গাজাবাসীর ওপর জোরপূর্বক দুর্ভিক্ষ চাপিয়ে দিচ্ছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার সাধারণ মানুষ ইসরায়েলের অবরোধ ও নিয়ন্ত্রিত নীতির কারণে জোরপূর্বক অনাহারে ভুগছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার। শুক্রবার (৩০ মে) বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই অভিযোগ করেন।
ফ্লেচার বলেন, ‘গাজায় যে ধরনের মানবিক সংকট ইসরায়েল তৈরি করেছে, তা আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের কাজ ইতিহাস এবং আদালতের সামনে জবাবদিহির বিষয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইসরায়েল গাজায় যা করছে তা সরাসরি যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়ে।
তবে তিনি স্বীকার করেন, এর আগে তিনি একবার মন্তব্য করেছিলেন যে, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে না দিলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১৪ হাজার শিশু মারা যেতে পারে—যা পরবর্তীতে জাতিসংঘ নিজেই ‘ভুল’ হিসেবে স্বীকার করে এবং ভাষার ক্ষেত্রে আরও নির্ভুল হওয়ার আহ্বান জানায়।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইসরায়েলি অবরোধের ফলে গত তিন মাস ধরে গাজায় খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানি ও আশ্রয়সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের প্রবেশ বন্ধ ছিল। যদিও সাম্প্রতিক সপ্তাহে কিছুটা সাহায্য প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে তেল আবিব, কিন্তু তা চাহিদার তুলনায় অতি নগণ্য।
উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ব্যর্থ হওয়ার পর ইসরায়েল গাজার ওপর পূর্ণাঙ্গ অবরোধ আরোপ করে এবং হামাসের বিরুদ্ধে ফের সামরিক অভিযান শুরু করে। ইসরায়েলের দাবি, হামাসের হাতে থাকা ৫৮ জন জিম্মি মুক্ত করতে চাপ প্রয়োগ করতেই তারা এই কৌশল নিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, জিম্মিদের মধ্যে অন্তত ২০ জন এখনো জীবিত।