তিন মাসে ৬৯ মামলায় বিএনপির ১০২৬ নেতাকর্মীর সাজা
গত তিন মাসে ৬৯টি নাশকতার মামলায় বিএনপির এক হাজার ২৬ জন নেতাকর্মীর সাজা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি এ তথ্য জানান।
বাসস জানিয়েছে, গতকাল পৃথক তিনটি মামলায় যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনুসহ দলের ৪৭ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশাররফ হোসেন এ রায় দেন।
তেজগাঁও থানায় করা নাশকতার মামলায় যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবসহ বিএনপির ১৪ নেতাকর্মীকে আড়াই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন ঢাকা সিটির সাবেক কাউন্সিলর মো. আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পলাশ, তেজগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, রাজ, সেলিম, কবির, শফিজুর রহমান শাফিজ, যুবদল নেতা জালাল, শ্রমিক দল নেতা শাহ আলম, আব্দুল জলিল, ইউসুফ হোসেন মিন্টু, তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু ও ছাত্রদল নেতা ঝন্টু।
আদালত তাঁদের প্রত্যেককে পেনাল কোডের ৪৩৫ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছর ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, সরকারের পদত্যাগের দাবিতে কর্মসূচিতে নাশকতার অভিযোগে ২০১৩ সালের নভেম্বরে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে পুলিশ।
এদিকে ২০১৮ সালে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় দায়ের নাশকতার মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনুসহ দলের ১৩ নেতাকর্মীকে আড়াই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিটভুক্ত অন্য পাঁচ আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন বিএনপি নেতা আহসান হাবিব হীরা, আবদুল্লাহ জামান আদিত্য চৌধুরী, আলমগীর হোসেন আজাদ, গিয়াস উদ্দিন মানিক, বদরুল আলম সবুজ, সোহাগ ভূঁইয়া, মোহাম্মদ ভাসানী চাকলাদার, মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন প্রমুখ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে নাশকতার অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহজানপুর থানায় এ মামলা করে পুলিশ।
অন্যদিকে ২০১৮ সালে রাজধানীর বনানী থানায় করা নাশকতার মামলায় বিএনপির ২০ নেতাকর্মীকে দুই ধারায় এক বছর ৯ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিটভুক্ত অন্য এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. মিজানুর রহমান, শাহজাহান সরকার, মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান আল মামুন, হাজি সৈয়দ আহমেদ মনজুর হোসেন, মো. ইমাম হোসেন, মো. সেলিম আহমেদ রাজু, শাজাহান বাবুর্চি, মিজানুর রহমান আক্তার ও মোহাম্মদ রেজাউর রহমান ফাহিম।