গাজায় অনাহারে আরও ১৫ মৃত্যু, জাতিসংঘ মহাসচিবের হুঁশিয়ারি

ইসরাইলের অবরোধ ও হামলার মধ্যে গাজা উপত্যকায় অনাহারে আরও ১৫ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। এর মধ্যে চারটি শিশু। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর অপুষ্টিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০১। এর মধ্যে ৮০ জনই শিশু। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। সোমবার একদিনেই ক্ষুধার কারণে প্রাণ হারানোদের মধ্যে আছে মাত্র ছয় সপ্তাহ বয়সী ইউসুফ আল-সাফাদি ও ১৩ বছর বয়সী আব্দুলহামিদ আল-গালবান। ইউসুফের পরিবার জানায়, তার মা খাবারের অভাবে দুধ পান করাতে পারেননি এবং শিশুখাদ্য কিনতে না পেরে সে অনাহারে মারা যায়।
এদিকে জাতিসংঘ গাজাকে ‘সাম্প্রতিক ইতিহাসে ভয়াবহ মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞের এক বিভীষিকাময় চিত্র’ বলে আখ্যা দিয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ক্ষুধা প্রতিটি দরজায় কড়া নাড়ছে, মানবিক ত্রাণব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে।
গাজায় পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে খাদ্য, জ্বালানি, পানি ও মানবিক সরবরাহে ইসরাইলের অবরোধ চলছে। মে মাস থেকে সীমিত সাহায্য প্রবেশের অনুমতি দিলেও, জাতিসংঘ জানিয়েছে, ত্রাণের জন্য অপেক্ষমান ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি সেনারা গুলি চালিয়ে এক হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। মঙ্গলবার নিহত ৮১ জনের মধ্যে ৩১ জনই ত্রাণের সন্ধানে গিয়েছিলেন।
স্বাস্থ্যকর্মীরা জানাচ্ছেন, হাসপাতালে অনাহার ও পানিশূন্যতায় আক্রান্ত রোগীর ঢল নামছে। আল-আকসা হাসপাতালের মুখপাত্র বলেন, ৬ লাখ মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। এর মধ্যে কমপক্ষে ৬০ হাজার গর্ভবতী নারী। হাসপাতালগুলো গুলিবিদ্ধ ও আহত রোগীতে উপচে পড়ছে। খাবার-ওষুধের অভাবে অনাহারীদের তেমন সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। গুতেরেস জানান, ইসরাইলের নতুন উচ্ছেদ আদেশে গাজার ৮৮ শতাংশ এলাকা সামরিক নিয়ন্ত্রণ বা জোরপূর্বক খালি করা হয়েছে। ফলে মানুষ সঙ্কুচিত স্থানে গাদাগাদি করে বেঁচে আছে। তিনি সতর্ক করেন, এটি ধ্বংসের ওপর ধ্বংসের স্তূপ।