ডলারের প্রবাহ বাড়াতে ব্যাংকের এমডিরা যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন
ডলারের প্রবাহ বাড়াতে বিশেষ প্রচারে নামছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। প্রবাসীদের ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলার পাঠাতে উৎসাহিত করা হবে। এ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি হোটেলে প্রবাসীদের জন্য অফশোর ব্যাংকিং ফিক্সড ডিপোজি টু সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ২৪ মে এটি অনুষ্ঠিত হবে।
এতে অংশগ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহী বা ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা (এমডি) যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। এই প্রথমবারের মতো ব্যাংকগুলোর পক্ষে বিদেশে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রবাসীরা বিদেশে যেসব অর্থ আয় করেন সেগুলোর একটি অংশ তারা দেশে পাঠান। আরেকটি অংশ বিভিন্ন ব্যাংকে রেখে খরচ করেন বা সঞ্চয় করেন। বিদেশের ব্যাংকে প্রবাসীরা যেসব অর্থ রাখেন তা দেশীয় ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে জমা রাখলে দেশে ডলারের প্রবাহ বাড়বে। অন্যদিকে বাড়তি মুনাফার পাশাপাশি যখন খুশি তখনই এসব ডলার তুলে প্রবাসীরা খরচ করতে পারবেন। প্রবাসীরা বিদেশে থেকেই দেশের যে কোনো অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে হিসাব খুলে টাকা জমা রাখতে পারবেন।আবার যখন খুশি তখন তুলেও নিতে পারবেন। দেশের সব ব্যাংকই এখন অনলাইনে লেনদেন করছে। বিদেশে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর শাখা যেমন আছে, তেমনি এক্সচেঞ্জ হাউজও রয়েছে। এছাড়া প্রতিনিধিত্বকারী শাখাও আছে। অফশোর ব্যাংকিং হিসাবের আওতায় প্রবাসীরা যাতে দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে ডলার জমা রাখতে উদ্বুদ্ধ হন, সেজন্যই ব্যাংকগুলো এই বিশেষ প্রচারের আয়োজন করেছে।
জানা গেছে, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোর উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানসহ সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর এমডিরা। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। বিশেষ অতিথি থাকবেন নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত, ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান, নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হুদা।
একই সময়ে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের আয়োজনে ‘আন্তর্জাতিক ব্যাংক’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ব্যাংকগুলোর এমডিরা। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে এসব ব্যাংক এমডির বিদেশ যাওয়া সংক্রান্ত নথি অনুমোদন করেছে। তবে ডলার সংকটের মধ্যে একসঙ্গে এত বেশি ব্যাংকের এমডির বিদেশে যাওয়া নিয়ে ব্যাংক খাতে নানা প্রশ্ন উঠেছে।