Trending

তুষারধসের ভয়াবহতা ও নিরাপদ থাকার উপায়

আলাস্কার দুর্গম অঞ্চলে ভয়াবহ তুষারধসে তিনজন স্কিয়ারের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার বিকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হেলি-স্কিয়িং করতে গিয়ে তারা ১০ তলার সমান উচ্চতার বরফের স্তূপের নিচে চাপা পড়েন।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যাভাল্যাঞ্চ সেন্টারের তথ্যমতে, প্রতি বছর দেশটিতে গড়ে ২৫ জন তুষারধসে মারা যান। বেশিরভাগ দুর্ঘটনাই দুর্গম অঞ্চলে ঘটে। তবে স্কি রিসোর্টগুলোতে এমন ঘটনা তুলনামূলকভাবে কম, কারণ সেখানে নিয়মিতভাবে তুষারধস নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণ করা হয়।

তুষারধস কীভাবে ঘটে?
তুষারধস সাধারণত ৩০ ডিগ্রি বা তার বেশি ঢালবিশিষ্ট পাহাড়ে ঘটে, যেখানে স্তরে স্তরে বরফ জমে থাকে। অতিরিক্ত চাপ, বাতাস, বৃষ্টি বা ভারী তুষারপাতের কারণে বরফের স্তর আলগা হয়ে নিচের দিকে ধসে পড়ে। তুষারধস মূলত দুই ধরনের হয়: ১. স্লাফ অ্যাভাল্যাঞ্চ: এটি সাধারণত আলগা বরফ দিয়ে গঠিত এবং তুলনামূলক কম ক্ষতিকর।
২. স্ল্যাব অ্যাভাল্যাঞ্চ: একে সবচেয়ে ভয়ংকর ধরণের তুষারধস বলা হয়, যেখানে বরফের একটি বড় স্তর একসঙ্গে ভেঙে পড়ে। অধিকাংশ প্রাণহানি এ ধরনের তুষারধসে ঘটে।

তুষারধস কীভাবে শুরু হয়?
তুষারধসের মূল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে আকস্মিক আবহাওয়া পরিবর্তন এবং বাতাস। বিশেষজ্ঞদের মতে, ৯০% তুষারধসের জন্য দায়ী হয় ভুক্তভোগী নিজেই বা তার সঙ্গী। বেশিরভাগ স্কি রিসোর্টে তুষারধস প্রতিরোধে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, যেমন- তুষারের স্তর পরীক্ষা, দূরবর্তী বিস্ফোরণের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ বরফ সরিয়ে ফেলা ইত্যাদি। তবে দুর্গম অঞ্চলে এসব প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন।

কীভাবে তুষারধস থেকে নিরাপদ থাকা যায়?
তুষারধসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ মাইল পর্যন্ত হতে পারে, যা দ্রুত পালানোর সুযোগ দেয় না। তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকা সবচেয়ে কার্যকর উপায়।  তুষারধসের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় প্রবেশের আগে আবহাওয়া পূর্বাভাস দেখে নেওয়া জরুরি, পাহাড়ি এলাকায় চলাফেরার সময় দলগতভাবে থাকা এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সরঞ্জাম সঙ্গে রাখা উচিত,  অপরিহার্য সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে:   অ্যাভাল্যাঞ্চ বীকন: এটি সংকেত পাঠিয়ে চাপা পড়াদের অবস্থান শনাক্ত করতে সাহায্য করে।  বেলচা: বরফ সরিয়ে আটকে পড়া ব্যক্তিকে উদ্ধারে কাজে লাগে। সন্ধানী ছড়ি: বরফের নিচে চাপা পড়া ব্যক্তির অবস্থান শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। এয়ারব্যাগ ব্যাকপ্যাক: এটি প্রয়োজনে বাতাসে ভাসতে সাহায্য করতে পারে।

যদি তুষারধসে আটকা পড়েন?
যদি কেউ তুষারধসে আটকা পড়ে, তবে যত দ্রুত সম্ভব মুখ ঢেকে রাখার চেষ্টা করা উচিত, যাতে নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য কিছুটা জায়গা পাওয়া যায়। তুষারের নিচে হাত নাড়ানোর সুযোগ কম থাকে, তাই বেঁচে থাকার জন্য ছোট ছোট জায়গা তৈরি করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সচেতনতা এবং সঠিক প্রস্তুতি থাকলে তুষারধস থেকে প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
Toto Slot
slot gacor
slot gacor
slot toto
Bacan4d Login
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot bacan4d
bacan4d togel
bacan4d game
slot gacor
bacan4d login
bacantoto 4d
toto gacor
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
slot77 gacor
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
bacansports
slot toto