International

গাজা ‘শিশুদের কবরস্থানে পরিণত হয়েছে’ : জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব

জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুটারেস বলেছেন, গাজা এখন ‘শিশুদের কবরস্থানে’ পরিণত হয়েছে। তিনি গাজায় ইসরাইলি হামলা দ্রুত বন্ধ করার লক্ষ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি বৈঠকে এ কথা বলেন। সোমবার রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হলেও তার বক্তব্য টুইটে তিনি প্রকাশ করেন। তিনি যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ বৃদ্ধিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বানও জানান।

তিনি যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে বলেন, যুদ্ধরত পক্ষগুলো এবং সেইসাথে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজায় অমানবিক সম্মিলিত দুর্ভোগ এবং মানবিক সহায়তার নাটকীয় সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে।

নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের অনেকেই নিজ নিজ দেশে যুদ্ধবিরতির জন্য চাপে পড়েছে। মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে ইতোপূর্বে নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা যায়নি।

গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জাতিসঙ্ঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের
জাতিসঙ্ঘের গুরুত্বপূর্ণ সকল সংস্থার প্রধানগণ গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার ব্যাপারে রোববার শোক প্রকাশ করে যৌথভাবে একটি ব্যাতিক্রমী বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে সংস্থার প্রধানগণ ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধে ‘অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসঙ্ঘ প্রধানরা বলেছেন, ‘বিশ্ব প্রায় এক মাস ধরে ইসরাইল এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি দেখছে। এতে প্রাণহানির সংখ্যা ও ক্ষতি ক্রমাগত বাড়তে থাকায় বিশ্ববাসী হতবাক ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।’

ইউনিসেফ, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ ১৮টি সংস্থা’র প্রধানরা গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরাইলে হামাসের হামলার পর থেকে উভয় পক্ষের প্রাণহানির সংখ্যাকে ‘বর্বরোচিত গণহত্যা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ জানায়, হামাসের হামলায় তাদের প্রায় ১,৪০০ লোক নিহত হয়েছে। এদের বেশির ভাগই বেসামরিক।

এদিকে গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলায় কমপক্ষে ৯,৭৭০ জন নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

বিবৃতিতে বলা হয়, সেখানের এমন পরিস্থিতিতে ‘ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে অবিলম্বে ‘মানবিক যুদ্ধবিরতি’ পালন করা প্রয়োজন। ইতোমধ্যে উভয় গ্রুপের যুদ্ধ ৩০ দিন অতিক্রম করেছে। যথেষ্ট হয়েছে। এখনই যুদ্ধ বন্ধ করা উচিত।’

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button