International

তাইওয়ানে চীনের আধিপত্য নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ ছাড়াই তাইপের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে বেইজিং

যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা চীনের সম্ভাব্য তাইওয়ান অধিহগ্রহন ঠেকাতে কড়া নজরদারি চালিয়ে যােেচ্ছ। তবে, একটি নতুন মার্কিন প্রতিবেদন বলছে যে, চীন যুদ্ধ ছাড়াই বিকল্প কৌশল অবলম্বন করে তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে এবং এমন উপায়গুলির জন্য প্রস্তুতির অভাব রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।

আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট এবং ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ার্স এর যুদ্ধ বিশেষজ্ঞদের এই প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে যে, তাইওয়ান প্রণালী এবং দ্বীপটির চারপাশে চীনের সামরিক মহড়া সহ এই ধরনের অভিযানের উপাদানগুলি ইতিমধ্যেই চলছে, যা ক্রমবর্ধমান হচ্ছে এবং এই সম্পর্কে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
তাইওয়ানের আশেপাশে ক্রমবর্ধমান চীনা সামরিক উপস্থিতি তাইওয়ানের সামরিক ও জ্বালানি শক্তিকে নি:শেষ করে দ্বীপটিকে অরকি্ষাত করে দিতে পারে, যা সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা হ্রাস এবং তাইওয়ানের জনগণের মধ্যে নিরাপত্তার অনুভূতি হ্রাস করবে। মার্কিন প্রতিবেদনটিতে এই ধরনের ঘটনাকে মার্কিন কৌশলগত চিন্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ ফাঁক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, তাইওয়ান চীনকে দমিয়ে রাখার জন্য বৃহত্তর মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের জন্য কৌশলগতভাবে অত্যাবশ্যক, কারণ এটি একটি মার্কিন-বান্ধব তাইওয়ান উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এবং দক্ষিণে মার্কিন মিত্রদের সাথে মার্কিন অংশীদারদের সংযোগ স্থাপন করে। কিন্তু, একটি চীন-নিয়ন্ত্রিত তাইওয়ান আরও বিপজ্জনক উঠবে এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের সমন্বিতভাবে কাজ করার ক্ষমতাকে গুরুতরভাবে হ্রাস করবে।

নতুন প্রতিবেদনের লেখকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, চীন তাইওয়ান ও তার অংশীদারদের পুনর্মিলনে সম্মত হওয়ার জন্য প্ররোচিত করতে পারে এবং এই লক্ষ্যে সমন্বিত পদক্ষেপ উপস্থাপন করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা এটিকে চীনের একটি সংক্ষিপ্ত যুদ্ধের অত্যবশ্যক পদক্ষেপ হিসাবে উল্লেখ করেছেন।

নতুন প্রতিবেদনটি ২০২৮ সালের একটি কাল্পনিক সময়সীমার কথা উল্লেখ করেছে, যখন বেইজিং এবং তাইপেই সম্ভাব্যভাবে একটি শান্তি চুক্তিতে আসতে পারে। চীন শেষ পর্যন্ত এই ধরনের অভিযানে সফল হতে পারে, যদি যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা বেইজিংয়ের কৌশলগুলিকে আমলে নিতে বা কৌশলগতভাবে তাদের বাধা দেওয়ার পরিকল্পনা করে ব্যর্থ হয়।

মার্চে মার্কিন নৌবাহিনীর তৎকালীন ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের কমান্ডার এডমিরাল জন অ্যাকুইলানো জোর দিয়ে বলেছিলেন যে, চীন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে দেখা যায়নি এমন একটি বিশাল সামরিক বাহিনী গঠনের চেষ্টা করছে। এবং সমস্ত ইঙ্গিত এটিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নির্দেশের দিকে ইঙ্গিত দেয়, যা ২০২৭ সালের মধ্যে তাইওয়ান অধিগ্রহন করতে প্রস্তুত। তিনি ইউএস আর্মড সার্ভিসেস হাউস কমিটিকে আরও বলেন, ‘চীনের কর্মকা- ইঙ্গিত দেয় যে তারা প্রয়োজনে তাইওয়ানকে একভূত করতে প্রস্তুত।’

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button