জাতিসংঘের প্রতিবেদন: পানি সংকটে বিশ্বে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় দক্ষিণ এশিয়া
পানি সংকটে বিশ্বে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো। সোমবার এক রিপোর্টে জাতিসংঘ এই তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, আগের তুলনায় আরও অনেক বেশি শিশু পানির তীব্র সংকটের সম্মুখীন হয়ে সংগ্রাম করছে। এমনকি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বের অন্য যে কোনো জায়গার চেয়ে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে পানি সংকট আরও খারাপ হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
জাতিসংঘের শিশু সংস্থা এক প্রতিবেদনে বলেছে, দক্ষিণ এশিয়ায় ১৮ বছরের কম বয়সী ৩৪৭ মিলিয়ন শিশু ব্যাপক বা অতি ব্যাপকভাবে পানির ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছে। এটি সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের অন্য সব অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ। আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা নিয়ে গঠিত আটদেশীয় এই অঞ্চলে বিশ্বের এক-চতুর্থাংশেরও বেশি শিশু রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন আবহাওয়ার ধরন এবং বৃষ্টিপাতকে ব্যাহত করছে। এই কারণে পানির সংকটও বাড়ছে।
প্রতিবেদনে পানির নিম্ন গুণমান, পানির অভাবসহ অব্যবস্থাপনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পানির উৎসও কমে যাচ্ছে। ইউনিসেফ আরও বলেছে, গ্রামের কূপগুলো যখন শুকিয়ে যায়, তখন ঘরবাড়ি, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং স্কুল সবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জলবায়ুর ক্রমবর্ধমান অপ্রত্যাশিত সংকটসহ দক্ষিণ এশিয়ায় শিশুদের পানির ঘাটতি সামনের দিনগুলোতে আরও খারাপ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আগামী ডিসেম্বর মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে জাতিসংঘের কপ-২৮ জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিসেফ বলেছে, এই সম্মেলনে অংশ নেওয়া নেতাদের তারা ‘গ্রহ বাসযোগ্য ও নিরাপদ রাখার’ আহ্বান জানাবেন।
দক্ষিণ এশিয়ায় ইউনিসেফের প্রধান সঞ্জয় উইজেসেকেরা বলেছেন, নিরাপদ পানি পাওয়ার বিষয়টি একটি মৌলিক মানবাধিকার। তবুও দক্ষিণ এশিয়ার লক্ষাধিক শিশুর জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্রমবর্ধমানভাবে উদ্ভূত বন্যা, খরা এবং অন্যান্য বিপর্যয়কর আবহাওয়ার কারণে পান করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি নেই।