Uncategorized

তথ্য ফাঁস, ঝুঁকি বাড়ল কয়েক লাখ মানুষের

সরকার তথ্য ফাঁস করে জাতিকে অরক্ষিত করে ফেলেছে : রিজভী

তথ্য উন্মুক্ত হওয়ার ঘটনায় ঝুঁকি বেড়েছে কয়েক লাখ মানুষের। এই তথ্যের সুযোগে অপরাধীরা ভুয়া সিম রেজিস্ট্রেশন করতে পারে। যাদের তথ্য উন্মুক্ত হয়ে গেছে, তাদের যে কারো অ্যাকাউন্টে অবৈধ লেনদেনসহ নানা ধরনের জটিলতা হতে পারে। যথাযথ সুরক্ষার অভাবেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক স্বীকার করেছেন, জন্ম নিবন্ধনের ওয়েবসাইট থেকেই এ তথ্য উন্মুক্ত হয়েছে। যাদের অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির কথাও বলেছেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বলেছেন, এই অপরাধের সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির ইত্তেফাককে বলেন, ‘সরকারের তরফ থেকে যেটা বলা হচ্ছে—হ্যাক নয়, নিজেদের দুর্বলতার কারণেই এই তথ্য উন্মুক্ত হয়ে গেছে। সেটাও যদি হয়, তা-ও তো ভয়াবহ ব্যাপার। আমরা নাগরিকদের তথ্য নিচ্ছি, কিন্তু সেটা যথাযথ সুরক্ষার ব্যবস্থা করছি না, এটা তো হতে পারে না। এর অর্থ হলো, আমাদের সুরক্ষাব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। প্রতিনিয়তই নিরাপত্তাব্যবস্থা হালনাগাদ করতে হয়। অনেকেই সেটা করছেন না। প্রযুক্তিতে আমরা যত দূর এগিয়েছে, এখন আমাদের সুরক্ষায় মনোযোগ দেওয়া উচিত।’ ঘটনাটি হ্যাক নয়, বরং সিস্টেমের দুর্বলতার কারণে তথ্য উন্মুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, ‘সরকারি কোনো ওয়েবসাইট হ্যাক হয়নি। ওয়েবসাইটের দুর্বলতার জন্য নাগরিকদের তথ্য উন্মুক্ত ছিল। এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। সাইবার জগেক নিরাপদ রাখতে হলে আমাদের ব্যক্তি, পরিবার, প্রাতিষ্ঠানিক ও সোসাইটি—এই চার স্তরে গুরুত্ব দিতে হবে। সাইবার হামলার হাত থেকে নিজেদের সুরক্ষা করতে হলে সচেতনতা বাড়াতে হবে। কেউ যদি কারো অর্থ বা তথ্য চুরি করতে চায়, তাহলে সাইবার অ্যাটাক করেই চুরি করে নিতে পারে।’

কেন এমনটি হয়েছে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সার্টের নির্দেশনা না মানা এবং টেকনিক্যাল ত্রুটির কারণে এমনটা ঘটেছে। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় রোধ এবং ডেটার সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রেখে সতর্কতার সঙ্গে একটি ‘ডেটা সুরক্ষা আইন’ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী সরকারি ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল সরকার। এই ২৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকেই নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে জানিয়েছেন জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেন, ‘এই ২৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭ নম্বর প্রতিষ্ঠানটি থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে। সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২৭ নম্বর প্রতিষ্ঠান হচ্ছে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় (জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন)। সরকারি ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে চিহ্নিত করি। এই ২৯ প্রতিষ্ঠানের প্রজ্ঞাপনের তালিকা থেকে ২৭ নম্বর প্রতিষ্ঠানটি এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে। আমরা আগেই বিষয়টি শনাক্ত করেছিলাম। এই প্রতিষ্ঠানের ত্রুটিতে তথ্যগুলো উন্মুক্ত ছিল। যাদের গাফিলতিতে এই তথ্যগুলো উন্মুক্ত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করব।’

তথ্য উন্মুক্ত হওয়ার কারণে কী ধরনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির সহকারী অধ্যাপক ও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা ইত্তেফাককে বলেন, ‘নাগরিকের ফাঁস হওয়া যে কোনো ধরনের তথ্যই অপব্যবহার হতে পারে। এসব তথ্য দিয়ে কোনো অপরাধী অন্য কারো নামে ভার্চুয়াল অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলতে পারে, সিম রেজিস্ট্রেশন করে সেগুলো দিয়ে অপরাধ করতে পারে। অপরাধীকে শনাক্ত করতে গেলে ঐ নিরীহ সাধারণ নাগরিক ফেঁসে যেতে পারেন। এছাড়া আরএনএ ও ফিঙ্গারপ্রিন্টের মতো ডাটা ফাঁস হলে এটা উদ্বেগের ব্যাপার। এভাবে নাগরিকদের ডিজিটাল আইডেন্টিটিগুলো ফাঁস হলে অবৈধ লেনদেনেরও আশঙ্কা থাকে।’

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘তথ্য সুরক্ষা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আইন নেই। আমরা আইনের একটি ড্রাফট হাতে নিয়েছি। এটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে সংবিধানে ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার কথা বলা হয়েছে। সংরক্ষিত তথ্য ফাঁস করা হলে নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করা হয়। কেউ যদি মনে করেন তিনি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, সেক্ষেত্রে তিনি সুপ্রিম কোর্টের সাইবার বিভাগে এসে মামলা করে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবেন।’

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের সঙ্গে যদি কেউ জড়িত থাকে বা সহায়তা করে, তবে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, এ বিষয় নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করার মতো কোনো উপাদান এখনো হাতে পায়নি। আমাদের সাইবার ইউনিট এ বিষয়ে কাজ করছে। আগে দেখতে হবে, কী ফাঁস হয়েছে। সেগুলো বের করে নিরাপত্তাব্যবস্থা আরো জোরদার করা হবে। তিনি বলেন, এনআইডি আমাদের অধীনে এলেও আমরা এখনো তার কার্যক্রম শুরু করিনি। বর্তমানে তা নির্বাচন কমিশনের হাতে রয়েছে। আইনি জটিলতা শেষ করে আমরা হাতে নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু করতে চাই। তথ্য ফাঁস হওয়ার কথা আমরা শুনেছি, বিস্তারিত জেনে আপনাদের জানাতে পারব।

অন্যদিকে সরকারি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ নাগরিকের গোপন ও ব্যক্তিগত তথ্য উন্মুক্ত হওয়ার ঘটনায় তদন্তে নেমেছে র‍্যাব। র‍্যাব জানিয়েছে, কোন প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার সুযোগে হ্যাক করে তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে কি না, নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য পাচার করা হয়েছে—এসব বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, আমেরিকান ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চের খবরে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশি নাগরিকদের সম্পূর্ণ নাম, ফোন নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরসহ ব্যক্তিগত তথ্য উন্মুক্ত হয়ে আছে ইন্টারনেটে। আকস্মিকভাবে বাংলাদেশি সাইট থেকে নাগরিকদের তথ্য ফাঁসের বিষয়টি বুঝতে পেরে ভিক্টর মার্কোপোলোস নামে এক গবেষক বিষয়টি জানিয়েছেন।

সরকার তথ্য ফাঁস করে জাতিকে অরক্ষিত করে ফেলেছে : রিজভী

রোববার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়া পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসনের ওপর দেশী-বিদেশী চাপে হিতাহিত জ্ঞানশূণ্য হয়ে পড়েছে সরকার। দেশ-বিদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে সরকার। দেশী কিংবা বিদেশী হোক না কেন, যারাই গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলে, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের পক্ষে কথা বলে তারাই জনগণের বন্ধু।’

রিজভী বলেন, ‘বর্তমান সরকার পানিতে হাবু-ডুবু খেতে খেতে জনগণকে বিভিন্ন বার্তা দেয়ার চেষ্টা করছে। গত ১৪ বছর ধরে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে নিজের গোষ্ঠীস্বার্থে এক নজিরবিহীন স্বৈরাচারি মডেল তৈরি করেছে। আর এজন্য দেশের সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করে দেশের স্বাধীন অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিতেও তারা দ্বিধা করেনি। গনতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়-বিচার, সুশাসন জনগণের নিরাপত্তাকে পদদলিত করা হয়েছে গুম-খুনের সংস্কৃতির বিস্তার ঘটিয়ে। ব্যাংক লুট, টাকা পাচার, ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎকারী ও ঋণ খেলাপিদের দিয়ে ক্ষমতাসীন বলয় তৈরি করেছে সরকার। এরাই বর্তমানে আইন, প্রশাসন, অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। যারা ব্যাংক কেলেঙ্কারির হোতা, তারাই তাদের দলীয় নেতা বা সংসদ সদস্য কিংবা মন্ত্রী ও উপদেষ্টা। বাংলাদেশে সন্ত্রাসকে করা হয়েছে মহিমান্বিত, সন্ত্রাসীরা ক্ষমতার প্রশ্রয়ে সমাজের প্রভু হয়ে উঠেছে।’

বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘বিগত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের একতরফা নিশিরাতের নির্বাচন করে যারা নিরঙ্কুশ ক্ষমতা জবর দখল করে জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা কেড়ে নেয়, ওই সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা কি অন্যায়? গণধিকৃত সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করে না বলেই বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্য নানা কথার ফুল ঝুড়ি ছড়াচ্ছে। দস্যুদল যদি রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে, তার বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করা ন্যায্য ও ন্যায় সঙ্গত। আর এই সংগ্রামে যে সমর্থন দিবে, সেই জনগণের বন্ধু। যেকোনো দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাহিরের অনেক দেশ সমর্থন দেয়, তা কি অন্যায়? বাংলাদেশের জনগণ নিরাপত্তাহীন ভয় ও শঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সরকার পরিবর্তন ও পরিচালনায় তাদের ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়েছে ভোটাধিকার হরণ করে। নাগরিক হিসেবে তাদের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। সুতরাং জনগণের ক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবন ঘটাতে হবে। মানুষের মৌলিক ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বাক, ব্যক্তি স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশনসহ সকল স্বায়ত্তশাসিত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এখন ধ্বংসের শেষ প্রান্তে, এটি ফ্যাসিস্ট শক্তির হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। আমরা মনে করি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের মধ্যদিয়ে রাষ্ট্রীয় গণতন্ত্রের বিকাশের লক্ষ্যে চলে আসা রক্ত ঝরা আন্দোলনে অনেকের আত্মদান বৃথা যাবে না। আর এই আন্দোলকে দেশে-বিদেশে যারাই সমর্থন করবে, তারা বাংলাদেশের জনগণের বন্ধু।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘জনগণের স্বার্থে ও পক্ষে আন্দোলন কখনো বৃথা যায় না। বিগত দেড় দশক ধরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিরোধী দলসহ ভিন্ন মতের মানুষ, ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক, মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিককে গণতন্ত্র বিনাশী এই ফ্যাসিস্ট সরকার নির্মমভাবে হত্যা করেছে। গুম করা হয়েছে জনপ্রতিনিধিদেরও। গণতন্ত্রকামী জনগণকে দাবিয়ে রাখার জন্য সরকারের দমনযন্ত্র প্রতিনিয়ত রক্ত ঝরাচ্ছে।’

রিজভী আহমেদ বলেন, ‘জনগণকে পিষ্ট করার পাশাপাশি এরই মধ্যে স্থায়ীভাবে বন্দিত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ রাখার জন্য কোটি কোটি মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করা হয়েছে। সরকার হচ্ছে জনগণের আমানতকারী। সরকারের হেফাজতে জনগণের তথ্যসহ অনেক কিছু থাকতে পারে সংরক্ষনের জন্য। নিশিরাতের সরকার জনগণের প্রতিপক্ষ বলেই সংরক্ষিত তথ্য ফাঁস করিয়েছে। সরকারের লোকজনের সহায়তা ছাড়া এই কাজ সম্ভব নয়। জনগণের জান-মাল, সহায়-সম্বল হেফাজতের দায়িত্ব সরকারের। ভোটারবিহীন দখলদার সরকার জনগণের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দিয়ে গোটা জাতিকে নিরাপত্তাহীন ও অরক্ষিত করে ফেলেছে। জাতীয় পরিচয়পত্রে যে সকল তথ্য থাকে, ওই তথ্য দিয়ে মানুষের ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ লোপাট করা সম্ভব। যতদিন এটি নির্বাচন কমিশনের অধীনে ছিল, ততদিন তো ফাঁস হয়নি। তাদের অধীন থেকে সরকার নিজ দায়িত্বে নেয়ার পরই এটা ফাঁস হয়েছে। এর ভেতর সরকারের কোনো সু-পরিকল্পিত গভীর চক্রান্ত থাকতে পারে। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৮০০ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছিল, তার সঠিক প্রতিবেদন আজও প্রকাশ পায়নি।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই সরকার দূর্বৃত্তায়ন, ইতরায়ন ও রক্তাক্ত সন্ত্রাসের রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করেছে। পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে হত্যা সংখ্যা। দেশকে পরিণত করা হয়েছে মৃত্যু উপত্যকায়। এদের মিথ্যা কথা চেঁচানোর রেওয়াজ র্দীঘ দিনের। আজ এদের সীমাহীন অনাচারের বিরুদ্ধে জনগণ অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে। জনগণকে আর আটকিয়ে রাখা যাবে না। মিটিং, মিছিল, স্লোগান প্রতিরোধের অভিযাত্রায় রাজপথে অচিরেই জনগণের বিপুল তরঙ্গ উঠবে।’

আগামী ১২ জুলাই (বুধবার) নয়া পল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘ওই দিন দলের পক্ষ থেকে পরের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

ওই সমাবেশ সফল করার জন্য ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button