তাইওয়ানের আকাশ ও জলসীমায় চীনের ৪১ সামরিক বিমান-যুদ্ধজাহাজ
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিংয়ের প্যাসিফিক সফরের আগে দ্বীপরাষ্ট্রটির চারপাশে সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে চীন।
আজ শুক্রবার তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দ্বীপটির আকাশ ও জলসীমায় চীনের ৩৩টি সামরিক বিমান এবং আটটি যুদ্ধজাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
তাইওয়ান চীনের অধীনস্থ একটি স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্র। তারা নিজেদের সার্বভৌমত্ব দাবি করে করে আসলেও জাতিসংঘসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশ ‘এক চীন’—অর্থাৎ তাইওয়ানসহ সমগ্র চীনের প্রশাসক হিসেবে চীনের কেন্দ্রীয় সরকারকে স্বীকৃতি দেয়। বর্তমানে ভ্যাটিকানসহ মাত্র ১২টি দেশ ও অঞ্চলের সঙ্গে তাইওয়ানের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাইওয়ানের সার্বভৌমত্বের দাবির মুখে দ্বীপরাষ্ট্রটির চারপাশে যুদ্ধবিমান, ড্রোন এবং যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি বাড়িয়েছে চীন।
৩৩টি যুদ্ধবিমানের মধ্যে ১৯টি বৃহস্পতিবার রাতে চীনের ‘যৌথ যুদ্ধ প্রস্তুতি মহড়া’য় অংশ নিয়েছে বলে দাবি করেছে তাইওয়ান। তিন সপ্তাহের মধ্যে এটিই চীনের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া বলে জানিয়েছে এএফপি।
এছাড়া, পাঁচদিনে চতুর্থবারের মতো তাইওয়ানের পশ্চিমে ১৭২ কিলোমিটার দূরে একটি বেলুন শনাক্ত হয়েছে।
তাইওয়ানের সামরিক বিশেষজ্ঞ সু জু-ইউন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট লাইয়ের সফরের প্রতিক্রিয়া হিসেবে বড় ধরনের সামরিক মহড়াও চালাতে পারে চীন।’
প্রেসিডেন্ট লাইয়ের প্যাসিফিক সফর
গত মে মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো বিদেশ সফরে যাচ্ছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং। শনিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া এই সফরে লাই চিং প্যাসিফিক অঞ্চলে তাইওয়ানের তিন মিত্র মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, তুভালু এবং পালাউ সফর করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের অঞ্চল হাওয়াই ও গুয়ামেও থামবেন। সেখানে ‘পুরনো বন্ধুদের’ সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
লাই এর আগেও যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন, যা চীনের ক্ষোভের কারণ হয়েছে। এমন সফরের প্রতিক্রিয়ায় চীন প্রতিবার তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক মহড়া চালিয়েছে।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার লাইয়ের পরিকল্পিত সফরের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, তাইওয়ানের স্বাধীনতা অর্জনের যেকোনো প্রচেষ্টা ‘কঠোরভাবে দমন’ করা হবে।