Science & Tech

গুগলের দুই এআই বিজ্ঞানী যে কারণে রসায়নে নোবেল পেলেন

প্রোটিনের গঠন পাঠোদ্ধারসহ নতুন প্রোটিন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় এ বছর রসায়নে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ডেভিড বেকার, ডেমিস হাসাবিস ও জন এম জাম্পার নামের তিন বিজ্ঞানী। রসায়নে নোবেল পুরস্কার পাওয়া তিনজনের মধ্যে ডেমিস হাসাবিস গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির গবেষণাগার ‘গুগল ডিপমাইন্ড’-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। আর জন জাম্পার হলেন গুগল ডিপমাইন্ডের পরিচালক। আর তাই গুগলের মতো প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানে এআই নিয়ে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ঠিক কী কারণে নোবেল পুরস্কার পেলেন, তা জানতে আগ্রহী অনেকেই।

রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেসের নোবেল কমিটির তথ্যমতে, ডেমিস হাসাবিস ও জন জাম্পার মানব শরীরে থাকা প্রোটিনের গঠন জানার জন্য ওপেন সোর্সভিত্তিক একটি মডেল তৈরি করেছেন। ‘আলফাফোল্ড২ এআই’ নামের এই মডেলের সাহায্যে বিজ্ঞানীরা প্রায় ২০ কোটি প্রোটিন কাঠামোর ভবিষ্যদ্বাণী করতে পেরেছেন। শুধু তা–ই নয়, অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতিরোধ ব্যবস্থাসহ প্লাস্টিক ক্ষয়কারী এনজাইমের বিকাশেও সহায়তা করছে এই মডেল। এর ফলে নতুন উপাদান তৈরির কাজ মাত্র কয়েক মিনিটেই করা সম্ভব।

কম্পিউটারবিজ্ঞানী ও এআই গবেষক ডেমিস হাসাবিসের জন্ম যুক্তরাজ্যে। ২০১০ সালে ডেমিস হাসাবিস, শেন লেগ ও মুস্তাফা সুলেমান লন্ডনে ডিপমাইন্ড নামের মেশিন লার্নিং এআই স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৪ সালে গুগল ৪০ কোটি পাউন্ডের বিনিময়ে ডিপমাইন্ড কিনে নেয়। এর পর থেকেই গুগল ডিপমাইন্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন ডেমিস হাসাবিস। অপর দিকে মার্কিন রসায়নবিদ ও কম্পিউটারবিজ্ঞানী জন জাম্পার ২০১৭ সালে গুগল ডিপমাইন্ডে যোগ দেন। তাঁর নেতৃত্বেই এআই প্রযুক্তিনির্ভর গবেষণার পাশাপাশি বিভিন্ন টুল তৈরি করছে গুগল।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button