USA

ট্রাম্পের কিনে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশের পর গ্রিনল্যান্ড ভ্রমণে যাচ্ছেন তাঁর ছেলে

সপ্তাহ দুই আগে বাবা নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও গ্রিনল্যান্ড কিনে নেওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। এবার ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত এ দ্বীপে ভ্রমণে যাচ্ছেন তাঁর বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র।

ট্রাম্প জুনিয়রের এ সফর অবশ্য ব্যক্তিগত। একটি পডকাস্টের জন্য ভিডিও ফুটেজ নিতে তিনি এক দিনের জন্য গ্রিনল্যান্ডে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো খবর প্রকাশ করেছে।

গত মাসে ট্রাম্পের এক মন্তব্য গ্রিনল্যান্ড নিয়ে বিতর্ক নতুন করে উসকে দিয়েছে। ডিসেম্বরে ট্রাম্প বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরি।

আগেও প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম মেয়াদে আর্কটিক অঞ্চলের দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড কিনে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প। গ্রিনল্যান্ডের নেতারা অবশ্য দুবারই তাঁর এ আকাঙ্ক্ষাকে জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এর আগেও প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম মেয়াদে আর্কটিক অঞ্চলের দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড কিনে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প। গ্রিনল্যান্ডের নেতারা অবশ্য দুবারই তাঁর এ আকাঙ্ক্ষাকে জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

ট্রাম্পের মন্তব্যের পর ডিসেম্বরে গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিউট এগেদে বলেছিলেন, ‘আমরা বিক্রির জন্য নই এবং ভবিষ্যতেও বিক্রির জন্য থাকব না। গ্রিনল্যান্ডের মালিক গ্রিনল্যান্ডের জনগণ।’

গতকাল সোমবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প তাঁর ছেলের গ্রিনল্যান্ড সফরে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি লেখেন, ডন জুনিয়র ও বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি গ্রিনল্যান্ড ভ্রমণে যাবেন। সেখানে তাঁরা সবচেয়ে সুন্দর কয়েকটি এলাকা ও দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করবেন।

ট্রাম্প তাঁর পোস্টে আরও লেখেন, ‘যদি গ্রিনল্যান্ড আমাদের দেশের অংশ হয়, দ্বীপটি ও এর জনগণ দারুণভাবে লাভবান হবেন। বাইরের খুবই খারাপ দুনিয়ার হাত থেকে আমরা এটিকে সুরক্ষা দেব এবং যত্ন করে আগলে রাখব। গ্রিনল্যান্ডকে আবার মহান করুন।’

গ্রিনল্যান্ডের হিমশৈল

গ্রিনল্যান্ডের হিমশৈলরয়টার্স ফাইল ছবি

ট্রাম্প তাঁর পোস্টে একটি ভিডিও দিয়েছেন। ভিডিওতে গ্রিনল্যান্ডের একজন বাসিন্দাকে দেখা যাচ্ছে। তাঁর নাম প্রকাশ করা হয়নি। ওই ব্যক্তি লাল রঙের একটি ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ লেখা টুপি পরে ছিলেন।

ভিডিওতে ওই ব্যক্তিকে ট্রাম্পের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘গ্রিনল্যান্ড কিনে নিন এবং এটিকে ডেনমার্কের উপনিবেশ থাকা থেকে মুক্ত করুন।’

উত্তর আমেরিকা থেকে ইউরোপে যাওয়ার সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত পথে পড়ে গ্রিনল্যান্ড। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে তাই দ্বীপটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এ দ্বীপে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র রয়েছে।

ট্রাম্পের এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় তাঁর ছেলে ট্রাম্প জুনিয়র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বাবার হয়ে তিনি নিয়মিত নির্বাচনী সমাবেশ ও শোভাযাত্রায় উপস্থিত থেকেছেন। তবে তিনি বাবার আসন্ন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবার গ্রিনল্যান্ড ভ্রমণে যাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ট্রাম্পের জয়কে সত্যায়ন করেছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button