USA

ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য মনোনীত দুই সদস্যের বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে যাদের মনোনীত করেছেন তারা যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছেন এবং এর ফলে ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালন করার আগে তারা সিনেটের অনুমোদন পাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।এই দুই ব্যক্তি হলেন ফক্স নিউজের সঞ্চালক পিট হেগসেথ ও সাবেক আইনপ্রণেতা ম্যাট গেটজ।ট্রাম্প হেগসেথকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও গেটজকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে মনোনীত করেছেন।

৪৪ বছর বয়সী হেগসেথ ২০১৭ সালে এক নারীকে প্রচুর পরিমাণ অর্থ দিয়েছিলেন।এই নারী তার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলেছিলেন,হেগসেথের আইনজীবী টিম পারলাটোর যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যমকে চলতি সপ্তাহে বলেছেন,এই নারীর দাবি ভিত্তিহীন এবং বিষয়টি অযথা প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে।

৪২ বছর বয়সী গেটজ তার চতুর্থ দুই বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার মুখে গত সপ্তাহে আকস্মিকভাবে প্রতিনিধি সভা থেকে পদত্যাগ করেন।এক ১৭ বছর বয়সী মেয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ও অবৈধ মাদক ব্যবহারে তিনি জড়িত কিনা সেই বিষয়ে হাউজ এথিকস কমিটি যখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কাছে চলে এসেছিল,তার কয়েক দিন আগে তিনি পদত্যাগ করেছিলেন।গেটজ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং চলতি বছরের শুরুতে ফেডারেল কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোনও চার্জ না আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

২০১৭ সালে ক্যালিফর্নিয়ার মন্টারিতে রিপাবলিকান নারীদের এক সভার পর হেগসেথ এক নারীর সঙ্গে হোটেলে যৌন সংসর্গ করেন এবং এই শারীরিক সম্পর্ক পারস্পরিক সম্মতিতেই হয়েছে বলে বর্ণনা করেছেন হেগসেথের আইনজীবী পারলাটোর।তদন্তের পর স্থানীয় পুলিশ কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি।

পারলাটোর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, “তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে এবং আমার অবস্থান হল, তিনি ব্ল্যাকমেইলের শিকার।” একে তিনি “সফল জুলুম” বলে অভিহিত করেছেন।ওই নারীর নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি এবং যিনি যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছেন তার সম্মতি ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম সাধারণত অভিযোগকারীর নাম প্রকাশ করে না।

এক নারী নিজেকে অভিযোগকারীর বন্ধু বলে পরিচয় দিয়ে কয়েক দিন আগে ট্রাম্পকে বিস্তারিত স্মারকলিপি পাঠিয়েছিলেন; সেই স্মারকলিপিতে অভিযোগকারীর সঙ্গে হেগসেথ কী ঘটিয়েছেন তার বিশদ বিবরণ রয়েছে।অভিযোগকারীর দাবি, হোটেলের পানশালায় পান করার পর হেগসেথ তাকে ধর্ষণ করেছিলেন।ট্রাম্প এখনও পর্যন্ত হেগসেথের পাশে দাঁড়িয়েছেন।উল্লেখ্য,পেন্টাগনের প্রধান হিসেবে হেগসেথের নির্বাচন ব্যতিক্রমী।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button