Hot

চাঁদা দিলে নিরাপদ, না দিলে হামলা

ব্যবসা করতে হলে চাঁদা দাও। ভবন নির্মাণ করতে হলে চাঁদা দাও। চাঁদা দিলে নির্বিঘ্ন থাকো, নইলে হামলা ও মারধর। রাজধানীর কিছু এলাকায় এটা যেন রীতি।

যেমন মিরপুরের মাজার রোডে আয়েশা সুপার মার্কেটের সামনের মুদিদোকানি মো. পারভেজকে গত ৮ জানুয়ারি মারধর করা হয়। ভাঙচুর করা হয় তাঁর দোকান। পারভেজ ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে করা লিখিত অভিযোগে বলেছেন, তাঁর কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছিল সন্ত্রাসীরা। তিনি তা দিতে পারেননি। সে কারণেই তাঁকে মারধর করা হয়েছে, দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে।

এটার পাশাপাশি গত সাত মাসে রাজধানীতে চাঁদাবাজি ও হামলাসংক্রান্ত ১৪টি ঘটনার তথ্য পাওয়া গেছে। এ সময় চাঁদাবাজদের হাতে একজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন।

প্রতিটি অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা গেলে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

নাইম আহমেদ, ডিএমপির সাবেক কমিশনার

ব্যবসায়ী, ভবন নির্মাতা ও পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, রাজধানীর কোনো কোনো এলাকায় নতুন ব্যবসা খুললে বা কেউ ব্যবসায় ভালো করলে, চাঁদাবাজেরা চাঁদা চায়। ব্যবসা নিয়ে কারও সঙ্গে কারও বিরোধ টের পেলে সুযোগ নেয়, আবার কেউ যদি নিরীহ হন, তাঁকে পেয়ে বসে চাঁদাবাজেরা। কোথাও কোথাও নতুন ভবন নির্মাণ শুরু হলে উপস্থিত হয় চাঁদাবাজদের লোক। কখনও চাঁদা দিতে হয় নিয়মিত, কখনও মাঝে মাঝে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র বলেছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি হয় পলাতক ও কারাবন্দী শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নামে। চাঁদাবাজদের তালিকায় ক্ষমতাসীন দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদেরও নাম রয়েছে।

সুনির্দিষ্ট নাম ধরে আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে চাঁদাবাজির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁরা বলছেন, সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে পুলিশও বলছে, অভিযোগ পেলে তাঁরা কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

পারভেজ ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে করা লিখিত অভিযোগে বলেছেন, তাঁর কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছিল সন্ত্রাসীরা। তিনি তা দিতে পারেননি। সে কারণেই তাঁকে মারধর করা হয়েছে, দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, চাঁদাবাজি ঠেকাতে জিরো টলারেন্স (শূন্য সহিষ্ণুতা) নেওয়া হয়েছে। তিনি চাঁদাবাজির বিষয়ে তথ্য দিতে নগরবাসীকে ‘মেসেজ টু কমিশনারে’র উদ্যোগের আওতায় মুঠোফোন নম্বরে খুদে বার্তা (এসএমএস) এবং হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠাতে অনুরোধ করেন। নম্বর দুটি হলো ০১৩২০২০২০২০ ও ০১৩২০১০১০১০। ডিএমপি কমিশনার বলেন, নম্বর দুটিতে অভিযোগ পাঠালে তৎক্ষণাৎ সমাধান পাওয়া যাবে।

কিছু কিছু ঘটনায় পুলিশ ব্যবস্থাও নিয়েছে। অবশ্য ভুক্তভোগীদের অনেকে বলছেন, তাঁদের নিয়মিত চাঁদা দিতে হচ্ছে। অভিযোগ করলে উল্টো মারধর ও হামলার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

মামলার পরিসংখ্যান অনুযায়ী চাঁদাবাজি বেশি হয় ডিএমপির মিরপুর, ওয়ারী, তেজগাঁও এবং লালবাগ বিভাগে।

মামলা কম

ডিএমপি পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যাবে, ঢাকায় চাঁদাবাজির মামলার তত বেশি নয়। ২০২১ সালে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজির ঘটনায় মামলা হয়েছিল ২২টি। পরের বছর এ সংখ্যা বেড়ে হয় ৫৯টি। মামলার পরিসংখ্যান অনুযায়ী চাঁদাবাজি বেশি হয় ডিএমপির মিরপুর, ওয়ারী, তেজগাঁও এবং লালবাগ বিভাগে।

ডিএমপি বলছে, ২০২৩ সালের সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সাতটি চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। ডিএমপি সদর দপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, গত জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চাঁদাবাজির মামলার সংখ্যা আলাদা করে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়নি।

ঢাকার বিভিন্ন থানা ও হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে এবং ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে গত জুনের পর থেকে এ পর্যন্ত ১৪টি চাঁদাবাজি ও হামলার তথ্য পাওয়া গেছে। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, দারুস সালাম, রূপনগর, পল্লবী থানা এলাকা, মোহাম্মদপুর থানার চাঁদ উদ্যান, ঢাকা উদ্যান ও পুরান ঢাকার আলু বাজারে এসব ঘটনা ঘটে।

মিরপুরের একজন বড় ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তিনি নির্বিঘ্নে ব্যবসা করা ও নিজের পরিবারের নিরাপত্তার জন্য মাসে পাঁচ লাখ টাকা করে চাঁদা দেন। অতীতে চাঁদা না দেওয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে তাঁর এক স্বজন নিহত হয়েছেন।

পুলিশের কর্মকর্তাদের কেউ কেউ বলছেন, ছিনতাইয়ের ঘটনায় যেমন সাধারণ মানুষ মামলা করে না, তেমনি চাঁদাবাজির ঘটনায়ও ভুক্তভোগীরা পুলিশের কাছে যেতে চান না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে থানা–পুলিশও মামলা নিতে চায় না। ফলে প্রকৃত চিত্র ডিএমপির পরিসংখ্যানে আসে না।

মিরপুরের একজন বড় ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তিনি নির্বিঘ্নে ব্যবসা করা ও নিজের পরিবারের নিরাপত্তার জন্য মাসে পাঁচ লাখ টাকা করে চাঁদা দেন। অতীতে চাঁদা না দেওয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে তাঁর এক স্বজন নিহত হয়েছেন।

তাঁরা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা

রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালামের নীলকুঠি ম্যাটারনিটি হাসপাতালের সামনে গত ৭ অক্টোবর রাতে চাঁদাবাজদের ছুরিকাঘাতে সজীব হোসেন ওরফে ফরিদ (২৮) নামের এক যুবক আহত হন। তিনি নীলকুঠি স্কাই নেটওয়ার্ক নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

আহত সজীবের বন্ধু মো. রানা প্রথম আলোকে বলেন, স্কাই নেটওয়ার্কের মালিক জাহাঙ্গীর ও রুবেল। তাঁদের কাছে চাঁদা চান স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা নাবিল খান ও তাঁর সহযোগীরা। কয়েক মাস আগে চাঁদার দাবিতে রুবেলকেও মারধর করেছিলেন তাঁরা।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের একজন কেন্দ্রীয় একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নাবিল খান স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য। দারুস সালাম থানা এলাকার বিপণিবিতান, কাঁচাবাজার, অটোরিকশাস্ট্যান্ড ও পশুর হাটে চাঁদাবাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরে আবার পদ ফিরে পান।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিংয়ে বি ব্লকের বাসিন্দা অভিজিৎ কুমার সেনগুপ্তের বাড়িতে গিয়ে গত ১১ জুন ২০ হাজার টাকা চাঁদা চায় একদল সন্ত্রাসী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাঁরা ‘ভাঙারি’ বাবু ও ‘দাঁতভাঙা’ কবির নামে পরিচিত স্থানীয় দুই সন্ত্রাসীর লোক।

ওই ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় করা মামলায় অভিজিৎ অভিযোগ করেন, চাঁদা না দেওয়ায় তাঁর ভবনে কর্মরত বৈদ্যুতিক মিস্ত্রিদের মারধর করা হয়েছে। মামলার পর বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার বাবু ঢাকা মহানগর উত্তর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক।

বাবুর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না, সে বিষয়ে গত শনিবার জানতে চাওয়া হয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি গাজী মেসবাউল হোসেনের কাছে। তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। নাবিল খানের বিষয়ে তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী খুনের ঘটনাও ঘটেছে। গত ১৪ অক্টোবর রাতে দারুস সালাম থানার সহকারী কমিশনার ভূমি কার্যালয়ের (বর্ধনবাড়ী) সামনে চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী শাহ আলম (৩৫)।

শীর্ষ সন্ত্রাসীর নামে চাঁদাবাজি

মোহাম্মদপুর, মিরপুর, পল্লবী, দারুস সালাম, কাফরুল, শ্যামপুর ও পুরান ঢাকার কয়েকটি এলাকার চাঁদাবাজদের নাম জানা গেছে।

এর মধ্যে মিরপুরে চাঁদাবাজির ঘটনা বেশি। সেখানে শীর্ষ সন্ত্রাসী আব্বাস বাহিনীর নামে এখনো চাঁদাবাজি হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ছয় খুনসহ ১০ মামলার আসামি আব্বাস দুই দশকের বেশি সময় ধরে কারাগারে। সেখান থেকে তিনি চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করেন। তাঁর হয়ে কাজ করেন সোহাগ, রহিমুল ইসলাম ওরফে মানিক, রহমান, ইকবাল, রাব্বি, আশিক প্রমুখ। সন্ত্রাসী এই বাহিনী কাফরুলেও সক্রিয়।

কাফরুলবাসীর পক্ষে গত ১৯ নভেম্বর এক ব্যক্তি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন করে আব্বাস বাহিনীর হাত থেকে রক্ষার অনুরোধ জানান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নিতে ডিএমপির মিরপুর বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই আবেদনকারী বলেন, ইন্টারনেট ব্যবসায়ী, কেব্‌ল টেলিভিশনের সংযোগদাতা (ডিশ ব্যবসায়ী), দোকানদারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে নিয়মিত চাঁদা দিতে হয়। কেউ মুখ খুলতে পারেন না। এ কারণেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছেন তিনি।

আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী তাজও কারাগারে থেকে মিরপুর ১৩ নম্বর এলাকায় চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাঁর সহযোগী হিসেবে স্থানীয় সন্ত্রাসী হারুন, ‘চামাইরা’ বাবু, কামাল, জনি, খসরু, ‘ভাইগনা’ মাসুদ, লিটন, আবু, কাওছার, জনি ও রাজু সক্রিয় রয়েছে বলে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জানা গেছে।

পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মো. জসীম উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, তদন্তে চাঁদাবাজির অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মিরপুরের বিভিন্ন বিপণিবিতানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন ব্যবসায়ী বলেছেন, চাঁদা না দেওয়ায় মিরপুরে অতীতে একাধিক ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন। এ কারণে চাঁদাবাজির ঘটনায় এখন কেউ থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করতে চান না। কেউ জিডি করলে সন্ত্রাসীরা দ্রুত খবর পেয়ে যায়। তাই ব্যবসায়ীরা নীরবে চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছেন।

এই ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, তাঁরা নিয়মিত আয়কর ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট/মূসক) দেন। তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যয় করে সরকার। আবার তাদের সন্ত্রাসীদেরও টাকা দিতে হয় নিরাপদ থাকতে।

পুরান ঢাকায় চাঁদাবাজি

পুলিশ সূত্র জানায়, শুভ ও প্রিন্স নামের দুই ব্যক্তির নেতৃত্বে ১৪-১৫ জন সন্ত্রাসী পুরান ঢাকার আলু বাজারে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করে। শ্যামপুর, পোস্তগোলা, জুরাইন, মিল ব্যারাক, জুরাইন রেললাইনের পাশের কাঁচাবাজার এলাকায় সহযোগীদের নিয়ে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করেন ওমর ফারুক ওরফে কচি নামে আরেকজন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শ্যামপুর থানার এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ওমর ফারুক বিদেশে থেকে এখানকার চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করেন। তাঁর সহযোগীরা ওই এলাকার বিপণিবিতান, কাঁচাবাজার, টেম্পোস্ট্যান্ড ও বুড়িগঙ্গা সেতুর টোল এলাকায় চাঁদাবাজি করেন।

‘আইনের আওতায় আনতে হবে’

সাধারণ মানুষ চাঁদাবাজির ভুক্তভোগী হয় দুই ভাবে। প্রথমত, অনেক মানুষকে সরাসরি চাঁদা দিতে হয়। দ্বিতীয়ত, চাঁদাবাজির কারণে পণ্য ও সেবার দাম বেড়ে যায়। ব্যবসায়ীরা বলছিলেন, চাঁদা দেওয়াকে তাঁরা ব্যবসার খরচ হিসেবেই ধরে নেন এবং সে কারণে পণ্যের দামও বাড়াতে হয়।

ডিএমপির সাবেক কমিশনার নাইম আহমেদ বলেন, ধর্তব্য অপরাধ হিসেবে চাঁদাবাজির ঘটনায় থানা–পুলিশকে মামলা নিতে হবে। প্রতিটি অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা গেলে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button