চ্যাটজিপিটি-র পর ফের ধামাকা ওপেন এআই-র, শুধু লিখে দিলেই তৈরি হবে ভিডিও
আপনি শুধু লিখে দিন। আর তা থেকেই চোখের নিমেষে পছন্দমতো ভিডিও তৈরি করে দেবে ‘সোরা’। আলাদাভাবে সেই ভিডিও এডিট করতে হবে না। ছিঁটেফোটাও খাটতে হবে না। এমনই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স ভিত্তিক টুল ‘সোরা’ চালু করল মাইক্রোসফটের সাহায্যপ্রাপ্ত ওপেন এআই। এ সংস্থাই চ্যাটজিপিটি লঞ্চ করে ঝড় তুলে দিয়েছিল।
যদিও ওপেন এআই যে ধরনের টুল লঞ্চ করেছে, তা নতুন কোনও বিষয় নয়। অতীতে একইরকম প্রযুক্তির ব্যবহার করেছে গুগল, মেটার মতো তথ্যপ্রযুক্তি জায়ান্ট। স্টার্ট-আপ রানওয়ে এমএলও সেরকম প্রযুক্তি চালু করেছে। কিন্তু ‘সোরা’ চালু হওয়ার ফলে ওই প্রযুক্তির ব্যাপকতা আরও বৃদ্ধি পেল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে এখনই সেটা ব্যবহার করতে পারবেন না সাধারণ মানুষ। তাছাড়া কীভাবে ‘সোরা’ তৈরি করা হয়েছে, সেই বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি তথ্যও জানায়নি ওপেন এআই।
তবে ‘সোরা’ টুলের মাধ্যমে কতক্ষণের ভিডিও এডিট করা যাবে, সেটা চ্যাটজিপিটির নির্মাতাদের তরফে জানানো হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ সোরার তৈরি করা ভিডিও পোস্ট করে ওপেন এআই-র তরফে বলা হয়েছে, ‘সোরা লঞ্চ করা হচ্ছে, আমাদের নয়া টেক্সট-টু-ভিডিও মডেল। সর্বোচ্চ ৬০ সেকেন্ডের ভিডিও তৈরি করতে পারে সোরা। তাতে অত্যন্ত নিখুঁত দৃশ্য, জটিল ক্যামেরার দিক পরিবর্তন এবং বিভিন্ন অনুভূতি মেশানো বিভিন্ন চরিত্র থাকবে।’
ওপেন এআই-র তরফে যে ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে, তা টোকিওর বলে জানানো হয়েছে। ওই ভিডিওয় দেখা গিয়েছে যে ব্যস্ত শহরের মধ্যে দিয়ে ক্যামেরা যাচ্ছে। সিনেমায় যেমন দৃশ্য থাকে, সেরকম কোনও দৃশ্য মনে হচ্ছে। তাতে দেখা যাচ্ছে যে দোকানের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন কয়েকজন। হচ্ছে তুষারপাত। আর কোনও ফুলের পাপড়ি পড়ছে।
সেই ঘোষণার পরে ওপেন এআই-র সিইও স্যাম অল্টম্যানের উদ্দেশ্যে এক নেটিজেন বলেন, ‘স্যাম, দয়া করে আমায় গৃহহীন করে দেবেন না।’ প্রত্যুত্তরে ওপেন এআই-র সিইও বলেন, ‘আপনার জন্য একটি ভিডিও তৈরি করে দেব। আপনার কী চাই?’ ওই নেটিজেন বলেন, ‘পার্কে দাবা খেলছে একটি হনুমান।’ সেইমতো হাই-কোয়ালিটির একটি ভিডিও শেয়ার করে দেখান ওপেন এআই-র সিইও।