Hot

‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ টক অব দ্য কান্ট্রি নতুন দল, হাজারো স্বপ্ন

‘ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা/ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ/আধমরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা’ (-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)। কবির এই কবিতার মতোই ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিস্টের জুলুম-নির্যাতনে পিষ্ট আধমরা জাতিকে ঘা মেরে জাগিয়ে তুলেছিল দেশের নবীন শিক্ষার্থীরা। মাফিয়া নেত্রী শেখ হাসিনাকে উৎখাতের লক্ষ্যে গুলির সামনে বুক পেতে দিয়ে তরুণরা গোটা জাতিকে জাগিয়ে তুলে ৫ আগস্ট অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে। দিল্লির শৃঙ্খলমুক্ত হয়ে দেশ নতুন পথ খুঁজে নিয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থীরা দেশগড়ার লক্ষ্যে ‘স্টুডেন্ট ফার্স্ট, বাংলাদেশ ফার্স্ট’ সেøাগান সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গঠন করেছে। শিক্ষার্থীদের নতুন রাজনৈতিক দল এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। ছাত্র-ছাত্রীদের নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে নেট দুনিয়ায় আলোচনা-সমালোচনা-বিতর্ক-অভিনন্দন-জিন্দাবাদ-মুর্দাবাদের ¯্রােত বইছে। প্রশ্ন হচ্ছে, কেমন হবে নতুন এই রাজনৈতিক দল? অল্পবয়সী নেতানেত্রীরা কি দেশের রাজনীতিতে গণমানুষের চেতনা ধারণ করে নতুন ধারা সৃষ্ট করবে? নাকি পুরোনো ধারার রাজনীতির ¯্রােতে গা ভাসিয়ে এমপি-মন্ত্রী হয়ে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাবে? সবখানে চলছে এ নিয়ে কথাবার্তা। সোশ্যাল মিডিয়ায় পক্ষে-বিপক্ষে সমানতালে চলছে বিতর্ক। ছা-ত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর শিক্ষার্থীরা কার্যত তড়িঘড়ি করেই রাজনৈতিক দল গঠন করেছে। নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার লোভনীয় পদ ছেড়ে দিয়ে নতুন দলের নেতৃত্ব নিয়েছেন। সংবিধানের দেয়া মন্ত্রীর সুযোগ সুবিধা ছুড়ে ফেলে রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব নেয়ার নজির তেমন নেই। মাদরাসা দিয়ে শিক্ষাজীবন শুরু করা আকতার হোসেনের সাহসী ভূমিকা সবার জানা। হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলমসহ কয়েকজন এরই মধ্যে সারাদেশে পরিচিতি লাভ করেছেন। যদিও নতুন দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের কারো কারো বিরুদ্ধে নিয়োগ-ভর্তি-বদলি বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ফলে গায়ে কাদা লেপ্টানোর আগেই সতর্ক হওয়া উচিত।

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত যেমনÑ ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতায় লিখেছেন, ‘জন্মিলে মরিতে হবে’ তেমনি কাজ করলে বা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করলে তা নিয়ে তর্কবিতর্ক হবেই। আগস্ট বিপ্লবের নায়কদের নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে বিতর্ক চলছে। কেউ পক্ষে-কেউ বিপক্ষে মতামত দিচ্ছেন। গণমাধ্যম বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ফেসবুক, ব্লগ, টুইটারে নতুন দল নিয়ে চলছে তীব্র আলোচনা। অনেকের কর্মকা- নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভারতে পালিয়ে যাওয়া হাসিনার অলিগার্করা যেমন নতুন দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কালিমা লেপনের মহাপ্রকল্প নিয়ে মাঠে নেমেছেন; তেমনি অনেকেই নতুন দল সফল হোক, দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করুক সেটি চাচ্ছেন মনেপ্রাণে। ইংরেজিতে একটি কথা রয়েছেÑ ‘মর্নিং সোজ দ্য ডে’ (সকালেই বোঝা যায় পুরো দিনটা কেমন যাবে)। শিক্ষার্থীরা ‘স্টুডেন্ট ফার্স্ট, বাংলাদেশ ফার্স্ট’ সেøাগান নিয়ে দল গঠনের মধ্যমে বোঝিয়ে দিয়েছে নতুন দল বাংলাদেশকে হৃদয়ে ধারণ করেই রাজনীতিতে নেমেছে। ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির স্লোগান চার দশকের বেশি সময় আগের বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা জিয়াউর রহমানের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। ১৯৭৮ সালে ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ/জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ’ স্লোগান সামনে রেখেই তিনি বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কণ্ঠশিল্পী শাহনাজ রহমতউল্লাহর কণ্ঠে দেশাত্মবোধক এ গানটি শুনলেই মানুষের হৃদয়ে দেশপ্রেমের কাঁপন ধরে যায়।

অপ্রিয় হলেও সত্য যে, এখন দেশের মানুষের জন্য ‘বাংলাদেশ ফার্স্ট’ স্লেøাগানই যথার্থ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অজুহাতে শেখ হাসিনা রাজনীতির নামে ৯২ ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশকে কার্যত হিন্দুত্ববাদী ভারতের তাঁবেদারে পরিণত করেছিল। ক্ষমতায় থাকার শর্তে দিল্লির স্বার্থে বাংলাদেশের প্রশাসনিক সব ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে রাজনীতিকদের ভারতের সেবাদাসী করায় মানুষ এখন আর কোনো বিদেশির স্বার্থ রক্ষার রাজনীতি দেখতে চায় না। এক সময় তো রুশ-ভারত দেশের রাজনীতিতে দুর্গন্ধ ছড়িয়েছিল। রাজনীতির মাঠে স্লোগান ছিলÑ ‘রুশ-ভারতের দালালরা হুঁশিয়ার সাবধান’। এখন সেটি শোনা না গেলেও বিদেশি তাঁবেদারি রাজনীতির চর্চা বিদ্যামান। নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে গত ৩৫ বছর বাংলাদেশে রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি হলেই বিদেশিদের অনুকম্পার প্রতিযোগিতা হতো। যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপে লবিস্ট নিয়োগ করে নিজ নিজ দলের পক্ষে বিদেশি শক্তিগুলোকে নেয়ার চেষ্টা হতো। অথচ সংবিধানিকভাবে সব ক্ষমতার উৎস জনগণ হলেও সেই জনগণ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে থাকত উপেক্ষিত। জনগণ চায় দেশপ্রেমের উদ্বুদ্ধ রাজনৈতিক দল; যে দলের নেতারা গণমানুষের স্বার্থ দেখবে, ক্ষমতার জন্য বিদেশিদের খুশি করবে না।

দেশের রাজনীতিতে ভারতপন্থি, চীনপন্থি, পাকিস্তানপন্থি, যুক্তরাষ্ট্রপন্থি, রাশিয়াপন্থি রাজনীতির চর্চা বিষাক্ত পয়জন রয়ে গেছে। সেটি থেকে বেরিয়ে এসে বাংলাদেশপন্থি রাজনীতি অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। জনগণ সেটিই চাচ্ছে।
‘বাংলাদেশ ফাস্ট’ স্লোগান দিয়ে রাজনৈতিক দল গঠন করলেও তরুণ রাজনীতিকরা কতদূর যাবেন এবং নিজেদের স্বদেশি অবস্থান কতটুকু ধরে রাখতে পারবেন তা সময় বলে দেবে। নতুন দল গঠনের আগে বিতর্ক ছিল তথাকথিত ইসলামি চেতনাধারী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে। তারা সেখানে গোপনে জামায়াতের স্বার্থ রক্ষায় নতুন রাজনৈতিক দলকে জামায়াতের ‘চেতনা’ ধারণে প্ররোচিত করবে। এমন আলোচনাও ছিল যে, ছাত্রদের নতুন দল কার্যত জামায়াতের এক্সটেনশন হচ্ছে। নেট দুনিয়ায় এ নিয়ে বিতর্ক এখনো চলছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি বাংলাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনৈতিক বিশ্লেষক সামিয়া জামান বলেছেন, ‘আপরাইজিংয়ের (গণ-অভ্যুত্থান) পর গত কয়েক মাস অনেকেই মনে করছিল নতুন যে ফোর্সটা আসছে, সেটি হয়তো জামায়াত-শিবিরের বি-টিম। এখন মানুষের যেন অনাস্থাতে না ভুগতে হয়, তার জন্য এবং মানুষের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার জন্য এবং নিজেদের অস্তিত্ব সঙ্কট কাটানোর জন্য তারা এরকম পদ্ধতিতে যেতে বাধ্য হয়েছে বলেই মনে করছি।’ তার মতে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অরাজনৈতিক সংগঠন হওয়ায় নানা মত ও পথের মানুষ এতে যুক্ত হয়েছিল। তবে নতুন দল আত্মপ্রকাশের আগে ‘সাবেক শিবির’ নেতাদের ‘সাইজ’ করা হয়েছে। বিতর্ক এড়াতে এবং ‘জামায়াতি চেতনা’য় ধাবিত ঠেকাতে ওইপন্থি ছাত্রনেতাদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়া হয়নি। ঝুঁকি নিয়ে ছাত্রনেতাদের এ কঠোর অবস্থানকে আমজনতা ‘সাহসী সিদ্ধান্ত’ অবিহিত করেছে।

প্রবাদ রয়েছেÑ ‘যে গাছে ফল ধরে মানুষ সে গাছেই ঢিল মারে’। সুতরাং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল গঠিত হওয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতি মানুষের নজর পড়বেই। নতুন দল নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হবেই। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন শক্তির এজেন্ট নতুন দলকে ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করবেই। বিশেষ করে ইসলামবিদ্বেষী দেশি-বিদেশি এনজিওগুলো বাংলাদেশের নিজস্ব কৃষ্টি-কালচার ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছে। নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব মুনতাসির রহমানের ‘সমকামিতা’ ইস্যু। ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে এমন ‘ঘৃণিত ইস্যু’ জাতীয় নাগরিক পার্টিকে বিতর্কিত যেন করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এটি কার্যত বিকৃত রুচি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন বিতর্কিত বিপদসঙ্কুুল ব্যক্তি। তিনিও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর বিকৃত রুচির ‘সমকামিতা’ দাবি প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছেন। বিদেশি এনজিওগুলো লাখ লাখ ডলার খবর করে বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতির বদলে বিকৃত সংস্কৃতি চর্চার চাষাবাদ করছে। তারা নতুন রাজনৈতিক দলের তরুণ নেতাদের ডলার দিয়ে লোভ-লালসায় ফেলে বিজাতীয় সংস্কৃতির চর্চার বিপথে নেয়ার চেষ্টা করবেÑ সেটিই স্বাভাবিক। দেশের ১৮ কোটি মানুষের চেতনা ধারণ করে নতুন দলের নেতাদের মতলববাজ এনজিও থেকে সতর্ক থাকতে হবে। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের হাজার বছরের সংস্কৃতি রয়েছে। জারি-সারি-মুর্শিদি-ভাওয়াইয়া-হামদ-নাতসহ পদ্মা-মেঘনা-যমুনার পাড়সহ সারা দেশে ছড়িয়ে রয়েছে নানান সংস্কৃতি। পৃথিবীর প্রতিটি দেশে সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যাগুরুদের ধর্মীয় চেতনাকে সংস্কৃতিতে ধারণ করে থাকেন। বাংলাদেশেও তাই। মুসলিম সমাজে তথা ইসলামি সংস্কৃতি হলো মুসলিমদের পালন করা সাংস্কৃতিক অনুশীলন এবং ঐতিহ্যের একটি বিস্তৃত ও বৈচিত্র্যময় সংস্করণ। এই অনুশীলনগুলো ধর্মীয় এবং ধর্মনিরপেক্ষ উভয়ই হতে পারে। এখানে বিকৃত সংস্কৃতি চর্চা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীনতার জায়গা নেই। দেশের মাটি ও মানুষের চেতনায় গড়ে উঠা নতুন দলের নেতাদের এ বাস্তবতা স্মরণ রাখতে হবে। নতুন দল ‘বাংলাদেশ ফার্স্ট’ চেতনায় দল পরিচালনা করলে বিএনপিসহ অন্যান্য দলে যেসব জাতীয়তাবাদী দলের কিছু নেতা ‘ভারত, পাকিস্তান, চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের তথা বিদেশি চেতনাধারী’ তারাও সতর্ক হয়ে উঠতে বাধ্য হবে।

জাতীয় নাগরিক পার্টি ঘোষণার সময় তরুণ নেতারা ‘সেকেন্ড রিপাবলিক বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন (সেকেন্ড রিপাবলিক সার্বিকভাবে এমন ধারণায় কোনো দেশে পূর্ববর্তী শাসনব্যবস্থার বদল ঘটিয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বা শাসনকাঠামো গ্রহণ করাকে বোঝায়)। ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা হিসেবে অবিহিত করেছেন। কিন্তু একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে বাদ দিয়ে দেশের কোনো ইতিহাস রচিত হতে পারে না। তারও আগে সাতচল্লিশ এবং বায়ান্ন রয়েছে। এটি ঠিক, মুক্তিযুদ্ধের আগে শেখ মুজিবুর রহমান ‘পূর্ব পাকিস্তানের পাট বিক্রি করে পশ্চিম পাকিস্তানিরা পান্তাভাতে চিনি খায়’ এমন সস্তা কথাবার্তা বলেছেন। ডিজিটাল যুগে এমন অপপ্রচারণার সুযোগ নেই। কখনো মিথ্যার আশ্রয় নিলে একসময় তার প্রকাশ ঘটবেই। এ ধরনের সস্তা স্লোগান দিয়ে কারো বিরোধিতা এবং কারো পক্ষভুক্ত নয়; উন্মুক্ত পৃথিবীতে নতুন দলের নেতাদের বাস্তবভিক্তিক পদক্ষেপ গ্রহণের পথে হাঁটতে হবে। দেশের সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের কমন বক্তব্যÑ ‘জনগণের সেবা’ করার জন্য তারা রাজনীতি করেন। কিন্তু বাস্তবতা হলোÑ রাজনীতির নামে একদিকে নেতারা নিজেদের পকেট সেবা করছেন, অন্যদিকে দেশ-বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ছেন। রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মতামতকে জনগণের মতামত হিসেবে চালিয়ে দিচ্ছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টির তরুণ নেতাদের কাছে মানুষ কথা ও কাজের মধ্যে সমন্বয় দেখতে চায়। ডিজিটাল যুগে এখন কোনো কিছুই বেশি দিন লুকিয়ে রাখা যায় না। নতুন দল আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা নতুন দলকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে নেট দুনিয়ায় বিতর্ক চলছে নতুন দলও পুরোনো দলগুলোর মতো একই সুবিধাবাদী কক্ষপথে হাঁটবে। মন্ত্রী-এমপি হওয়ার জন্যই তারা দল গঠন করেছে। কাজেই নতুন দলের নেতাদের কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবেÑ তারা জনগণের স্বার্থে রাজনীতিতে নেমেছেন।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
Toto Slot
slot gacor
slot gacor
slot toto
Bacan4d Login
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot bacan4d
bacan4d togel
bacan4d game
slot gacor
bacan4d login
bacantoto 4d
toto gacor
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
slot77 gacor
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
bacansports
slot toto