তিন বাংলাদেশি নারীকে দিয়ে দেহব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগ, মুম্বইয়ে গ্রেফতার ১

হাসপাতালে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেয়া হয়েছিল। সেই ফাঁদে পা দিয়েছেন বাংলাদেশি তিন যুবতী। তাদেরকে ভারতে নিয়ে চাকরির পরিবর্তে ঠেলে দেয়া হয়েছে অন্ধকার জগতে। বাধ্য করা হয়েছে দেহব্যবসায়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। এতে বলা হয়, মুম্বইয়ের মালওয়ানি এলাকায় তিন বাংলাদেশি নারীকে অবৈধভাবে নিয়ে দেহব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগে ৫৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় তার তিন সহযোগীর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। অভিযুক্তরা চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ওই নারীদের বাংলাদেশ থেকে ভারতে এনে দেহব্যবসায় নামতে বাধ্য করে।
মালওয়ানি থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই তিন নারীকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দরিদ্র পরিবার থেকে আসা বাংলাদেশি নাগরিক। পরিবারে আর্থিক টানাপোড়েন থাকায় তারা কর্মসংস্থানের জন্য মরিয়া ছিলেন। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা তাদের মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেই মিথ্যা আশ্বাসে গত মাসে তারা বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে মুম্বইতে পৌঁছায়।
অভিযোগ অনুযায়ী, সীমান্ত পার করাতে অভিযুক্তরা কিছু সরকারি কর্মকর্তাকে ঘুষও দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ সুয়ো মোটো (নিজ উদ্যোগে) এফআইআর দায়ের করেছে এবং মালওয়ানির বাসিন্দা মনসার আহমেদ শেখকে গ্রেফতার করেছে। পলাতক তিন সহযোগী হচ্ছে- মেহেদি হাসান, সঞ্জীব ওরফে বচ্চন এবং আকাশ ওরফে শাহিন।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ওই চক্রের সদস্যরা বাংলাদেশি পরিচয় গোপন করতে একজন নারীর নামে একটি ভুয়া আধার কার্ডও তৈরি করে দেয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা-এর বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও, মানব পাচার প্রতিরোধ আইনেও মামলাও দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্র অতীতেও এমন মানব পাচারের ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উদ্ধারকৃত তিন নারীকে আপাতত এক শেল্টার হোমে রাখা হয়েছে এবং তাদের কাউন্সেলিং ও আইনি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।