গাজা যুদ্ধের এক বছর বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ
গাজা যুদ্ধের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে রোববার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ করেছে হাজারো মানুষ। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন তারা। এ সময় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভে কোথাও পুলিশ বাধা দিয়েছে, কোথাও শান্তিপূর্ণ হয়েছে আবার কোথাও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আলজাজিরার খবর বলছে, ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। রোববার ফিলিস্তিনিপন্থি হাজার হাজার বিক্ষোভকারী যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের বাইরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। ওয়াশিংটনকে ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করার দাবি জানান তারা।
ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় মার্কিন দূতাবাসের কাছে প্রতিবাদ করে বহু বামপন্থি মানবাধিকার কর্মী। এ সময় পুলিশ তাদের সমুদ্রতীরবর্তী কম্পাউন্ডের কাছাকাছি যেতে বাধা দেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে শত শত মানুষ পার্লামেন্টের সামনে ইসরায়েলবিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। শনিবার জোহানেসবার্গ এবং ডারবানেও গাজাপন্থিরা মিছিল করে।
বিবিসি জানায়, শনিবার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপজুড়ে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন। লন্ডনে ডাউনিং স্ট্রিট অভিমুখে পুলিশের কড়া পাহারায় কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করেন। সে সময় পরিস্থিতি উত্তেজনাকর হয়ে ওঠে। জার্মানির হামবুর্গ শহরে ফিলিস্তিন ও লেবাননের পতাকা নিয়ে ৯৫০ জন শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেছেন। প্যারিসের রিপাবলিক প্লাজায় ফিলিস্তিনি ও লেবাননের নাগরিকদের প্রতি সংহতি জানিয়ে কয়েক হাজার মানুষ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। ইতালির রোমে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে। নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে যুদ্ধবিরতির দাবিতে ফিলিস্তিনি সমর্থকরা জড়ো হয়েছেন।
এদিকে আবারও উত্তর গাজার বেসামরিক নাগরিকদের সরে যেতে বলেছে ইসরায়েল। সেখানে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক ও সেনা প্রবেশ করার নির্দেশ দিয়েছে। এরই মধ্যে গাজার একটি মসজিদে বিমান হামলা চালাল ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ২৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনে প্রাণহানি এ পর্যন্ত প্রায় ৪২ হাজারে পৌঁছেছে।
এদিকে ইসরাইলের হামলার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে দেওয়া এক বার্তায় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের মুক্তি ও গোটা অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ চলাকালে হোয়াইট হাউজের সামনেই এক প্রতিবাদকারী আত্মাহুতির চেষ্টা করেন, যা বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে বলেই দাবি করেন ওই ব্যক্তি।