চীনের সমালোচকরাই ট্রাম্প সরকারের বড় পদে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সদ্য নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনে কাকে কাকে নিয়োগ দিচ্ছেন, তা নিয়ে চলছে ব্যাপক জল্পনা। ট্রাম্প নিজেও বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে কেন্দ্রীয় সরকারে দায়িত্ব বণ্টনের ক্ষেত্রে বড় ধরনের রদবদল থাকবে। তবে দেখা যাচ্ছে, চীনের সমালোচকরাই ট্রাম্প সরকারের বড় সব পদে বসতে চলেছেন।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ও দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তথ্য বলছে, ফ্লোরিডার কট্টরপন্থী সিনেটর এবং চীনের সমালোচক মাইকেল ওয়াল্টজকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
গত জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনে ট্রাম্পের প্রশংসা করে বক্তব্য দেন সেনাবাহিনীর বিশেষায়িত দলের সদস্য ওয়াল্টজ। গত সপ্তাহে কংগ্রেস নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো পুনর্নির্বাচিত হন ওয়াল্টজ। এর আগে বিভিন্ন সময় ওয়াল্টজ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনা কার্যকলাপের সমালোচনা করেছেন এবং এই অঞ্চলে সম্ভাব্য সংঘাতের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রস্তুত থাকার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন।
এছাড়া সোমবার রয়টার্স জানায়, মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিওকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছেন ট্রাম্প। রুবিও হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী, যিনি লাতিনো বংশোদ্ভূত। বিগত বছরগুলোতে তিনি চীন, ইরান, কিউবাসহ যুক্তরাষ্ট্রের ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতি সম্মান রেখেই শক্তিশালী মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির পক্ষে কথা বলেছেন।
এদিকে নির্বাচনে ট্রাম্পের কাছে পরাজিত হওয়ার পর প্রথমবার একসঙ্গে জনসমক্ষে উপস্থিত হলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। সোমবার ভার্জিনিয়ার আর্লিংটনে অবস্থিত একটি জাতীয় সমাধিক্ষেত্রে অজ্ঞাতনামা সৈনিকদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তারা।
অন্যদিকে ২০২১ সালের ৬ই জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গায় অংশ নেয়ার কারণে অভিযুক্তরা ক্ষমা পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন । ট্রাম্প সমর্থকদের মধ্যে ডেরিক ইভান্সের সন্তুষ্টিটা একটু বেশিই। তিনি আশা করছেন ক্যাপিটল হিলে তিনি এবং কমপক্ষে দুই হাজার ট্রাম্প সমর্থক ক্ষমার মধ্য দিয়ে জীবন পরিবর্তন হতে পারে।