ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার ছবি যেভাবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে?
এটি এমন একটি ছবি যা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। রক্তাক্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার মুষ্টিবদ্ধ উত্তোলিত হাত, সিক্রেট সার্ভিসের কর্মকর্তারা সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে মঞ্চ থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সাংবাদিক ইভান ভুচির তোলা এই ছবিটি শনিবার পেনসিলভানিয়ায় এক নির্বাচনী সমাবেশে ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার পরপরই ছড়িয়ে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ওই দিনের ছবিগুলোকে আইকনিক বলে অভিহিত করেছে। কেউ কেউ বলছেন, প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচনের গতিপথ পাল্টে দেয়ার সম্ভাবনা তাদের আছে; অন্যরা ভিডিও-র যুগে স্থির চিত্রের উত্তরাধিকার সম্পর্কে মন্তব্য করেন।
তবে নীতি বিশেষজ্ঞরা দেখছেন, একটি মেরুকৃত সময়ে গণমাধ্যম এবং অন্যরা কিভাবে ওই হামলার কভারেজকে ব্যবহার করে।
কানাডার এমিলি কার ইউনিভার্সিটি অফ আর্ট এন্ড ডিজাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ছবি বিশেষজ্ঞ রন বার্নেট বলেন, হত্যাচেষ্টার চিত্র ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার ভাষ্যকে আরো জোরদার করবে।
ভ্যাঙ্কুভার থেকে বার্নেট বলেন, ‘তিনি যেভাবে এর প্রতিটি পর্যায়ে পৌঁছেছেন, যদি আমরা এটিকে যুদ্ধ বলি, তার সাথে ছবিটি খুব যায়। কারণ তিনি এটিকে একটি যুদ্ধ হিসেবে দেখেন। বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে ছবিটি ইঙ্গিত দেয় যে- তিনি একটি যুদ্ধে রয়েছেন এবং ইতোমধ্যেই ক্রমাগত বিপদের মধ্যে রয়েছেন।’
সান্তা ক্লারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম নৈতিকতা কেন্দ্রের পরিচালক সুব্রামানিয়াম ভিনসেন্ট বলেন, এই মূহূর্তের চিত্রায়ন রাজনৈতিক আলোচনায় ভূমিকা রাখবে।
ভয়েস অফ আমেরিকাকে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, আমেরিকান সংস্কৃতি, রাজনীতি, বন্দুক, সহিংসতার আখ্যানে ছবিটি কোথায় রয়েছে তা ব্যাখ্যা করার মধ্যে এটার আসল নৈতিকতা লুকিয়ে আছে।’
ভুচির জন্য গুলিবর্ষণ এবং পরবর্তী ঘটনাগুলোর ছবি ধরে রাখা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম এটি আমেরিকার ইতিহাসের একটি মুহূর্ত যা নথিভুক্ত করতে হবে।’ ‘আমি বলতে চাচ্ছি, সাংবাদিক হিসেবে এই কাজটি করা আমাদের দায়িত্ব।’