Bangladesh

ঝুঁকির মধ্যেও জাতিসঙ্ঘে শান্তিরক্ষায় অবদান রাখবে বাংলাদেশ: আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস আজ

দিবসটি যথাযথ গুরুত্বসহকারে উদযাপন করতে সশস্ত্রবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস আজ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় এ বছর দিবসটি পালন করা হচ্ছে। জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের সব দেশের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদানকে এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হবে। দিবসটি যথাযথ গুরুত্বসহকারে উদযাপন করতে সশস্ত্রবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে আজ। দিবসটি উপলক্ষে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, সেনা, নৌ, বিমান ও পুলিশ বাহিনীর প্রধানগণ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পিন্সিপাল স্টাফ অফিসার। দিবসটি উপলক্ষে শান্তিরক্ষী দৌড় বা র‌্যালি উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব:) মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী । এই বছর দু’জন আহত শান্তিরক্ষীকে সম্মাননা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আহত শান্তিরক্ষীদের জন্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) পরিচালক লে. কর্নেল সামি উদ-দৌলা চৌধুরী নয়া দিগন্তকে জানান, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও শান্তিরক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনা নৌ ও বিমান বাহিনী। জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনকারী দেশ হিসেবে ১১৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একাধিকবার শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী হিসেবে শীর্ষ অবস্থানে ছিল। জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়েও বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সফলভাবে শেষ করেছে।

আইএসপিআর জানায়, সকালে শান্তিরক্ষীদের স্মরণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে। দীর্ঘ চার দশকের শান্তিরক্ষার ইতিহাসে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের ৪৩টি দেশ ও স্থানে, ৬৩টি জাতিসঙ্ঘ মিশন সফলতার সাথে সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে ১০টি দেশে আমাদের পাঁচ হাজার ৮১৮ জন শান্তিরক্ষী জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ও কার্যক্রমে নিয়োজিত আছে যার মধ্যে রয়েছে ৪৪৪ জন নারী শান্তিরক্ষী। শুরু থেকে এ পর্যন্ত জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সর্বমোট ১৬৮ জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন।

দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে বিশেষ জার্নাল ও জাতীয় দৈনিকগুলোয় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি চ্যানেলে বিশেষ টক-শো প্রচারিত হচ্ছে। এ ছাড়াও, শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের কার্যক্রমের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হবে।

বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আহত শান্তিরক্ষীদের সম্মানে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যগণ, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত/ হাইকমিশনারগণ, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসঙ্ঘের আবাসিক সমন্বয়কারী, তিন বাহিনী প্রধানগণ, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশের মহাপরিদর্শক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন ।

আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন (এএফডি) বা সশস্ত্রবাহিনীর তথ্যানুযায়ী, বিশ্বশান্তিত্বে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৮ সালে জাতিসঙ্ঘ ইরাক-ইরান সামরিক পর্যবেক্ষক গ্রুপ মিশনে (ইউএনআইএমওজি) ১৫ জন পর্যবেক্ষক পাঠানোর মাধ্যমে। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৮৯ সালে শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেয় বাংলাদেশ পুলিশ। এরপর ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং বাংলাদেশ বিমানবাহিনী জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা অভিযানে যোগ দেয়। বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী সর্বদা শান্তিরক্ষায় পুলিশ কন্টিনজেন্টসহ তার সৈন্যদের অবদানের মাধ্যমে বিশ্বশান্তি ও স্থিতিশীলতা জোরদার করার জন্য জাতিসঙ্ঘের আহ্বানে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দিয়ে আসছে। এখন পর্যন্ত, বাংলাদেশ প্রায় ৪৩টি দেশ বা স্থানে ৬৩টি শান্তিরক্ষা মিশন বা কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এসব মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর দুুই লাখ ৫৫৮ জন শান্তিরক্ষী অংশ নিয়েছেন। বাংলাদেশ শীর্ষস্থানীয় সেনা প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে একটি। বর্তমানে ১০টি দেশ/স্থানে মোট পাঁচ হাজার ৮১৮ জন শান্তিরক্ষী মোতায়েন রয়েছে।

সশস্ত্রবাহিনীর তথ্যানুযায়ী, আবেই, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকান, সাইপ্রাস, ডিআর কঙ্গো, লেবানন, লিবিয়া, দক্ষিণ সুদান, ইউএসএ, পশ্চিম সাহারা এবং ইয়েমেনে পাঁচ হাজার ৮১৮ জন শান্তিরক্ষী মোতায়েন রয়েছে। ইতোমধ্যে তিন হাজার ৬৪৫ নারী শান্তিরক্ষী তাদের মিশন সফলভাবে শেষ করেছে। বর্তমানে ৪৪৪ নারী শান্তিরক্ষী মোতায়েন রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চেয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা জাতিসঙ্ঘের শান্তিরক্ষী হিসেবে মোতায়েন হয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করার পাশাাপাশি বাড়তি দায়িত্বও পালন করে। বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকাও পালন করে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত দেশ পুনর্গঠনে দক্ষতা দেখিয়ে যেমন অর্জন করেছে ভালোবাসা তেমনি অর্জন করেছে একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কারও। এক সময় শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে শীর্ষে অবস্থান করা বাংলাদেশ এখন অনেক দেশের রোলমডেল হয়ে উঠেছে।

সেনাসদর দফতরের ওয়েবসাইটে থাকা তথ্যানুযায়ী বর্তমানে ১০টি মিশনে চার হাজার ৮৮০ জন নিয়োজিত রয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর। এর মধ্যে ডিআর কঙ্গোতে ১৫৪৩, কার এ ১৩৩০, সাউথ সুদানে ১৪৩৮ অ্যাবেই এ ৫২৯ জন রয়েছে। এ ছাড়া পশ্চিম সাহারা ইয়েমেন, লেবানন, লিবিয়া, সাইপ্রাস এবং ইউএন সদর দফতরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীরা নিয়োজিত রয়েছেন। বিশ্বের প্রায় সব সমস্যাগ্রস্ত অঞ্চলে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের পদচিহ্ন এখন স্পষ্ট। ২০১১, ২০১৪ এবং ২০১৫ এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশ শীর্ষস্থানীয় সেনা প্রেরণকারী দেশ ছিল।

শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ : পুলিশ সদর দফতরের তথ্যানুযায়ী, জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের পদযাত্রা সূচিত হয় ১৯৮৯ সালে নামিবিয়া মিশনের মাধ্যমে। শুরু থেকে আজ অবধি বাংলাদেশ পুলিশের ২১ হাজার ৮১৫ জন শান্তিরক্ষী ২৪টি দেশে ২৬টি মিশনে পেশাদারত্ব ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশ্ব শান্তিরক্ষায় জীবন উৎসর্গ করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের ২৪ জন শান্তিরক্ষী। বর্তমানে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, সাউথ সুদান ও সেন্ট্রাল আফ্রিকায় জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের ১২৮ জন পুরুষ ও ৭১ জন নারীসহ ১৯৯ জন শান্তিরক্ষী নিয়োজিত রয়েছেন। বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যগণ বিগত ২০০০ সাল থেকে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন। ইতোমধ্যে এক হাজার ৯২৭ জন নারী পুলিশ শান্তিরক্ষী বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে সফলতার সাথে দায়িত্ব সম্পন্ন করেছেন।

বর্তমানে বাংলাদেশের ১৫টি কন্টিনজেন্ট জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা সক্ষমতা প্রস্তুতি ব্যবস্থায় (ইউএসপিসিআরসি) অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে দু’টি র‌্যাপিডলি ডিপ্লয়েবল লেভেল হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেছে। জাতিসঙ্ঘ ২০২৮ সালের মধ্যে মিশনে নারী সদস্যদের অংশগ্রহণ ১৫ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের ৭ দশমিক ৭ শতাংশ শান্তিরক্ষী নারী, যা ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

অর্থনীতিবিদ ও গবেষক ড. মিজানুর রহমান জানান, বাংলাদেশ জাতিসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা মিশনে ১৯৮৮ সালে সর্বপ্রথম ১৫ জন সেনাসদস্য ইরান-ইরাকে সামরিক পর্যবেক্ষণ গ্রুপে পাঠানোর মধ্যে দিয়ে অংশগ্রহণ শুরু করে। গত ৩৮ বছরে ৪০টির বেশি দেশে কাজ করেছে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা। চলতি বছরের মে পর্যন্ত মোট ১৯৪,৮৫৬ জন বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী বিভিন্ন মিশনে অংশগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে তিন হাজার ৩৮ জন নারী শান্তিরক্ষী রয়েছে। শান্তিরক্ষীদের মধ্যে সামরিক ছাড়াও বেসামরিক প্রশাসনিক ও অন্যান্য মোট প্রায় এক হাজার ৮৫০ জন অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পদাতিক, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিট, মেডিক্যাল ইউনিট, মিলিটারি অবজারভার ইত্যাদি সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নারী শান্তিরক্ষীদের অংশগ্রহণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অবদান আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। এই সংখ্যা অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের পরে তৃতীয় সর্বাধিক।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ২০০০-০১ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে মোট ২৭ হাজার ৯৪১ কোটি টাকা আয় করেছে। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী ১৯৮৯ সাল থেকে ২০২৫ পর্যন্ত আয় করেছে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা। সব মিলিয়ে মোট আয় আনুমানিক প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা। জাতিসঙ্ঘ প্রতিটি শান্তিরক্ষী সদস্যের জন্য গড়ে মাসিক প্রায় এক হাজার মার্কিন ডলার প্রদান করে। বাংলাদেশ সরকার এই অর্থের একটি অংশ সদস্যদের প্রদান করে, যা সদস্যের পদমর্যাদা ও জাতীয় বেতন কাঠামোর ওপর নির্ভর করে। বাকি অর্থ সরকার তার কোষাগারে জমা রাখে। পুলিশ বাহিনীর ক্ষেত্রে, জাতিসঙ্ঘ প্রদত্ত মোট অর্থের প্রায় ১০ শতাংশ সরকার পায়। শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

শান্তিরক্ষা মিশনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আহ্বান : এদিকে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাব সম্মুখে আন্তর্জাতিক জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে সিএলএনবি, বৈষম্যবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবার কল্যাণ পরিষদ এবং পিচকিপার্স মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত শান্তি সমাবেশে সভাপতি হারুনুর রশিদ বলেন, জাতিসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ ও অবদান আজ বিশ্বস্বীকৃত। শান্তিরক্ষা মিশনের অপার সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ বছরে প্রায় ৮৫ বিলিয়ন ডলার আয় করতে সক্ষম। এ জন্য প্রয়োজন সরকারের নীতিসহায়তা।

সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, আমাদের গৌরব বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তারা কাজ করছেন।

এ সময় বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। দেশের সেনাবাহিনী তথা সশস্ত্রবাহিনীকে বিতর্কিত করতে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র-অপপ্রচার জনগণ মেনে নেবে না।

আলোচনা শেষে শান্তিরক্ষা মিশনে মৃত্যুবরণকারী দেশের সব শান্তিসেনা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই বিপ্লবের শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত করা হয়।

শান্তি সমাবেশের আরো বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, সাবেক জেলা জজ আনিসুর রহমান কামাল, অ্যাডভোকেট কে এম জাবির, লে. কর্নেল (অব:) আবু ইউসুফ জুবায়ের উল্লাহ, নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, জননেতা নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর, সংযুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান বাবলু, গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম আসাদ, লেখক কালাম ফয়েজী, সমাজসেবক সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহিন, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ফয়েজ হোসেন, সমতা পার্টির আহ্বায়ক হানিফ বাংলাদেশী প্রমুখ।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
Toto Slot
slot gacor
slot gacor
slot toto
Bacan4d Login
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot bacan4d
bacan4d togel
bacan4d game
slot gacor
bacan4d login
bacantoto 4d
toto gacor
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
slot77 gacor
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
bacansports
slot toto
Slot Dana
situs toto
bacansports
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d