Hot

ঝুলে আছে সাড়ে ৫ লাখ জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সংশোধনের আবেদন নির্বাচন কমিশনে (ইসি)

♦ আবেদনের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে ♦ দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রশিক্ষণ ২৬ মে ♦ সম্প্রতি এক সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন ইসির কর্মকর্তারা

নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) ভুল-ভ্রান্তি সংশোধনের জন্য করা সাড়ে পাঁচ লাখ আবেদন ঝুলে আছে। এসব আবেদন নিষ্পত্তিতে ধীরগতির বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি এক সভায় আলোচনা করেছেন ইসির কর্মকর্তারা। আবেদনগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ইসির মাঠ কর্মকর্তাদের নিয়ে আগামী ২৬মে একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করতে যাচ্ছে সংস্থাটি।

ইসির এনআইডি অনুবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ইসিতে জমা পড়া বিভিন্ন ক্যাটাগরি মিলিয়ে এনআইডি সংশোধনের মোট পাঁচ লাখ ৫১ হাজার ৫১২টি আবেদন নিষ্পত্তি হয়নি।

এর মধ্যে ‘ক’ ক্যাটাগরিতে এক লাখ ৩০ হাজার ৪২৬টি, ‘খ’ ক্যাটাগরিতে দুই লাখ ৫১টি, ‘গ’ ক্যাটাগরিতে দুই লাখ চার হাজার ২৫৫টি ও ‘ঘ’ ক্যাটাগরিতে সাত হাজার ৬৬৫টি আবেদন পড়ে আছে। এ ছাড়া ৯ হাজার ১১৫টি আবেদন এখনো কোনো ক্যাটাগরিভুক্ত হয়নি।

২০২০ সালের ২৬ এপ্রিল থেকে অনলাইনে এনআইডি সংশোধন সেবা চালু করে ইসি। এ সময় ক, খ, গ ও ঘ এই চার ক্যাটাগরি করে সংশোধনের জন্য মাঠ পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সংশোধন দায়িত্ব দেয় ইসি।

নাম ও ছোটখাটো তথ্য সংশোধনের জন্য ‘ক’ ক্যাটাগরি।

সার্টিফিকেট ও প্রামাণিক দলিলের সঙ্গে মিল রেখে বয়স সংশোধনের আবেদন ‘খ’ ক্যাটাগরি, নাম ও বয়সের আমূল পরিবর্তনকে ‘গ’ ক্যাটাগরি এবং জটিল সংশোধনগুলোর জন্য ‘ঘ’ ক্যাটাগরি নির্ধারণ করা হয় বলে জানিয়েছেন ইসির কর্মকর্তারা। এসব ক্যাটাগরি নির্ধারণে ইসির ১০ নির্বাচনী অঞ্চলে ১০ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। আর ৩০ দিনের মধ্যে এনআইডি সংশোধন আবেদন নিষ্পত্তির জন্য ২০২২ সালের ৩০ জুন একটি নির্দেশনা জারি করেছিল ইসি।

নির্দেশনায় জানানো হয়েছিল ক্যাটাগরি বিভাজনের পর থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাঁর অধীনে আবেদন নিষ্পত্তি করতে ক্যাটাগরি ‘ক’ সাত কার্যদিবস, ‘খ’ ১৫ কার্যদিবস ও ‘গ’ ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ দিনের সময় পাবেন।

তবে এনআইডি সংশোধনের ধীরগতিতে নিষ্পত্তি না হওয়া আবেদনের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৯ মে ইসির মাঠ কর্মকর্তাদের মাসিক সমন্বয় সভায়ও এ নিয়ে আলোচনা হয়।

ইসির সূত্রের বরাতে জানা যায়, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম এনআইডি সংশোধনে আবেদনগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। আর সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এনআইডি মহাপরিচালককে।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এনআইডি সংশোধনের আবেদনগুলো ক্যাটাগরিকরণ ও দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ১০ জন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, প্রতিটি অঞ্চল থেকে একজন সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, নির্বাচন কর্মকর্তা, থানা/উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী থানা/উপজেলা কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ১০ জন কর্মকর্তা, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের ১০ জন কর্মকর্তা, নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পাঁচজন কর্মকর্তা, স্মার্ট কার্ড তথা আইডিইএ প্রকল্পের পাঁচ কর্মকর্তার অংশগ্রহণে একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রস্তাব করা হয়েছে। আগামী ২৬ মে প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি হওয়ার কথা রয়েছে।

Show More

One Comment

  1. great post, very informative. I ponder why
    the other specialists of this sector do not notice this.
    You must continue your writing. I am sure, you have a great readers’ base already!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button