গাজায় সামরিক সাফল্যের ভুয়া দাবি করছে ইসরাইল!
গাজায় প্রায় আড়াই মাস ধরে সর্বাত্মক শক্তি নিয়ে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। প্রতিনিয়ত তারা বড় বড় সাফল্য লাভের দাবি করে আসছে। কিন্তু তারা তাদের দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারছে না। বিভিন্ন বিশ্লেষণে ইসরাইলি দাবিগুলো ভুয়া কিনা, সে প্রশ্ন ওঠছে।
ইসরাইল সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি দাবি করেছেন যে ১ ডিসেম্বর থেকে ইসরাইলি বাহিনী গাজায় দুই হাজার হামাস সদস্যকে হত্যা করেছে। এর ফলে নিহত হামাস সদস্যের সংখ্যা দাঁড়াল আট হাজার।
কিন্তু আল জাজিরার হামদাহ সালহুত অধিকৃত পূর্ব জেরুসালেম থেকে জানিয়েছেন, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে তথ্য দিয়েছে, তার সাথে এই দাবি বিপরীত মনে হচ্ছে। ফিস্তিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে, গাজায় ৭ অক্টোবর ইসরাইলি হামলা শুরুর পর থেকে যে ২০ হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছে, তার মধ্যে প্রায় আট হাজার শিশু এবং ৬,২০০ নারী। আ বাকি ৫,৮০০ ফিলিস্তিনি পুরুষের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক।
হামদাহ সালহুত বলেন, ‘ইসরাইলি সেনাবাহিনী এসব সংখ্যা প্রকাশ করলেও কোনো প্রমাণ দেয়নি বা এসব সংখ্যা তারা কিভাবে পেল, তা যাচাই করার কোনো ব্যবস্থা রাখেনি।’
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী আরো দাবি করেছে, তারা হামাসের একটি বিশেষ সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক ধ্বংস করেছে। এটির অবস্থান ছিল উত্তর গাজার প্যালেস্টাইন স্কয়ারের নিচে। এই সুড়ঙ্গটির সাথে অনেক বাড়ি, গোপন আস্তানা, বেশ কয়েকটি হামাস কর্মকর্তাদের অফিসের সংযোগ ছিল।
কিন্তু হামদা হালহুত বলেন, ‘এখানেও ফাঁক রয়েছে। তারা তাদের দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ বা ছবি প্রকাশ করেনি। তারা বরং মাটির ওপর থেকে তোলা বিস্ফোরণের ভিডিও প্রকাশ করেছে। ইসরাইল সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক নিয়ে আগেও যেসব দাবি করেছিল, সেগুলোর ব্যাপারেও প্রমাণ উপস্থাপন করেনি।’
ইসরাইলের আরেকটি দাবি ছিল গাজা সিটির আল-শিফা হাসপাতালের নিচে হামাসের সদরদফতর রয়েছে। কিন্তু তারা তাদের দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি। বরং ওয়াশিংটন পোস্টের নতুন তদন্তে দেখা গেছে, এই হাসপাতাল বা গাজার অন্যান্য হাসপাতালের ব্যাপারে ইসরাইলি দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই।