ঝাড়খণ্ড শিগগিরই ‘মিনি-বাংলাদেশ’ হয়ে উঠবে: হিমন্ত বিশ্বশর্মা
অনুপ্রবেশ ইস্যুতে ঝাড়খণ্ড সরকারের নিন্দায় সরব হলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি দাবি করেছেন যে, রাজ্যটি শিগগিরই ‘মিনি-বাংলাদেশ’ হয়ে উঠবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অনুপ্রবেশ এবং জনসংখ্যার পরিবর্তনের কারণে রাজ্যের সংস্কৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং বিজেপি ক্ষমতায় ফিরে এলে এই রাজ্যে এনআরসি প্রয়োগ করবে। হিমন্ত শর্মা এএনআই-কে বলেছেন, ‘অনুপ্রবেশকারীরা ঝাড়খণ্ডের সংস্কৃতি এবং আদিবাসী অস্মিতা’-তে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে, ঝাড়খণ্ড জনসংখ্যাগত পরিবর্তন দেখতে পাবে এবং এটি একটি মিনি-বাংলাদেশে পরিণত হবে। সাঁওতাল পরগনা মিনি বাংলাদেশ হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে।’
বিজেপির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি তিনটি ঘোষণা করেছি- আমরা যখন সরকার গঠন করব, তখন এনআরসি কার্যকর করা হবে এবং অনুপ্রবেশকারীদের তাড়িয়ে দেওয়া হবে। দ্বিতীয়ত, যদি কোনো অভিবাসী কোনো আদিবাসী মেয়েকে প্রলুব্ধ করে বিয়ে করে, তাহলে তাদের সন্তানেরা ST-এর সুবিধার অধিকারী হবে না। তৃতীয়, যদি কোনো অভিবাসী কোনো উপজাতীয় মেয়েকে বিয়ে করে, তাহলে আমরা নিশ্চিত করব যে মেয়েটি উপজাতি প্রধানের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না।’
আসামের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, সাঁওতাল পরগনায় উপজাতীয় জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে পরিবর্তে মুসলিম সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বাড়ছে। হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, ভগবান হনুমান লঙ্কায় যেমন আগুন দিয়েছিলেন, আমিও অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে আগুন জ্বালাবো। আমাদের অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে আগুন জ্বালিয়ে ঝাড়খণ্ডকে সোনার ভূমিতে পরিণত করতে হবে। কারণ সাঁওতাল পরগনায়, উপজাতীয় জনসংখ্যা কমছে এবং মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ছে।’
মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন – ‘প্রত্যেক মুসলমান অনুপ্রবেশকারী নয় কিন্তু প্রতি ৫ বছর পর মুসলমানদের জনসংখ্যা কিভাবে বাড়ছে? একটি পরিবার কি ১০-১২ টি সন্তানের জন্ম দিচ্ছে? যদি পরিবারগুলি এতগুলি সন্তানের জন্ম না দেয়, তবে অবশ্যই বাইরে থেকে মানুষ আসছে। এটি সহজ গণিত। আমরা নির্বাচনে জয়ী হব তবে এটি আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার নয়। আমাদের অগ্রাধিকার হলো সাঁওতাল পরগানা থেকে অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়িত করা এবং নারীদের জন্য ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করা। ‘