তুরস্কে মূল্যস্ফীতি কমে ৫২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে
তুরস্কে মূল্যস্ফীতি আগস্ট মাসে কিছুটা কমেছে। দেশটির পরিসংখ্যান বিভাগ জানিয়েছে, আগস্ট মাসে তুরস্কে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫২ শতাংশ। আগের মাসে অর্থাৎ জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি ৬১ দশমিক ৮ শতাংশে উঠেছিল। বিশ্বের যেসব দেশে মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি, তুরস্ক তার একটি।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে তুরস্কের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত বছর থেকে সুদের হার বাড়াতে শুরু করে। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মূল্যস্ফীতির রাশ টেনে ধরতে প্রথাগত মুদ্রানীতি অনুসরণের বিপক্ষে ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি তাঁর বিরোধিতা প্রত্যাহার করে নেন।
দেশটিতে ২০২২ সালের অক্টোবরে মূল্যস্ফীতির হার ৮৫ শতাংশে উঠেছিল। এই হার ছিল এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
২০২৩ সালের জুনে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি ৩৮ দশমিক ২ শতাংশে নেমেছিল। কিন্তু এরপর আবার মূল্যস্ফীতির হার বাড়তে শুরু করে। চলতি বছর এই হার বেড়ে ৭৫ শতাংশে ওঠে। তবে জুন মাস থেকে মূল্যস্ফীতি আবার কমতে শুরু করে।
আগস্ট মাসে খরচ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে শিক্ষা খাতে। এ ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি ছিল ১২০ দশমিক ৮ শতাংশ। এরপর ছিল আবাসনে ১০১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং হোটেল ও রেস্তোরাঁ খাতে ৬৭ দশমিক ৭ শতাংশ। তুরস্কের পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউট এই তথ্য দিয়েছে।
তুরস্কের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের ওপর একটি জরিপ চালিয়েছে। তাতে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ মূল্যস্ফীতি ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশে এসে দাঁড়াতে পারে।
জুলাই মাসে সর্বনিম্ন মজুরি বাড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু দেশটির সরকার তা পিছিয়ে দিয়েছে। উদ্দেশ্য হলো, মূল্যস্ফীতির রাশ টেনে ধরা। গত দুই বছরে তুরস্কে সর্বনিম্ন মজুরি বাড়ানো হয়েছিল।
তুরস্কের স্বাধীন অর্থনীতিবিদেরা অবশ্য মনে করেন, দেশটির আসল মূল্যস্ফীতি সরকারের দেওয়া হিসাবের চেয়ে বেশি। তাঁদের মতে, এই হার এরই মধ্যে ৯০ দশমিক ৩৫ শতাংশে পৌঁছে গেছে।