২০১৯ সাল থেকেই নিখোঁজ ছিলো আমেরিকার বাসিন্দা অ্যাডাম মন্টোগোমারির ৫ বছরের কন্যা। বিষয়টি প্রাথমিকভাবে পুলিশের নজরে আসেনি। প্রায় দু’বছর পর অ্যাডামের মেয়েকে খুঁজতে শুরু করে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, পাঁচ বছরের মেয়ে গাড়ি নোংরা করে ফেলেছিল বলে অ্যাডাম তাকে মারধর করে মেরে ফেলেছেন।
সম্প্রতি আদালতে সেকথা স্বীকারও করেন বছর ৩৪ এর অ্যাডাম। কন্যার মৃত্যুর কয়েক মাস পরেও তার দেহ ব্যাগে ভরে নিয়মিত রেস্তোরাঁয় যেতেন তিনি। এমনকি রেস্তোরাঁয় ফ্রিজের ভিতরেও সেই ব্যাগ ভরে রাখতেন অ্যাডাম। আমেরিকার এক রেস্তোরাঁয় রান্না করা এবং বাসন মাজার কাজ করতেন অ্যাডাম মন্টোগোমারি। বহু বছর আগে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিলেন আমেরিকার বাসিন্দা অ্যাডাম। তারপর স্ত্রী এবং কন্যার সঙ্গে গাড়ির মধ্যেই দিন কাটাতেন তিনি। গাড়ি নোংরা করে দেয়ার কারণে পাঁচ বছরের কন্যা হারমনিকে মারধর শুরু করেন অ্যাডাম।
কয়েকবার ঘুষিও মারেন মেয়েকে। এমনটাই দাবি করেন অ্যাডামের স্ত্রী কায়লা। গাড়ির পিছনের সিটে বসে অ্যাডাম এবং কায়লার কন্যা অনবরত কেঁদে চলেছিল। শারীরিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে মারা যায় একরত্তি। মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যাবার পরিবর্তে গাড়িতে বসেই খাবার খেতে শুরু করে এই নৃশংস বাবা। শুধু তাই নয় অ্যাডাম নিজের মেয়ের মৃত দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে উধাও করে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ঠিক মতো জায়গা না পেয়ে মৃতদেহের টুকরোগুলি ফেলতে পারছিলেন না। তাই রোজই ব্যাগে ভরে মৃতদেহের টুকরো কর্মস্থলে নিয়ে যেতেন। রেস্তোরাঁর ফ্রিজেও ভরে রাখতেন সেই ব্যাগ। মৃত্যুর কয়েক মাস পর্যন্ত কন্যার দেহ ব্যাগে ভরে ঘুরে বেড়াতেন অ্যাডাম। অপরাধের জন্য অ্যাডামকে ৩০ বছরের বেশি কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে ।
২০২২ সালে মেয়েকে হত্যা মৃতদেহের অপব্যবহার, আক্রমণ এবং সাক্ষ্য লোপাটের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে অ্যাডাম মন্টোগোমারিকে।
