International

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তিতে হামাসের কাঁধে দায় চাপালেন বাইডেন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি বাস্তবায়নে সক্ষম হবে জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার বাইডেন দাবি করেছেন, তিনি মনে করেন যে তার প্রশাসন একটি জিম্মি চুক্তি সুরক্ষিত করতে সক্ষম হবে। তবে চুক্তিতে পৌঁছাতে এখনও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে দায়ী করেছেন তিনি। 

জিম্মি আলোচনা বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, বাইডেন বিস্তারিত জানাতে সতর্ক ছিলেন। তবে তিনি বলেন, আমরা কিছু সত্যিকারের অগ্রগতি করছি। যুদ্ধবিরতি নিয়ে মার্কিন আলোচকদের সঙ্গে কথা হয়েছে।

শুক্রবার (৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।

যুদ্ধবিরতি নিয়ে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে। তবে এখনও দু’পক্ষের মধ্যে কোনো সমঝোতা হয়নি। শুরু থেকেই প্রয়াত হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে দায়ী করে আসছে মার্কিন প্রশাসন। কিন্তু সিনওয়ারের মৃত্যুর কয়েকমাস পরও,  ইসরাইলি প্রশাসন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।

বাইডেনের ভাষ্য, আমি জানি আশার ঝর্ণা চিরন্তন, কিন্তু আমি এখনও আশাবাদী যে আমরা বন্দি বিনিময় করতে সক্ষম হব। হামাস এই মুহূর্তে জিম্মি বিনিময়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তবে আমি মনে করি আমরা এটি সম্পন্ন করতে সক্ষম হতে পারি। আমাদের এটি করা দরকার।

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে, হোয়াইট হাউস গাজায় যুদ্ধবিরতি না হওয়ার জন্য হামাসকে দায়ী করে আসছে।

যদিও মিশরীয় ও কাতারি কূটনীতিকরা এবং ইসরাইলের আলোচনাকারী দলের কিছু সদস্য এবং এমনকি বেশ কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা টাইমস অব ইসরাইলকে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ছাড়া আর কিছুতে রাজি না হওয়াই প্রধান বাধা। ওয়াশিংটন প্রকাশ্যে জেনেও হামাসের কাঁধে দায় চাপাচ্ছে।

এদিকে মধ্যস্থতাকারীরা ইসরাইল এবং হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং জিম্মি মুক্তি ‘খুব কাছাকাছি’ রয়েছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। পরবর্তী প্রশাসন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলেও এই চুক্তি বাস্তবায়ন অনিবার্য বলেছেন তিনি।

প্যারিস সফররত ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘আমি আশা করি খুব দ্রুত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাবো। কিন্তু যদি আমরা তা না করি, তবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তির জন্য যে পরিকল্পনাটি সামনে রেখেছেন তা আগত প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। 

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button