গাজায় প্রতিদিন প্রায় ১৬০ শিশু নিহত হচ্ছে
গাজায় প্রতিদিন প্রায় ১৬০ শিশু নিহত হচ্ছে। মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ তথ্য দিয়েছে।
জাতিসংঘের এ স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থাটি বলেছে, ‘ফিলিস্তিনের গাজায় এক মাস ধরে ইসরায়েলি হামলা চলছে। সেখানকার দুর্ভোগ কমাতে একটি মানবিক যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন।
জেনেভায় জাতিসংঘের এক ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচওর কর্মকর্তা ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেন, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে প্রতিদিন গাজায় গড়ে প্রায় ১৬০ শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।
তিনি বলেন, গাজায় হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। যারা বেঁচে আছে -তারা বিভিন্ন শঙ্কায় আছেন। গাজার মানুষ খাবার ও পানির অভাবে ভুগছে। তাদের বেঁচে থাকার জন্য পানি, খাদ্য এবং স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজন।
এ বিষয়ে বিবিসির লাইভ রিপোর্টার স্যাম হ্যানকক বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, গাজা “খুব দ্রুত শিশুদের কবরস্থানে” পরিণত হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে গুতেরেস আরও বলেন, যুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করা হচ্ছে। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী একসঙ্গে “বেসামরিক নাগরিক, হাসপাতাল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জা এবং জাতিসংঘের স্থাপনার ওপর বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে। গাজায় এখন আর কেউ নিরাপদ নয়।”
গাজা উপত্যকায় এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের ৮৯ কর্মী ইসরায়েলি গণহত্যার শিকার হয়েছেন জানিয়ে গুতেরেস বলেন, জাতিসংঘের ইতিহাসে আর কখনও কোনো যুদ্ধে এত বেশি সংখ্যক কর্মী নিহত হননি। গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, “আমাদেরকে এই নৃশংস, ভয়ঙ্কর ও যন্ত্রণাদায়ক ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বেরিয়ে আসার একটি উপায় খুজে বের করতে হবে।”