ট্রাম্প-জাকারবার্গ সম্পর্কের বরফ গলছে, আকস্মিক নৈশভোজে
একসময়ের হিমশীতল সম্পর্কের বরফ গলছে। তারই প্রমাণ হিসেবে ফ্লোরিডার মার-এ লাগো অবকাশযাপন কেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মেটা বস বা ফেসবুকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। শুধু সাক্ষাৎ নয়, রীতিমতো নৈশভোজে যোগ দিয়েছেন দু’জন। এরই মধ্যে সামাজিক ক্ষুদ্রবার্তার মাধ্যম এক্সের মালিক ইলন মাস্কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ গড়ে উঠেছে ট্রাম্পের। তাদের এই সম্পর্ক শুধু সম্পর্কই নয়, নির্বাচিত হওয়ার পর মাস্কের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। কারণ, এবার নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্পকে অঢেল অর্থ ও সমর্থন দিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু মার্ক জাকারবার্গের সঙ্গে ট্রাম্পের এমন ঘনিষ্ঠতা ছিল না। ২০২১ সালের ৬ই জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গা নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করার কারণে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামকে নিষিদ্ধ করেছিলেন ট্রাম্প। এমনকি তিনি জাকারবার্গকে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে একরকম হুমকিও দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, জাকারবার্গ যদি নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেন তাহলে তার জায়গা হবে জেলে। ফলে জাকারবার্গ ও ট্রাম্পের মধ্যে সম্পর্ক কতটা উত্তেজনাকর হয়ে উঠেছিল তা সহজেই অনুমেয়। তবে সেই সম্পর্কের উন্নতি ঘটছে বলে সম্প্রতি তথ্যপ্রমাণ সামনে আসছে। তার কারণেই ফ্লোরিডার ওই অবকাশযাপনকেন্দ্রে ট্রাম্পের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নিয়েছেন জাকারবার্গ। মেটার একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, আসন্ন প্রশাসনে ট্রাম্পটিমের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাত ও ট্রাম্পের সঙ্গে নৈশভোজের আমন্ত্রণ মার্ক জাকারবার্গের জন্য ছিল বিরাট পাওয়া। আমেরিকান ইনোভেশনের ভবিষ্যতের জন্য একে গুরুত্বপূর্ণ সময় বলে উল্লেখ করেন তিনি। ওদিকে আগস্টে জাকারবার্গকে নিয়ে একটি বই লিখেছেন ট্রাম্প। তাতে তিনি বলেছেন, যদি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের কোনো চেষ্টা করে জাকারবার্গ তাহলে জীবনের বাকি সময় তাকে জেলে কাটাতে হবে। পরে তিনি এই অবস্থান নমনীয় করেছেন। অক্টোবরে এক পডকাস্টে তিনি জাকারবার্গকে একজন চমৎকার মানুষ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, তিনি নির্বাচন থেকে দূরে রয়েছেন। ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার পর তাকে ব্যক্তিগতভাবে ফোন করেছিলেন জাকারবার্গ। এ জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান ট্রাম্প। আরও ইঙ্গিত মিলেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের আসন্ন প্রশাসনে অধিক সুযোগ পেতে যাচ্ছেন জাকারবার্গ।