ট্রাম্পের আল্টিমেটাম নিয়ে পুতিন কেন চিন্তিত নন?

ট্রাম্প প্রশাসন ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে অর্থ গ্রহণ করবে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ করবে।
ইউক্রেন যুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির আল্টিমেটাম মেনে নেয়ার কোনো ইচ্ছা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নেই। এই আল্টিমেটাম ৮ আগস্ট শুক্রবার শেষ হচ্ছে।
পার্সটুডে অনুসারে, ক্রেমলিনের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে যে- রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আল্টিমেটাম মেনে নেয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। ট্রাম্প কোনো চুক্তি না হলে রাশিয়ার উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা এবং রাশিয়ার তেল কিনবে এমন দেশগুলির (চীন ও ভারতসহ) উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।
তিন সপ্তাহ আগে, ট্রাম্প এক বিবৃতিতে পুতিনের সমালোচনা করে বলেছিলেন যে- তিনি মনে করেন ভ্লাদিমির পুতিন এমন একজন যিনি তার কথা রেখেছেন। যদিও পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধের সময় বারবার এই বার্তাটি পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে তিনি কেবল তার শর্ত পূরণকারী চুক্তিগুলিই গ্রহণ করবেন, অন্যথায় তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা এবং মস্কোকে শান্তি চুক্তিতে চাপ দেয়া হলেও ক্রেমলিনের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি।
পাশ্চাত্য গণমাধ্যম দাবি করছে যে- পুতিনের লক্ষ্য হচ্ছে চারটি অঞ্চল অর্থাৎ দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝিয়া এবং খেরসনকে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করা এবং তারপরে তিনি শান্তি আলোচনায় যাবেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে- রাশিয়া ইউক্রেনে অগ্রসর হচ্ছে এবং নতুন নিষেধাজ্ঞার খুব একটা প্রভাব পড়বে না এবং এই কারণে তিনি রাশিয়ার উপর আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপের ট্রাম্পের হুমকিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। যদিও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে রাগাতে চান না এবং ওয়াশিংটনের সাথে উন্নত সম্পর্ক বজায় রাখার আশা করেন, তবে তার প্রধান অগ্রাধিকারযোগ্য বিষয় হলো তার লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া।
এমন পরিস্থিতিতে জানা গেছে, ট্রাম্প প্রশাসন ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে অর্থ গ্রহণ করবে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ করবে। নেদারল্যান্ডস আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসেবে ইউক্রেনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কিনতে শুরু করেছে। গত তিন মাসে, রাশিয়া অনেক বেশি এলাকা দখল করে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙেছে এবং সামরিক কমান্ডাররা পুতিনকে জানিয়েছেন যে- আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে ইউক্রেনীয় ফ্রন্ট ভেঙে পড়বে।