তাপপ্রবাহ বাড়ছে, হিট স্ট্রোকে ৩ জনের মৃত্যু
মাঝে কয়েকদিনের বিরতির পর গরম বাড়তে থাকার মধ্যে তাপপ্রবাহ দেশের ৬৪ জেলায় ছড়িয়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে রয়েছে অস্বস্তি। ফলে বিপর্যস্ত জীবন পার করছেন মানুষ। আজ বৃহস্পতিবার গরমে অসুস্থ হয়ে দুই জেলায় তিনজন মারা গেছেন। এছাড়া বেশ কিছু জেলায় অসুস্থতার খবর পাওয়া গেছে। চলমান তাপপ্রবাহ থাকবে আরও দুদিন। এরপরই শনিবার থেকে বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, আজ বৃহস্পতিবার দেশের সব জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। বুধবার তাপপ্রবাহ ছিল ৫৮ জেলায়। তাপপ্রবাহ আরও দুই দিন থাকবে। শনিবার থেকেই বেশ কিছু অঞ্চলে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহের এলাকা কমে যাবে। সোমবার সারাদেশেই বৃষ্টিপাত হতে পারে। ফলে তাপপ্রবাহের এলাকা একেবারেই কমে যাবে।
আজ দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পাবনার ঈশ্বরদীতে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সিলেটে হিট স্ট্রোকে শফিকুল ইসলাম (৩৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। নগরীর জিন্দাবাজারের সিটি সেন্টার শপিং সেন্টারের সামনে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়। তিনি মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলার নয়াগ্রামের বাসিন্দা আবু আহমদের ছেলে।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় আজ হিটস্ট্রোকে দুই ব্যক্তি মারা গেছেন। তারা হলেন- উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের কৃষক বিষ্ণুপদ মজুমদার (৫১) ও বিনায়েকপুর গ্রামের ব্যবসায়ী ছাইদুল ইসলাম লাবলু (৫৭)। দুইজনই মাঠে প্রচণ্ড রোদের মধ্যে ধান কাটছিলেন।
তীব্র গরমে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৬ শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার দুপুরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। এদের মধ্যে ২৫ জনকে বিদ্যালয়েই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হয়েছে। একজনকে হাসপাতালে পাঠালে তাকেও সুস্থ করে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য মণ্ডল।
দেশে আবার তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে গত সোমবার থেকে। সেদিন সাত জেলায় দাবদাহ ছিল; যা ক্রমেই নতুন নতুন জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে। মে মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে তিনটি মৃদু অথবা মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং এক থেকে দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। বঙ্গোপসাগরে এক বা দুটি লঘুচাপ হতে পারে, যার মধ্যে একটি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
চলতি মাসে নদ-নদীতে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজ থাকতে পারে। তবে উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।