USA

জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে আবার ধাক্কা খেলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন–সংক্রান্ত কঠোর ব্যবস্থার অংশ হিসেবে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের স্বয়ংক্রিয় অধিকার রদ করার প্রচেষ্টা আরও একবার ধাক্কা খেয়েছে। তাঁর এ–সংক্রান্ত আদেশ আরও একবার আটকে দেওয়ার কথা বলেছেন তৃতীয় আরেকজন ফেডারেল বিচারক। গত সপ্তাহে সিয়াটল ও মেরিল্যান্ডের দুজন বিচারপতির পর নিউ হ্যাম্পশায়ারের ডিস্ট্রিক্ট বিচারপতি জোসেফ এন ল্যাপলান্ট গতকাল সোমবার একই ধরনের আদেশ দেওয়া কথা বলেছেন।

গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর অবৈধভাবে বাস করা ব্যক্তিদের সন্তানের জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার রদ করতে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের দায়ের করা এক মামলায় দাবি করা হয়, ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশ সংবিধান লঙ্ঘন করছে এবং সংবিধানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক মূল্যবোধকে পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

ট্রাম্পের রিপাবলিকান প্রশাসন জোর দিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নন, এমন মা–বাবার সন্তানেরা যুক্তরাষ্ট্রের এখতিয়ারের অধীন নয়, তাই তারা নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকারী নয়। এর আগে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশকে সিয়াটলের বিচারপতি বাধা দেওয়ার পড় ট্রাম্প প্রশাসন রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করছে।

আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের মামলায় পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক জোসেফ ল্যাপলান্ট বলেন, তিনি ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ বাস্তবায়নে বাধা দিতে প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞা জারি করবেন।

সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের আমলে নিয়োগ পাওয়া বিচারক ল্যাপলান্ট আদালতে শুনানির সময় বলেন, তিনি তাঁর যুক্তি ব্যাখ্যা করে লিখিত সিদ্ধান্ত জানাবেন। তিনি আশা করেন, সমস্যাটি সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমেই কোনো না কোনোভাবে সমাধান হবে।

ট্রাম্পের আদেশে মার্কিন সংস্থাগুলোকে ১৯ ফেব্রুয়ারির পর মা বা বাবা কেউই মার্কিন নাগরিক বা বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা না হলে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের নাগরিকত্ব স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরিচ্যুত

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প ইতিমধ্যে ২০০ জনের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করেছেন। ট্রাম্প লাখো সরকারি কর্মচারীকে আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি মার্কিন সরকারে বৈচিত্র্য, ন্যায্যতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক (ডিইআই) কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন।

হোয়াইট হাউস ২০ লাখের বেশি ফেডারেল কর্মচারীদের পদত্যাগের প্রস্তাব দেয়। কেন্দ্রীয় সরকারের আকার কমানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে একজন বিচারক সাময়িকভাবে ট্রাম্পের পরিকল্পনাটি স্থগিত করেছেন। ট্রাম্প তাঁর প্রস্তাবে ফেডারেল কর্মীদের ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে আট মাসের বেতনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

হোয়াইট হাউসের দাবি, ইতিমধ্যে ৪০ হাজারের বেশি সরকারি কর্মচারী প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছেন।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

bacan4d slot toto