গাজায় নিরাপদ আশ্রয় ও মসজিদে ইসরাইলের হামলা
গাজায় নিরাপদ আশ্রয় এবং একটি মসজিদে বিমান থেকে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে কমপক্ষে ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ খবর জানিয়ে বলেছে, তারা জীবিতদের সন্ধান করছে। আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজম বলেছেন, গাজা সিটিতে অবস্থিত আল শিফা হাসপাতালের ভিতরে যেসব স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আটকে পড়েছেন, তারা ভয়াবহ আতঙ্কে আছেন। এর কাছাকাছি কমপক্ষে ৭ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি স্নাইপাররা। গাজা যুদ্ধ এবং লোহিত সাগরে হামলার মধ্যে যোগসূত্র আছে বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু হুতির মুখপাত্র এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
ওদিকে ৭ই অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ২৭ হাজার ৩৬৫। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। এতে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের মতে, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানসমর্থিত গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে আকাশপথে আরও হামলা চালাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
অন্যদিকে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর পঞ্চমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তার আজ সোমবার পৌঁছার কথা সৌদি আরবে।
বিজ্ঞাপন তিনি একটি চুক্তিতে পৌঁছার জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগে দৃষ্টি দিয়েছেন। এমন একটি চুক্তি করতে পারলে হামাসের হাতে আটক সব জিম্মিকে মুক্ত করা যাবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এই সফরের আগে এমনটাই বলেছেন। সফরে মানবিক কারণে যুদ্ধবিরতির বিষয়টিও সামনে আনবেন তিনি। এমন যুদ্ধবিরতি সম্ভব হলে গাজার সাধারণ মানুষের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো বৃদ্ধি পাবে। এই সফরে ব্লিঙ্কেনের মিশর, কাতার, ইসরাইল এবং দখলীকৃত পশ্চিমতীর যাওয়ার কথা রয়েছে।
বার্তা সংস্থা ওয়াফা বলছে, দখলীকৃত পশ্চিমতীরের তুলকারেম শহর থেকে ৫ জন ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরাইলি বাহিনী। ফিলিস্তিনি যোদ্ধাগোষ্ঠী এবং ইসরাইলি সেনাদের মধ্যে এই শহরে সংঘর্ষ চলাকালে গুলির শব্দ শোনা গেছে। এছাড়া রামাল্লাহ থেকে তিনজন এবং হেব্রনের উত্তরে হলহুল থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। নাবলুসে আল আইন শরণার্থী শিবিরে সংঘর্ষ চলছিল বলে খবর দিয়েছে স্থানীয় মিডিয়া।