International

গাজায় আরেক সাংবাদিক নিহত, এ পর্যন্ত ১২০

ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের গাজায় আরেক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত অক্টোবর থেকে এ উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ১২০ সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন।

স্থানীয় সময় শনিবার মধ্যগাজার নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরে হামলার এ ঘটনা ঘটে। গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নিহত সাংবাদিকের নাম ইয়াদ আহমেদ আল-রাওয়াগ। তিনি সাউত আল-আকসা রেডিওর সম্প্রচারক ও অনুষ্ঠান উপস্থাপক ছিলেন।

গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ও সংহতি কর্মসূচি। মাদ্রিদ, স্পেন, ২৭ জানুয়ারি’২৪

গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ও সংহতি কর্মসূচি। মাদ্রিদ, স্পেন, ২৭ জানুয়ারি’২৪ছবি: এএফপি

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজাজুড়ে ১৭৪ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৩১০ জন আহত হয়েছেন।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, ইসরায়েলি হামলার ভয়ে তাঁদের হাসপাতালের ৯৫ শতাংশ কর্মী পার্শ্ববর্তী এলাকা রাফাতে পালিয়ে গেছেন।

এদিকে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএতে দেওয়া সাহায্য স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে কয়েকটি পশ্চিমা দেশ। ইসরায়েলের এক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, এ সংস্থার কয়েকজন কর্মী গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন ইউএনআরডব্লিউএর কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি। এ ধরনের সিদ্ধান্তকে তিনি অতিশয় বেদনাদায়ক বলে উল্লেখ করেছেন।

ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি ও গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ। বোগোটা, কলম্বিয়া, ২৭ জানুয়ারি’২৪

ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা ঠেকানোর ব্যবস্থা নিতে ইসরায়েলকে গত শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। কিন্তু এখন পর্যন্ত এতে কোনো কর্ণপাত করেনি ইসরায়েল। এ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ চলছে। স্থানীয় সময় শনিবার স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে প্রায় ২০ হাজার মানুষ ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন। তাঁরা যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। একই ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটায়।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button