Science & Tech

চাঁদে পানির সন্ধানে নাসার নতুন অভিযান

নাসা চাঁদের পৃষ্ঠে পানির অবস্থান শনাক্ত করতে ‘লুনার ট্রেইলব্লেজার’ নামে একটি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে। বুধবার ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে এটি মহাকাশে পাঠানো হয়।

উপগ্রহটি মূলত চাঁদের দক্ষিণ মেরুর স্থায়ী ছায়াযুক্ত গহ্বরে বরফের অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে কাজ করবে। এটি লকহিড মার্টিনের মহাকাশ বিভাগ তৈরি করেছে এবং প্রাথমিক পে-লোড হিসেবে ছিল ইনটুইটিভ মেশিনসের একটি ল্যান্ডার মিশন।

চাঁদে পানির গুরুত্ব 

চাঁদকে সাধারণত শুষ্ক ভাবা হলেও পূর্বের গবেষণায় সূর্যালোকপ্রাপ্ত স্থানেও সামান্য পানির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, চাঁদের চরম ঠান্ডা ও স্থায়ী ছায়াযুক্ত অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বরফ থাকতে পারে। এই পানি ভবিষ্যতে চাঁদে মানববসতি স্থাপনে ব্যবহৃত হতে পারে, যা পানীয় জল, অক্সিজেন উৎপাদন ও রকেট জ্বালানির উৎস হিসেবে কাজ করবে।

উপগ্রহটির কার্যপ্রণালী
ওজনে প্রায় ২০০ কেজি ও সম্পূর্ণ বিস্তৃত অবস্থায় ৩.৫ মিটার প্রশস্ত ‘লুনার ট্রেইলব্লেজার’ চাঁদের পৃষ্ঠের পানি ও বরফের পরিমাণ নির্ণয় ও মানচিত্র তৈরি করবে। এটি কয়েক মাস ধরে চাঁদের চারপাশে বহুবার চক্কর কাটবে ও চূড়ান্তভাবে ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থান নিয়ে উচ্চ-রেজুলেশন চিত্র সংগ্রহ করবে।

বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ও সম্ভাবনা
এই অভিযানে দুটি প্রধান বৈজ্ঞানিক যন্ত্র ব্যবহার করা হবে—
১. লুনার থার্মাল ম্যাপার (LTM): চাঁদের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা পরিমাপ করবে।
২. হাই-রেজুলুশন ভোলাটাইলস অ্যান্ড মিনারেলস মুন ম্যাপার (HVM3): চন্দ্রপৃষ্ঠে পানির অস্তিত্ব শনাক্ত করতে নির্দিষ্ট আলোক তরঙ্গ বিশ্লেষণ করবে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রহবিজ্ঞানী ট্রিস্ট্রাম ওয়ারেন বলেন, আমরা মনে করি চাঁদের পানির চলাচল তাপমাত্রার সাথে সম্পর্কিত। তাই HVM3-এ পানির উপস্থিতি ও পরিমাণ এবং LTM-এ তাপমাত্রা পরিমাপের মাধ্যমে এই সম্পর্ক আরও ভালোভাবে বোঝা যাবে।

চাঁদের পানি কোথা থেকে আসতে পারে?
বিজ্ঞানীদের মতে, চন্দ্রপৃষ্ঠে পানির সম্ভাব্য উৎস কয়েকটি—সূর্যের চার্জযুক্ত কণা (সৌরবায়ু) চন্দ্রপৃষ্ঠের খনিজের সাথে বিক্রিয়া করে পানি তৈরি করতে পারে। উল্কাপাত ও ধূমকেতুর সংঘর্ষের মাধ্যমে বিলিয়ন বছর ধরে পানি চাঁদে জমা হতে পারে। পৃথিবীর পানির উৎস খুঁজতে সহায়ক হবে এই গবেষণা 

ওয়ারেন আরও বলেন, চাঁদ প্রায় পৃথিবীর সৃষ্টির সময় থেকেই পৃথিবীর কক্ষপথে রয়েছে। তাই চাঁদের পানির উৎপত্তি বুঝতে পারলে পৃথিবীতে পানির উৎস সম্পর্কেও নতুন তথ্য পাওয়া যেতে পারে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
Toto Slot
slot gacor
slot gacor
slot toto
Bacan4d Login
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot bacan4d
bacan4d togel
bacan4d game
slot gacor
bacan4d login
bacantoto 4d
toto gacor
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
slot77 gacor
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
bacansports
slot toto
Slot Dana
situs toto
bacansports
bacan4d
bacan4d