USA

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ঘুষের মামলা শেষের পথে

যৌনকর্মীকে ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ রাখার মামলায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছেছে। আগামীকাল মঙ্গলবার আইনজীবীদের সমাপনী যুক্তির মাধ্যমে এর যুক্তিতর্ক পর্ব শেষ হবে। এরপর এ মামলার জুরিরা ট্রাম্পকে অপরাধী সাব্যস্ত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন। মার্কিন ইতিহাসে এটাই হবে আদালতে সাবেক কোনো প্রেসিডেন্টের প্রথম মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার ঘটনা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি আছে ছয় মাসের কম সময়। এর মধ্যে ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করার এ ঘটনা দেশটির রাজনীতিতে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, তা দেখার বিষয়। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৬ সালে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে তাঁর যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে তাঁর সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেনের মাধ্যমে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়া হয়েছিল স্টর্মিকে। ব্যবসায়িক রেকর্ডে এ তথ্য গোপন করেছিলেন ট্রাম্প। ব্যবসায়িক তথ্য নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে।

ট্রাম্প অবশ্য নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও দাবি করেছেন, স্টর্মির সঙ্গে তাঁর কোনো যৌন সম্পর্ক হয়নি। এখন আদালতে ট্রাম্প যদি দোষী সাব্যস্ত দোষ হন, তবে ৩৪টি অভিযোগে তাঁর সর্বোচ্চ চার বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে আইনবিশেষজ্ঞরা বলেন, ট্রাম্পের ক্ষেত্রে আগে যেহেতু এ ধরনের কোনো অপরাধের রেকর্ড নেই, তাই তাঁকে কারাদণ্ড দেওয়ার সুযোগ কম।

এ ছাড়া এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে আগামী নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে তাঁর কোনো বাধা নেই।

আদালতে সমাপনী যুক্তি পর্ব পর্যন্ত আসতে প্রায় পাঁচ সপ্তাহ সময় লেগেছে। এ সময় ২০ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং আদালতে বেশ কিছু উত্তপ্ত বাক্যালাপ হয়েছে। সমাপনী যুক্তির মাধ্যমে ১২ সদস্যের জুরির সামনে কৌঁসুলিদের নিজেদের অবস্থান তুলে ধরার সর্বশেষ সুযোগ থাকছে। তবে এই মামলায় ট্রাম্প সাক্ষ্য দেননি। এ মামলার সময় ট্রাম্পকে গ্যাগ অর্ডার জারি করে চুপচাপ থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। ফলে তিনি মামলার বাদী ও বিচারকদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারেননি। তবে এর আগে তিনি বিচারক মারচানের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। আদালত অবমাননার দায়ে ট্রাম্পকে ১০ হাজার ডলার জরিমানাও গুনতে হয়েছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button