গাজায় অনাহারে মারা যাচ্ছে নবজাতকরা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হুঁশিয়ারি
ফিলিস্তিনি ত্রাণ সংকটে অপুষ্টি আর আনাহারে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে থাকা শিশুর সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকার সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। আর ত্রাণ সরবরাহে বাধা দিয়ে ইসরাইল যুদ্ধাপরাধের মতো হুমকি তৈরি করছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতিসংঘ মানবিক সহায়তা সংস্থার প্রধান।
জেনেভায় জাতিসংঘের একটি সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও এর মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেছন, ‘সেখানকার অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের ওজন অনেক কম এবং তারা পুষ্টির অভাবে গর্ভকালীন বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।’ তিনি বলেন, ‘ক্রমবর্ধমানভাবে সেখানে আমরা এমন শিশুদের দেখছি যারা অনাহারের কারণে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। তাদের ঘন ঘন খাওয়ানো দরকার। আমাদের কাজ এখন অপুষ্টি স্থিতিশীলকরণ কেন্দ্র স্থাপন করা।’ হ্যারিস আরও বলেন, ইতোমধ্যে গাজার দক্ষিণে একটি কেন্দ্র স্থাপন করেছে তারা এবং উত্তরাঞ্চলেও অপুষ্টি স্থিতিশীলকরণ কেন্দ্র স্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এই ধরনের কেন্দ্র গড়ে তুলতে যে পরিমাণ সরঞ্জামের প্রয়োজন সেগুলো আনার জন্য ‘প্রবেশ ও নিরাপত্তা’ প্রয়োজন, যা এ মুহুর্তে সম্ভব নয়।
এদিকে, ত্রাণ সরবরাহে প্রতিনিয়ত বাধা দেয়ায় ইসরাইল হয়তো যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের মুখে পড়বে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থার প্রধান ভলকার তুর্ক। তিনি জানান, এই অপকর্মের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে গাজাবাসীকে অনাহারের মধ্যে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। খাদ্যকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।