টাকা-রুপিতে বাণিজ্যবৃদ্ধি করা প্রয়োজন
শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ভারতীয় হাইকমিশনার
টাকা-রুপিতে লেনদেন আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। তিনি বলেন, আমরা রুপিতে বাণিজ্যের যে প্রক্রিয়া শুরু করেছি, তা আরও বাড়িয়ে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা দরকার। তিনি বলেন, বর্তমানে ভারত অন্যান্য দেশ থেকে যেসব দ্রব্য আমদানি করে, তার মধ্যে যেগুলো বাংলাদেশে পাওয়া যায় সেগুলো আমরা বাংলাদেশ থেকে আমদানি করতে আগ্রহী।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন-এর সঙ্গে গতকাল রোববার শিল্প মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাত শেষে প্রণয় ভার্মা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উভয় পক্ষ ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সাক্ষাত্কালে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভারত মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।
এসএমইখাতকে দুই দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা একে অন্যের কাছ থেকে শিখতে পারি। এ সময় শিল্পমন্ত্রী বলেন, আমরা টেকনোলজি খাতে এবং সিমেন্ট উৎপাদনের কাঁচামাল সরবরাহের জন্য ভারতের সহযোগিতা নিতে পারি। বাংলাদেশের বিএসটিআই এবং বাংলাদেশ এক্রিডিটেশন বোর্ডের (বিএবি) সঙ্গে ভারতের সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতার ক্ষেত্র বৃদ্ধি করা দরকার।
সাক্ষাৎ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশের সার কারখানাগুলোতে সার উৎপাদিত হচ্ছে এবং আমদানিকৃত সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। চলমান গ্যাস-সংকটে সার উৎপাদন ব্যাহত হয়নি বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আশা করি, আগামী মৌসুমে সারের কোনো সংকট হবে না। দেশে সারের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করা সম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন।