জীববৈচিত্র্যের ক্ষতিই সংক্রামক রোগকে আরও ভয়ানক করে তুলছে: গবেষণা
নানা কারণে জীববৈচিত্র্য ক্ষত্রিগ্রস্ত হওয়ায় সংক্রামক রোগ আরও তীব্র হচ্ছে। এর ব্যাপকতাও বাড়ছে। এমন তথ্যই উঠে এসেছে নেচার-এ প্রকাশিত নতুন গবেষণায়।
গবেষকদের দাবি, সংক্রামক রোগের সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে। যা মূলত বিভিন্ন বন্যপ্রাণী থেকে ছড়াচ্ছে। পরিবেশ ও প্রকৃতিবিষয়ক গবেষণা জার্নাল নেচার-এ প্রকাশিত বিশ্লেষণে গবেষকরা দেখিয়েছেন, সব ‘বৈশ্বিক পরিবর্তনের মূল চালক’ যেগুলো বাস্তুতন্ত্রকে ধ্বংস করছে, প্রজাতির ক্ষতি করছে, সেগুলো মূলত সংক্রামক রোগের ঝুঁকি ও তীব্রতা বাড়ানোর পেছনে সবচেয়ে দায়ী।
যুক্তরাষ্ট্রের নটরডেম ইউনিভার্সিটির প্রধান গবেষক অধ্যাপক জেসন রোহর বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য হারিয়ে যাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তন ফলে এমনসব রোগের সংখ্যা ও তীব্রতা বাড়াচ্ছে। এর জন্য অপরিকল্পিত নগরায়ণও দায়ী।’ অ্যান্টার্কটিকা ছাড়াও ছয়টি মহাদেশের তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করেছন গবেষকরা।
উদ্ভিদ, প্রাণী এবং মানুষের মধ্যে এসব রোগের তীব্রতা এবং বিস্তার নিয়ে পর্যালোচনাও করেছেন গবেষকরা। জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি, জলবায়ু পরিবর্তন, রাসায়নিক দূষণ, বিদেশি প্রজাতি এবং আবাসস্থলের ক্ষতি; এই পাঁচটি বৈশ্বিক পরিবর্তনকে দুষছেন তারা।
তবে বাসস্থান পরিবর্তন বা মানুষের শহরমুখিতা এসব রোগের প্রভাব কিছুটা কমিয়ে দিয়েছে। শহর এলাকায় কম রোগের প্রবণতা দেখা যায়। তাদের মতে, উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং বন্যপ্রাণীর সংস্পর্শ কম থাকায় শহর এলাকায় সংক্রামক রোগ তুলনামূলক কম।