Trending

ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থান সফলতা ধরে রাখতে অর্থনীতিতে শৃঙ্খলা-স্থিতিশীলতা জরুরি

শেখ হাসিনা ভারতে পলায়নের পর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ভঙ্গুর অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার চ্যালেঞ্জে পড়েছে।
নানা প্রক্রিয়ায় সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশ এগিয়ে চললেও ষড়যন্ত্রের থেমে নেই। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি আশার আলো দেখাচ্ছে। ড. ইউনূস ক্যারিশমায় আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দেশের অর্থনীতিতে যুক্ত হতে চলেছে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক সহায়তা। এই সহায়তা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে কয়েক বিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে দেবে। একই সঙ্গে স্বৈরাচার হাসিনার পতনের পর নতুন বাংলাদেশ গড়তে প্রবাসী বাংলাদেশিরা আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর জোয়ার সৃষ্টি করেছেন। রিজার্ভ, রেমিট্যান্স ও দাতা সংস্থার মাধ্যমে দেশের বাইরের এ সহায়তা অব্যাহত থাকলেও দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এক রকম অচল। বিভিন্ন শিল্প গ্রুপ, মাঝারি ও ছোট উদ্যোক্তাদেরও ব্যবসা-বাণিজ্যে অচলাবস্থা নেমেছে। ব্যবসায়ীদের এলসি নেই বললেই চলে। অনেকে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে। মুদি দোকান-ফুটপাতে বেচাকেনা নেই। ব্যবসা না থাকায় মানুষের মধ্যে অর্থের প্রবাহও নেই। অনেকেই আবার সবকিছু বন্ধ করে বিদেশি চলে যাচ্ছেন। এখনও দেশে নতুন বিনিয়োগকারী আসেনি। কর্মসংস্থান বাড়ানোয় উদ্যোগ নেই। এমনকি চীন আশ্বাস দিলেও এখনো কিভাবে বা কি করবে জানায়নি। বর্তমান এই দূরাবস্থার প্রভাব আগামী ২/৩ মাস পর দেশকে অস্থিতিশীল করতে পারে। এতে কারখানার যেমন কাঁচামাল সঙ্কট দেখা দিবে, তেমনি এর সঙ্কটে কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে মালিকরা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবেও দেশের অর্থনীতির দূরাবস্থা ফুটে উঠেছে। বিবিএস’র মতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চতুর্থ ও শেষ প্রান্তিকের ত্রৈমাসিক মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দাড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯১ শতাংশে। বিবিএস জানায়, তৃতীয় প্রান্তিকে ছিল ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং প্রথম প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। অথচ একাধিক বিশেষজ্ঞ বিভিন্ন সময়ে বলেছেন, সাড়ে ৫ বা ৬ শতাংশ জিডিপির জন্য দেশের জনসংখ্যাই যথেষ্ট। কারণ পতিত জমিতে কৃষক ধান, বীজ, শবজি আবাদ করবে, পুকুরের মাছ চাষ করবে। এভাবে গ্রামীণ অর্থনীতি গতিশীল হবে। কিন্তু নানামুখী অস্থিরতায় সবকিছু ধমকে আছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বয়স আড়াই মাসের বেশি হলেও কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। যা দেশের উৎপাদনশীলতা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক হবে, দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করবে। এদিকে এতোদিন যেসব বড় বড় প্রতিষ্ঠান দেশের অর্থনীতির জন্য আর্শীবাদ হিসেবে ছিল সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর কিছু ব্যক্তির অপকর্মের কারনে বর্তমানে বিপর্যস্ত। গত ১৬ বছরে এসব ব্যক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। কিন্তু এসব ব্যক্তির কারনে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বিপাকে পড়েছে। এসব বড় বড় প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে আগামী দিনে দেশের অর্থনীতিতে আরও ঘনঘটা দেখছেন আর্থিকখাতের বিশ্লেষকরা। অথচ এসব প্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমান পর্যায়ে আসতে লেগেছে ৩০ থেকে ৫০ বছর। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় এবং ব্যবসায়ীরা ব্যক্তির দায় প্রতিষ্ঠানের উপর না ফেলার আহবান জানালেও বাস্তবে ভিন্ন। গত ৩০-৫০ বছর ধরে চলা প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন অনেকটা বন্ধের পথে। অথচ ওই সব ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো সচল না রাখলে আগামী দিনে এর প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতে। এসব প্রতিষ্ঠান যদি নতুন করে এলসি করতে না পারে, আগামী কয়েকমাস কাঁচামালের অভাবে বন্ধ হয়ে যাবে কারখানা ও শিল্পের উৎপাদন। প্রশাসক বসিয়েও লাভ হবে না। তাই এসব প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে পৃথকভাবে বসে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
আর্থিকখাতের বিশ্লেষকরা বলেছেন, স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের অর্থপাচার, অনিয়ম-দুর্নীতিতে বিপর্যস্ত অর্থনীতিতে অবশ্যই বর্তমান সরকারের দরকার স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা। অন্যথায় হাসিনা সরকারের চলা গভীর ষড়যন্ত্র দেশকে আবারো বিপাকে ফেলবে। আর তাই এই সরকারের সাফল্যের জন্য দেশের অর্থনীতির স্বার্থে সকল প্রতিষ্ঠান সচল রাখতে হবে। দেশের অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল করতে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান চালু করতে হবে। রপ্তানির জন্য বায়ারদের কিভাবে দেশে আনা যায় সে জন্য বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। তাদের মতে, রাষ্ট্র কখনো ব্যবসা করে না। করবে না। রাষ্ট্র শুধু বিনিয়োগকারীদের ব্যবসার পরিবেশ তৈরি করে দিবে।
আর্থিকখাতের এক বিশ্লেষক উদাহরণ দিয়ে বলেন, হুয়াওয়ের নির্বাহী কর্মকর্তা মেং ওয়ানঝু ৩ বছর জেলে ছিলেন। ২০১৮ সালে গ্রেপ্তারের পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে তিনি মুক্তি পান। কিন্তু এ কারণে প্রতিষ্ঠানের কোন কার্যক্রম এক মিনিটের জন্য বন্ধ থাকেনি। আইন অনুযায়ী মেং ওয়ানঝু এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানও চলেছে স্বাভাবিক নিয়মে। এভাবে স্যামসাং ও অ্যাপলের মতো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও মামলাসহ নানাবিধ সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এ জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম এখনও আগের মতোই স্বাভাবিক। অনেকক্ষেত্রে ব্যবসার গতি আরও বেড়েছে।
আর্থিকখাতের বিশ্লেষকরা মনে করেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে যাদের ব্যাপারে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াতে কারো দ্বিমত থাকতে পারে না। তবে তাদের প্রতিষ্ঠানের যাতে ক্ষতি না হয় সেটা দেখতে হবে। তাদের প্রতিষ্ঠানে বহু মানুষের কর্মসংস্থান আছে। কর্মসংস্থান ও উৎপাদন বজায় রাখতে হবে।
অবশ্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক প্রফেসর ড. মইনুল ইসলাম আশা দেখছেন। তিনি বলেছেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার ব্যাংকিং খাত ও সামগ্রিক অর্থনীতিকে আবার সুষ্ঠু পথে ফিরিয়ে আনার জন্য যথোপযুক্ত নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। তিনি বলেন, ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত ভাবমূর্তির কারণে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দেশের অর্থনীতিতে যুক্ত হতে চলেছে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক সহায়তা। এই সহায়তা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে কয়েক বিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে দেবে। প্রবাসী বাংলাদেশিরা আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর জোয়ার সৃষ্টি করেছেন। তা অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে সুবাতাস বইতে শুরু করবেই।
এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মীর নাসির উদ্দিন বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনা, দুর্বৃত্তায়ন দূর না হলে মূল্যস্ফীতি কমবে না। ব্যবসায়ীরা গ্যাস পাচ্ছেন না, বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না। ডলার সংকটে আমরা এলসি করতে পারছি না। এত চাপ যখন বেসরকারি খাতের ওপর পড়ে, তাহলে আমরা কীভাবে টিকে থাকব জানি না।
এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, সবাই সব সমস্যার কথা বলেছেন। কিন্তু সমাধান করবে কে? বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে? ঘণ্টা বাঁধার লোক তো সরকারে নেই, এখানেও নেই।

সূত্র মতে, হাসিনা সরকারের গত ১৬ বছরে অর্থপাচার, লুটপাটে বিপর্যস্ত দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি। পতিত স্বৈরাচারের ঋণের ভারে দেশের মানুষ ন্যুব্জ হয়ে পড়েছে। দেশের অর্থনীতির সঙ্গে মানুষের অর্থনীতি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। স্বৈরাচারের আমলে লুটপাটতন্ত্র চালু থাকায় মানুষ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে নিঃশেষ হয়ে গেছে। সমাজে বৈষম্য বেড়েছে। সরকারের দালালি করে কিছু মানুষ অর্থ-সম্পদের পাহাড় গড়লেও মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্তে, নিম্নবিত্ত দরিদ্রে এবং দরিদ্র অতি দরিদ্রে পরিণত হয়েছে। পণ্যমূল্য, বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের মূল্য এত বেড়েছে যে, অতীতের সর্বোচ্চ রেকর্ড স্পর্শ করেছে। অধিকাংশ মানুষ একবেলা-দু’বেলা না খেয়ে কোনো রকমে জীবনধারণ করছে। সাম্প্রতিক কয়েক মাসে দফায় দফায় বন্যা ও ফসল হানির কারণে মানুষের জীবনধারণের কষ্ট আরো বেরেছে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়লেও আয় বাড়েনি। উল্টো অনেকের আয় কমেছে এবং অনেকে কর্ম হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছে। মূল্যস্ফীতি হ্রাস, আয় বৃদ্ধি এবং অধিক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়নি। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর বিকল্প নেই। এজন্য ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে। যারা উদ্যোগী, তাদের উদ্যম নিয়ে ব্যবসায়ে নিয়োজিত হতে হবে। বিনিয়োগ বাড়লে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, মানুষের আয় বাড়বে, ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে। উৎপাদন বাড়বে, রফতানি বাড়বে, রফতানি আয়ও বাড়বে। সরকারকে এমন ব্যবস্থা ও আয়োজন করতে হবে, যাতে ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হয়; কোনোভাবেই অনীহ না হয়। ব্যবসায়ের পরিবেশ ও সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ এর আগে হতাশা থেকেই হাসিনা সরকারের পতন হয়েছিল। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্যের জন্য কি কি করা দরকার এখনই তা ঠিক করতে হবে।
যদিও দেশের মানুষ আশায় বুক বেধেছিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দূরদর্শী নেতৃত্বে খুব শিগগিরই দেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে। নানমুখী উদ্যোগে অর্থনীতির রক্ত সঞ্চালনে গতি আসবে। কিন্তু এখনো কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। অবশ্য ইতোমধ্যে একাধিক বিনিয়োগকারী বলেছেন, দেশের নিয়ন্ত্রণ যতোদিন রাজনৈতিক শক্তি জনগনের ভোটে নির্বাচিত সরকারের হাতে না যাবে ততোদিন স্থিতিশীলতা ফেরানো কঠিন। তবে এখনো দেশের মানুষ আশাবাদী বরেণ্য ব্যক্তিত্ব ড. ইউনূসে দেশের স্থিতিশীলতা আসবে। এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর অনেক উপদেষ্টাই উপদেশ-পরামর্শ দিয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু কাজের কাজ বা যেখানটায় কাজ করা দরকার তা করছেন না। বর্তমানে উপদেশ-পরামর্শ যতটা প্রয়োজন তার চেয়ে অনেক বেশি প্রয়োজন কাজ করার।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য নিজেও স্বীকার করেছেন, দেশে এখন যে সরকার দায়িত্ব পালন করছে, তা কোনো স্বাভাবিক সরকার নয়। মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের পর একটি আন্দোলনের মুখে এ সরকার এসেছে। রাষ্ট্রযন্ত্রের একটা ছেদ পড়েছে, যাতে মানুষের মধ্যে নতুন প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। বলাবাহুল্য, গণঅভ্যুত্থানে উৎখাত হওয়া স্বৈরাচারের আমলে রাষ্ট্রযন্ত্র ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। প্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সংস্থা কার্যকরযোগ্যতা হারায়। মত প্রকাশের অধিকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, সুশাসন, নাগরিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা সবকিছু হারিয়ে যায়। এমন একটা অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। সরকারের অভীষ্ট লক্ষ্য ও কাজের পরিধি অনেক বেশি। রাষ্ট্রসংস্কার এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর তার প্রধানতম কাজ। সরকার এ দুই লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে। যেহেতু প্রশাসন ও পুলিশসহ সব ক্ষেত্রেই ভগ্নদশা, সুতরাং নানাভাবে কাজ ব্যাহত হচ্ছে; তাতে কাঙ্খিত গতি আসছে না। এই সঙ্গে চলছে পতিত স্বৈরাচারের ঘাপটিমেরে থাকা দোসরদের অসহযোগিতা এবং হাসিনা-মোদির নানামুখী ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত। কত রকমে, কতভাবে যে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চলছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই।
ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, দেশের স্বার্থে ব্যবসা বাণিজ্য থাকতে হবে স্বাভাবিক। দীর্ঘদিন সুশাসনের অভাবে দেশ অনেকটা টালমাটাল ছিল। তাই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব অনেক। এই সরকারকেই দ্রুত ব্যবসার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। ব্যক্তির কারনে অনেক প্রতিষ্ঠান বিপাকে আছে। এ রকম প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারকে বসতে হবে, কথা বলতে হবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনভাবেই যাতে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে না যায় বা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। কারণ স্বাধীনতার পর ধীরে ধীরে এ সব প্রতিষ্ঠান বর্তমান অবস্থানে এসেছে। দেশের স্বার্থে, অর্থনীতির স্বার্থে এ সব প্রতিষ্ঠানকে বাচিয়ে রাখতে হবে। প্রয়োজনে ওই সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া যাতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
Toto Slot
slot gacor
slot gacor
slot toto
Bacan4d Login
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot bacan4d
bacan4d togel
bacan4d game
slot gacor
bacan4d login
bacantoto 4d
toto gacor
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
slot77 gacor
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
bacansports
slot toto
Slot Dana
situs toto
bacansports
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor