীল করা হয়েছে। এতে গুয়াতেমালার জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন দেয়া হয়েছে। গুয়াতেমালার জনগণ তাদের কথা বলে দিয়েছেন। তাদের সেই রায়কে সম্মান জানাতে হবে।