International

গ্রিনল্যান্ডে অবিশ্বাস্য জয় পেল ডেমোক্র্যাটিট পার্টি ট্রাম্পের হুমকি

এমন এক সময় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই দ্বীপটিকে ‘যে করেই হোক’ নিয়ন্ত্রণে নেয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গ্রিনল্যান্ডের পার্লামেন্ট নির্বাচনে অবিশ্বাস্য জয় পেয়েছে অঞ্চলটির মধ্য-ডানপন্থী ডেমোক্র্যাটিট পার্টি। এমন এক সময় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই দ্বীপটিকে ‘যে করেই হোক’ নিয়ন্ত্রণে নেয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মঙ্গলবারের এ নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে নালেরাখ পার্টি। দুই দলই ডেনমার্কের কাছ থেকে গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনতা চাইলেও মতভিন্নতা রয়েছে। মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) ও ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান এমন খবর দিয়েছে।

পার্লামেন্টে সবচেয়ে বড় দল ইনুইট আতাকাতিগিটের (আইএ) স্থলাভিষিক্ত হবে বিজয়ী ডেমোক্র্যাটিট পার্টি।

গ্রিনল্যান্ডের সম্প্রচারমাধ্যম কেএনআর টিভি জানিয়েছে, ডেমোক্র্যাটিট পার্টি এবার ৩০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। অথচ চার বছর আগে তাদের এই ভোটের সংখ্যা ছিল ৯ শতাংশ।

বিপরীতে নালেরাখ পেয়েছে ২৫ শতাংশ ভোট। ২০২১ সালের নির্বাচনে তাদের ভোট ছিল ১২ শতাংশ। অর্থাৎ নালেরাখ দলের ভোট বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। মার্কিন সহযোগিতার ক্ষেত্রে এই দলটির মনোভাব উদার।

ডেনমার্ক থেকে স্বাধীনতার জন্য আকস্মিক ভোটেও সমর্থন জানিয়েছে তারা। স্বাধীনতার প্রশ্নে নালেরাখের মনোভাব আগ্রাসী হলেও ডেমোক্র্যাটিটরা আরো মাঝারি গতিতে এগোতে চাচ্ছে।

ডেমোক্র্যাটিট এমন সব দলের ওপর বিজয় অর্জন করেছে, যারা বহু বছর ধরে অঞ্চলটি শাসন করে আসছে। এতে বুঝা যাচ্ছে, সেখানকার স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সামাজিক নীতির ওপরই বেশি জোর দিচ্ছেন বাসিন্দাদের অনেকে।

ডেমোক্র্যাটিট দলের নেতা জেনস-ফ্রেডেরিক নেইলসেন (৩৩) বলেন, ‘আমি মনে করি, গ্রিনল্যান্ডের রাজনৈতিক ইতিহাসে এটি একটি ঐতিহাসিক বিজয়।’

নিজেদের ‘সোশ্যাল লিবারেল’ বলে পরিচয় দেন তিনি। স্বাধীনতার দাবি করলেও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে চাচ্ছেন সাবেক এই ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন।

দেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ গতি নির্ধারণে এখন তিনি অন্য দলগুলোর সাথে বৈঠক করবেন বলে দ্য ডেনিশ ব্রোডকাস্টিং করপোরেশন ডিআর জানিয়েছে। নেইলসেন বলেন, ‘নির্বাচনে এতো ভালো ফল করবো, তা আমাদের কল্পনারও বাইরে ছিল। আমি খুবই খুশি।’

বাইরের দেশ যখন গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাচ্ছে, তখন আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। গেল ফেব্রুয়ারিতে আগাম ভোটের ডাক দিয়েছেন গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মুৎসি বোওরব এয়েদে। তিনিও এই কঠিন সময়ে সবার ঐক্যবদ্ধ থাকার ওপর জোর দেন।

তার দল ইনুইট আতাকাতিগিট ২১ শতাংশ ভোট পেয়েছে এবারের নির্বাচনে। গতবারের চেয়ে তাদের ভোট এবার উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে। ২০২১ সালের নির্বাচনে দলটির ভোট ছিল ৩৬ শতাংশ।

এবার বড় ধরনের বিজয় প্রত্যাশা করেছিল ইনুইট আতাকাতিগিট, তারপরেই থাকার কথা ছিল সুইমুটের। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গ্রিনল্যান্ডের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করে আসছে এই দুই দল। সুইমুট ভোট পেয়েছে ১৪ শতাংশ।

বিজয়ী ডেমোক্র্যাটিট পার্টিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ডেনমার্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ট্রোয়েলস লুন্ড পৌলসেন। তিনি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে আসা বড় ধরনের চাপে থাকতে হবে অঞ্চলটির ভবিষ্যৎ সরকারকে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

bacan4d slot toto