জনসমক্ষে মোবাইলে মুখ গুঁজে থাকা নিষিদ্ধ ফ্রান্সে!
সারাদিন ফোনের মধ্যে মুখ গুঁজে বসে থাকা! লোকে বলে, এ এক বড্ড বাজে অভ্যেস। কিন্তু, অভ্যেস যে পিছুও ছাড়ে না। ভাবুন তো, কারও সঙ্গে আপনি কথা বলছেন, আর উল্টো দিকের মানুষটা মোবাইলে মুখ গুঁজে স্ক্রোল করে যাচ্ছেন। কি বিচ্ছিরি লাগে তখন! আর এই বদ-অভ্যেস বন্ধ করতেই এবার দারুণ এক নিয়ম চালু হল। জনসমক্ষে কোথাও আর মোবাইলে স্ক্রোলিং করা যাবে না। পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
সম্প্রতি এমনই এক নিয়ম চালু হয়েছে ফ্রান্সের এক গ্রামে। স্মার্টফোনের দুনিয়ায় মানুষ যেভাবে হারিয়ে যেতে শুরু করেছে, যেভাবে সামনাসামনি কথা-বলা, খোলামনে গল্প করা কমে যাচ্ছে, তা বন্ধ করতেই এই কড়াকড়ি আনল তারা।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের দক্ষিণে সুন্দর একটি গ্রাম সিয়েনা পোর্ট। সেখানকার স্থানীয় গ্রামবাসীরাই এবার নিজেদের মধ্যে ভোটাভুটি করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই গ্রামে আর কেউ প্রকাশ্যে মোবাইলে স্ক্রোলিং করতে পারবেন না। মানে রাস্তাঘাটে একা হাঁটতে হাঁটতে আর কেউ মোবাইলে মাথা গুঁজে স্ক্রোল করতে পারবেন না। রেস্তঁরায় কিংবা কোনও ক্যাফেতে খেতে গিয়েও আর মোবাইল স্ক্রোল করা যাবে না। কিংবা ধরুন কোনও দোকানে গিয়েছেন, সেখানেই একই নিয়ম। এমনকী পার্কে গিয়ে বেঞ্চে বসে বসেও আপনি মোবাইল ঘাঁটতে পারবেন না।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বাচ্চাদের অভিভাবকদের জন্যও জারি হয়েছে বিশাল কড়াকড়ি। স্ক্রোলিং ব্যানের আওতায় পড়ে গিয়েছেন তাঁরাও। বাচ্চাদের জন্য স্কুলের বাইরে অপেক্ষা করার সময়ও অভিভাবকরা নিজেদের মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি করতে পারবেন না। তবে এই কড়াকড়ি মেনে নিতে আপত্তি নেই অভিভাবকদেরও। সিয়েনা পোর্টেরই এক স্কুলে নিজের সন্তানকে ভর্তি করিয়েছেন বছর চৌত্রিশের লুডিভিন। তিনি কিন্তু নতুন এই কড়াকড়িকে সমর্থনই জানাচ্ছেন।