‘ডলার বিনিময় হার সংস্কারের’ কথা ভাবছে বাংলাদেশ ব্যাংক, আইএমএফ
তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার তুলনামূলক স্থিতিশীল হয়েছে, তবে বিনিময়ের গতি কমে গেছে। বাজারে ডলারের দর আরও বাড়বে এমন আশা করে অনেকে তাদের হাতে থাকা ডলার ভাঙ্গাছেন না।
ডলার বিনিময় হার পরিচালনার জন্য আরও গতিশীল পদ্ধতির সন্ধান করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ মঙ্গলবার ঢাকায় চলমান মধ্যমেয়াদি পর্যালোচনা বৈঠকে এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে (ডলার বিনিময়ের হারে) যে স্থবিরতা দেখা গেছে, তা মোকাবিলার লক্ষ্যে আজকের এ আলোচনা।
তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার তুলনামূলক স্থিতিশীল হয়েছে, তবে বিনিময়ের গতি কমে গেছে। বাজারে ডলারের দর আরও বাড়বে এমন আশা করে অনেকে তাদের হাতে থাকা ডলার ভাঙ্গাছেন না।
শিখা বলেন, এটি সমাধানের জন্য নীতি নির্ধারকরা বিনিময় হারের নিয়ন্ত্রিত ওঠা-নামা নিশ্চিতে বিভিন্ন কৌশল পরীক্ষা করে দেখছেন। এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারকে আরও প্রতিক্রিয়াশীল ও উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা যাবে।
আলোচিত প্রস্তাবগুলোর মধ্যে একটি ‘ক্রলিং পেগ’ সিস্টেমের প্রবর্তন। ক্রলিং পেগ হচ্ছে দেশিয় মুদ্রার সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার সমন্বয়ের একটি পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে একটি মুদ্রার বিনিময় হারকে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ওঠা-নামা করার অনুমতি দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে মুদ্রার দরের একটি সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমা নির্ধারণ করা থাকে। ফলে একবারেই খুব বেশি বাড়তে বা কমতে পারে না।
শিখা বলেছেন, ‘আমরা বাজারে স্থিতিশীলতা ও নমনীয়তার ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি পরীক্ষা করছি। যদিও ক্রলিং পেগ সিস্টেম বিবেচনায় রয়েছে, তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আলোচনাগুলো শেষ হলে একটি পরিষ্কার চিত্র উঠে আসবে।’
বিশেষজ্ঞরা এ আলোচনাগুলোকে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো এবং বৈশ্বিক মুদ্রার অস্থিরতার মধ্যে অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন।
আইএমএফ ও বাংলাদেশের মধ্যে চলমান সহযোগিতার অংশ এ মধ্যমেয়াদি পর্যালোচনায় বর্তমান আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির অগ্রগতিরও মূল্যায়ন করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।