ডাকসুর ঢেউ সংসদ নির্বাচনে!

সর্বত্রই আলোচনা-বিতর্ক,‘প্রগতিশীল’ রাজনীতি চর্চায় বিএনপির কী লাইনচ্যুত হচ্ছে? ইঙ্গ-মার্কিনিদের অ্যাজেন্ডা ‘মৌলবাদের উত্থান’ খোঁজার এজেন্সি বিএনপির নেতাদের কারা দিলো? স্টালিন সরকার
‘নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা’ প্রবাদটি কমবেশি সবার জানা। নিজের অক্ষমতা অন্যের দোষ দেখিয়ে ঢেকে রাখার চেষ্টাই মূলত এই প্রবাদে বোঝানো হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে শিবিরের ভূমিধস বিজয় এবং বিএনপি নেতাদের ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে ডাকসুতে জয় পেয়েছে শিবির’ বক্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় উল্লেখিত প্রবাদটি কয়েকজন পোস্ট দিয়েছেন। নেটিজেনদের কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, ডাকসু নির্বাচনের প্রভাব কি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পড়বে? কেউ মন্তব্য করেছেন, ‘ডাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের ভোট। এর ফলাফল কখনোই জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না; অতীতে সেটা দেখাও যায়নি’। কেউ কেউ প্রশ্ন ছুঁড়ে লিখেছেন, ‘বিএনপি লাইনচ্যুত হচ্ছে, ইসলামী চেতনার বদলে প্রগতিশীল চেতনা ধারণ করছে’? কেউ লিখেছেন, ‘বিএনপি যেভাবে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধের চেতনা কার্পেটের নীচে চাপা দিয়ে প্রগতিশীল রাজনীতির দিকে ধাবিত হচ্ছে তাতে ডাকসুর মতো জাতীয় নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ার শঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। কারণ, যারা বিএনপিকে ভোট দেয় তারা মনে করে দলটি জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী চেতনার প্রতিনিধিত্ব করছে’। কেউ লিখেছেন, ‘বিএনপি-ছাত্রদলকে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে ছাত্রলীগের ভোট শিবিরকে জিতিয়েছে এমন ব্লেইম গেইমের রাজনীতির চর্চা বাদ দিতে হবে’। কেউ লিখেছেন, ‘তারেক রহমানের উপর সব দায়-দায়িত্ব দিয়ে বিএনপির নেতাদের প্রগতির চর্চা আত্মঘাতীর নামান্তর’। আবার কেউ লিখেছেন, ‘বিএনপি মহাসচিব কথায় কথায় মৌলবাদী রাজনীতির উত্থান ঘটছে মন্তব্য করে কি বোঝাচ্ছেন? আওয়ামী লীগ ও হিন্দুত্ববাদী ভারতের সুরে বিএনপি মহাসচিবের কথা বলা রহস্যজনক’।
ডাকসুর ফলাফল ও বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাংবাদিক নবনীতা রায় চৌধুরী বলেন, ‘অপ্রিয় হলেও সত্য যে দেশে বাম রাজনীতির মৃত্যু ঘটে গেছে বহু আগেই। তারপরও মেঘমল্লার বসুরা (সিপিবি) প্রগতিশীলতার নামে সেটা ধরে রেখেছে। যুগের পর যুগ ধরে বাম ধারার দলগুলো প্রগতিশীলতার নামে ভোট চাইছে। মানুষ সাড়া দেয়নি। অথচ এখন বামদের মতোই বিএনপি ও ছাত্রদল প্রগতিশীলতার পক্ষে ভোট চাচ্ছে। ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রচারণায় বলেছে প্রগতিশীলদের ভোট দিতে হবে। জামায়াত-ছাত্রশিবির যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষের শক্তি। শিবির পাকিস্তানপন্থী হওয়ায় তাদের ভোট দেয়া যাবে না। প্রগতিশীল ছাত্রদলকে ভোট দিবেন। বামদের প্রগতিশীল রাজনীতি জনগণ গ্রহণ না করায় ওই রাজনীতির মৃত্যু ঘটেছে; বিএনপি হঠাৎ করে সেই বামদের প্রগতিশীল রাজনীতির পক্ষে ভোট চায় কেন?’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, এটা শুধু ছাত্রসংগঠনের নির্বাচন নয়, বরং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি কঠিন বার্তা বহন করছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিএনপি ও ছাত্রদলের ওপর আস্থা রাখতে পারেনি। অনেকে মনে করেছে, তারা যদি ছাত্রদলকে ভোট দেয় এবং জেতায়, তাহলে শেষ পর্যন্ত বিএনপি শক্তিশালী হবে। এটা তারা চায়নি। কারণ, প্রচারণা হয়েছে দলটির আদর্শচ্যুতি ঘটেছে জাতীয়তাবাদ ছেড়ে প্রগতিশীলতায় গেছে।
স্থানীয় নির্বাচন আর জাতীয় নির্বাচন ভিন্ন জিনিস। ডাকসু নির্বাচন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে এমন চিন্তা কখনো রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মাথায় আসেনি। কিন্তু এবারের ডাকসু নির্বাচনে জামায়াতের সহযোগী সংগঠন ছাত্রশিবিরের ভূমিধস বিজয় এবং বিএনপির অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদলের পরাজয় সে প্রশ্ন সামনে এনেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের এক বছর আগে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়েছে। ওই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে শিক্ষার্থীরাই। জেন জি প্রজন্ম একদিকে যেমন হাসিনার বিচার চাচ্ছে অন্যদিকে ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে। হিন্দুত্ববাদী ভারতের আগ্রাসী নীতি এবং বিগত ১৮ বছর বাংলাদেশের উপর দিল্লির ছড়ি ঘুরানোয় নতুন প্রজন্ম ভারত বিরোধী। এ জন্য কোটা সংস্কার এবং হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের পাশাপাশি ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলন করেছে। এই প্রজন্ম জামায়াত-শিবিরকে পছন্দ না করলেও ইসলামী চিন্তা চেতনা লালন করেন। তথাকথিত প্রগতিশীলতার নামে ইসলাম বিদ্বেষ যেমন পছন্দ করে না তেমনি নারী স্বাধীনতার নামে বেলেল্লাপনাও নাপছন্দ। জেন জি প্রজন্ম তথা শিক্ষার্থীরা কি চায় এবং তাদের মনন বুঝেই শিবির ডাকসু নির্বাচনে প্রচারণা চালিয়েছে। এমনকি ছাত্রীদের শালীনতার মধ্যে থেকে স্বাধীনভাবে চলাফেরা ব্যাপারেও শিবির নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। এ ছাড়া নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গেও শিবিরের যোগাযোগ ছিল। এমনকি নির্বাচনে বিজয়ী হতে জামায়াত-ছাত্রশিবির সব ধরনের চেষ্টা করেছে। ফলে শিক্ষার্থীরা শিবিরকে ভোট দিয়েছে। অন্যদিকে ছাত্রদলের প্রার্থীদের মুখে হঠাৎ করে তথাকথিত ‘প্রগতিশীল বাণী’ শোনেন শিক্ষার্থীরা। বছরের পর বছর ধরে যে প্রগতিশীলতার বাণী শুনিয়ে বামদলগুলো সুবিধা করতে পারেনি। হাসিনা রেজিমে ১৫ বছর আওয়ামী লীগ ইসলামের বিরুদ্ধে প্রগতিশীল রাজনীতির চর্চার নামে দেশকে ভারতের পদানত করে রেখেছিল। প্রগতিশীল রাজনীতি চর্চার নামে ইসলামপন্থী দলগুলোর বিরুদ্ধে জুলুম নির্যাতন করেছে; দিল্লির এজেন্ডা বাস্তবায়নে আলেম-ওলামা-পীর-মাশায়েখদের ‘মৌলবাদী’ ট্যাগ দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই দিয়ে ইসলামিস্টদের দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে। সেই ‘প্রগতিশীল রাজনীতি’ নিয়ে ছাত্রদল ডাকসুতে শিক্ষার্থীদের কাছে ভোট চেয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সাড়া দেয়নি; ফলশ্রুতিতে ডাকসুতে ভরাডুবি। প্রশ্ন হচ্ছে বিএনপি কি ইসলামী চেতনা থেকে লাইনচ্যুত হয়ে প্রগতিশীলতার জার্সি পরছে? তা না হলে সিপিবি’র মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সুরে সুর মিলিয়ে বিএনপি মহাসচিব ইসলামী দলগুলোকে দূরে ঠেলে দিতে মৌলবাদীদের উত্থান শব্দের ব্যবহার করছেন কেন?
ডাকসু নির্বাচন ও বিএনপির রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান বলেছেন, ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর বিএনপির কিছু আদর্শবিচ্যুত, অপরিণামদর্শী নিম্নমানের নেতা প্রলাপ করছে যে ছাত্রশিবির আওয়ামী ভোট পেয়ে ডাকসু জিতেছে। বিএনপির এই নেতারা এতোই নির্বোধ যে ঢাবির মত একটা উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধার বাস্তবতা অগ্রাহ্য করছে। এদেশের রাজনৈতিক দিক নির্দেশনা গত একশত বছর ঢাবি ঠিক করেছে, সেটা অনুধাবন করার শক্তি না থাকলে রাজনীতি করা উচিত না। এই ছাত্র-ছাত্রীরা এক বছর আগে যে ভাবে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও হিন্দুত্ববাদের কবর রচনা করেছে, ঠিক একই ভাবে বিএনপির সস্তা বেঈমানী ও ভারত-আওয়ামী চক্রের ক্রীতদাসবৃত্তির উপযুক্ত জবাব দিতে দ্বিধা করেনি। আমাদের ছাত্রছাত্রীরা এখনো এদেশের স্বাধীন মনন চর্চা করতে গিয়ে কে জামায়াতি আর কে চেতনা-ব্যবসায়ী, তার মূল্যায়ন ভবিষ্যৎমুখী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই করবে; কোন অতীতের বস্তাপচা তথাকথিত স্থায়ী কোন ভাবনার নিরিখে নয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, জেন-জিদের মনে হচ্ছে তারা যতটা না বেশি অতীত অর্জনকে প্রাধান্য দেয়, তার চেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয় বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে। সেই জায়গায় যার কাছে তার এক্সসেস বেশি, তার সঙ্গে থাকতেই হয়তো সে চিন্তা করে রেখেছে, এটাও একটা ব্যাপার। এর মধ্যে বিজয়ীদের এতটা নেটওয়ার্ক ছিল, তারা তাদের সর্বশক্তি ব্যবহার করেছে। তাদের যে কর্মীবাহিনী ও সমর্থক আছে, পুরো শক্তিই ব্যবহার করেছে। বিপরীতে ছাত্রদল সেটা পারেনি।
দেশের মানুষ মনে করে বিএনপি মানেই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, ইসলামী মূল্যবোধ চর্চাকেন্দ্র। আওয়ামী লীগ যখন হিন্দুত্ববাদী ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে আলেমদের টার্গেট করতো; তখন বিএনপি আলেমদের পাশে ছিল। জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে এ চিত্র মানুষ দেখেছে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপিতে সব ধরনের চিন্তা চেতনার মানুষের সমাবেশ ঘটিয়েছিলেন। জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী হওয়ায় আওয়ামী লীগ ও বামদলগুলোর বিরোধিতা উপেক্ষা করে সংবিধানের ‘বিসমিল্লাহ হির রহমানের রাহিম’ সংযোজন করেন। বেগম খালেদা জিয়াও বিএনপিকে পরিচালিত করেছেন জিয়াউর রহমানের দেখানো পথেই। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও প্রতি সপ্তাহে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তিনচারটি করে ভাচ্যুয়ালি মিটিং করছেন, সেগুলোতে তিনি জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি অধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন এবং আলেম সমাজকে মর্যাদা দেন। শুধু তাই নয়, যারা নির্বাচন হলেই বিএনপি ক্ষমতায় যাবে এমন ধারণা পোষণ করে ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন তারাও বিএনপিকে তথাকথিত প্রগতিশীল নয়, জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী মধ্যপন্থী দল মনে করেন। দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মাদরাসার শিক্ষক-ছাত্র, আলেম সমাজ, ওলি আউলিয়া, পীর মাশায়েখ, মাজার-খানকা এখনো বিএনপিকে ভোট দেয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। কিন্তু দলের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা প্রতিবেশী ভারতকে খুশি করতে তথাকথিত প্রগতিশীল ধুয়া তুলে বিএনপিকে লাইনচ্যুত করার অপচেষ্টা করছেন। ডাকসু নির্বাচনে সেটার প্রকাশ ঘটে উলঙ্গভাবে। যার পরিণতি ছাত্রদলের ভরাডুবি। আবার বিএনপির বেশির ভাগ নেতার মানসিকতা এমন যে, আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাওয়ায় নির্বাচন হলেই ক্ষমতায় যাবে বিএনপি। এ ধরনের নেতাদের ভাবখানা হচ্ছে সাংগঠনিক শক্তির বিচারে বিএনপির আশপাশে কোনো দলের অবস্থান নেই। ফলে বিএনপিকে ঠেকানোর শক্তি কারো নেই। বাস্তবতা হচ্ছে ডাকসু নির্বাচনে সেটাই মনে করা হতো। কিন্তু শিবির জেন জি চেতনা ধারণ করে রাজনৈতিক ক্যারিশমা দেখিয়ে বাজিমাত করেছে। আর তথাকথিত প্রগতিশীলতার ধুয়া তোলায় ছাত্রদলের ভরাডুবি। এরপরও বিএনপি ও ছাত্রদলের হুঁশ হচ্ছে না?
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের প্রফেসর আল মাসুদ হাসানুজ্জামান বলেন, ডাকসু নির্বাচন বিএনপির জন্য একটি শিক্ষা। দলটি যে দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে দেখছিল, সেখানে এখন পরিবর্তন আসতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে বিএনপিকে কৌশলগতভাবে কাজ করতে হবে। শিবিরের জয় জামায়াতকে বিপুল শক্তি যোগাবে। অবশ্যই এটি তাদের জন্য সুখবর। বিএনপিকে এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে মানুষ কি চায়, জেন জি কি চায় সেটাকে ধারণ করে সামনে এগোতে হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সাংগঠনিক শক্তি এবং জনসমর্থনের দিক থেকে বিএনপির কাছাকাছি কোনো দল দেশে নেই এটা বাস্তব। তবে দলটিকে নিজস্ব রাজনীতি ঠিক করতে হবে। ইসলাম বিদ্বেষী চেতনা থেকে প্রগতিশীল রাজনীতির নামের আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে ভারতের তাবেদারে পরিণত করেছিল। জেন জি আন্দোলনের মাধ্যমে হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে বাংলাদেশকে ম্ক্তু করেছে। জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া এবং অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের প্রায় সকলেই ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী এবং ইসলাম বিদ্বেষ পছন্দ করেন না। তাদের আস্থা অর্জনে বিএনপিকে রাজনীতি ঠিক করতে হবে।