দরপত্রের পদ্ধতি, একক দরদাতা যেভাবে ২৫০ কোটি ডলারের বিদ্যুৎকেন্দ্রকে অচল করে রেখেছে

বাংলাদেশের উচ্চাকাঙ্ক্ষী ১,৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পটুয়াখালী আল্ট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল কয়লা-চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত অবস্থায় জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য অপেক্ষমাণ। কিন্তু বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিট পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়ার কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও, প্রকল্পটি কার্যত অচল অবস্থায় রয়েছে—কারণ দীর্ঘমেয়াদি কয়লা সরবরাহ চুক্তি নিশ্চিত করতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে তিনবার দরপত্র আহ্বান করা হলেও, প্রকল্প পরিচালনাকারী আরপিসিএল-নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার লিমিমেড (আরএনপিএল) এখনো পর্যন্ত একটি দীর্ঘমেয়াদি সরবরাহকারী নিয়োগে ব্যর্থ হয়েছে।
প্রতিবারই একমাত্র যোগ্য দরদাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক ইয়ংতাই এনার্জি পিটিই লিমিটেড, যারা ধারাবাহিকভাবে এমন চড়া দাম চাইছে, যা প্রকল্প কর্তৃপক্ষ “অগ্রহণযোগ্য” হিসেবে বিবেচনা করেছে।
এর আগে আরএনপিএল এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরীক্ষামূলক চালনার জন্য ১০ লাখ টন কয়লা ক্রয়ের দরপত্র আহ্বান করেছিল। তখনও একমাত্র যোগ্য দরদাতা হিসেবে উঠে আসে ইয়ংতাই এনার্জি, যারা বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার বুকিত আসাম খনি থেকে এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ করছে।
এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারা জানান, দরপত্রের কঠোর শর্তাবলী, নকশাগত দিক থেকে প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থা এবং পক্ষপাতিত্বের বিষয়ে প্রবল সন্দেহ রয়েছে, আর এসবই অন্যান্য সম্ভাব্য সরবরাহকারীদের কার্যত প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দিয়ে দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে আরএনপিএল-এর লক্ষ্য ছিল ২০২৫ সালের মে ও জুন থেকে বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা। কিন্তু ২৫৪ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে চীনা কনসোর্টিয়াম (টিইপিসি-সিএইচইসি-সিডব্লিউইসি) দ্বারা নির্মিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বর্তমানে অচল অবস্থায় পড়ে আছে, কারণ এখন পর্যন্ত তারা একটি পাঁচ বছরের কয়লা সরবরাহ চুক্তি চূড়ান্ত করতে পারেনি, যার বার্ষিক মূল্যমান ৫ কোটি থেকে ১৫ কোটি ডলারের মধ্যে হতে পারে।
আরএনপিএল-এর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তৃতীয় দফার দরপত্র প্রক্রিয়ায় ১০টি কোম্পানি টেন্ডার ডকুমেন্ট কিনলেও—মাত্র চারটি কোম্পানি প্রস্তাব জমা দেয়। এর মধ্যে কেবল ইয়ংতাই টেকনিক্যালি যোগ্য বিবেচিত হয়—যা পুরো প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আরও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
একে-অন্যের ওপর দায় চাপানোর প্রচেষ্টা ও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য
প্রতিযোগিতামূলক দরদাতাদের আকর্ষণে বারবার ব্যর্থতা, সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে এখন দোষারোপের খেলায় রূপ নিয়েছে।
আরপিসিএল এবং আরএনপিএল-এর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সেলিম ভূঁইয়া দায় এড়ানোর চেষ্টা করে টিবিএস’কে বলেন, “টেন্ডার ডকুমেন্ট তো বিপিডিবি তৈরি করেছে। আমাদের কোম্পানি সচিব টেন্ডার প্রক্রিয়া সামলেছেন। আমি তো ইভালুয়েশন (দরপত্র মূল্যায়ন) কমিটিতেও নেই।”
তবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “বিপিডিবি একটি বিদ্যুৎ ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কয়লার দাম কম রাখার চেষ্টা করে, কারণ এটা বিদ্যুতের দামে সরাসরি প্রভাব ফেলে। আমরা শুধুমাত্র সেই বিষয়টি দেখি। অপরদিকে, দরপত্র সংক্রান্ত সব শর্ত নির্ধারণ করে আরএনপিএল বোর্ড।”
রেজাউল করিম নিশ্চিত করেন যে, আগের রাউন্ডগুলোর কম অংশগ্রহণের পর বিপিডিবি এবং বিদ্যুৎ বিভাগ উভয়ই আরএনপিএলকে টেন্ডারের শর্ত সহজ করতে পরামর্শ দিয়েছিল। তবে “নরিনকো বরং আরও কঠোর শর্ত আরোপের পক্ষে ছিল”- বলে জানান তিনি।
বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আরও দরদাতাদের আকৃষ্ট করতে বারবার দরপত্রের শর্ত সহজ করতে বলা হলেও—আরএনপিএল-এর বোর্ড মূলত আগের কড়া শর্তাবলি অপরিবর্তিত রেখেই এগিয়ে যায়।”
দরপত্রের পদ্ধতি: প্রতিযোগিতা ঠেকাতে সাজানো?
বিদ্যুৎ বিভাগের অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলো দাবি করেছে, আরএনপিএল এ প্রকল্পে দরপত্র আহ্বানের জন্য ‘এক ধাপ দুই খাম’ দরপত্র পদ্ধতি ব্যবহার করেছে—যা রামপাল ও মাতারবাড়ীর মতো একই ধরনের প্রকল্পগুলোর জন্য প্রচলিত ‘দুই ধাপ দুই খাম’ দরপত্র পদ্ধতির ব্যতিক্রম।
এই একধাপ পদ্ধতিতে কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাব একসঙ্গে জমা দিতে হয়। তবে যদি কারিগরি প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়, তাহলে আর সেই প্রতিষ্ঠানের আর্থিক প্রস্তাব খোলা হয় না—ফলে দ্বিতীয় কোনো সুযোগ থাকে না।
এই দরপত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বিতর্কিত শর্ত ছিল—প্রতিটি দরদাতাকে কয়লা খনির মালিকের সরাসরি কয়লা সরবরাহ প্রতিশ্রুতিপত্র (কমিটমেন্ট লেটার) জমা দিতে হবে। এটি অনেক প্রতিষ্ঠানের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়, কারণ খনি কর্তৃপক্ষ সাধারণত এমন প্রতিশ্রুতি দেয় না যতক্ষণ না দরদাতা দরপত্রে কারিগরি যোগ্যতা অর্জন করে—যেটি সাধারণত দুই ধাপের দরপত্র প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপে ঘটে।
তবে ইয়ংতাই এনার্জি, ইন্দোনেশিয়ার বুকিত আসাম খনি কর্তৃপক্ষের থেকে একটি “নিশ্চিত” প্রতিশ্রুতিপত্র দাখিল করে, যেখান থেকে পরীক্ষামূলক পরিচালনার জন্য পটুয়াখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ করা হয়। তাদের এই ধরনের প্রস্তুতি ও নিবিড় যোগসাজশই সন্দেহের উদ্রেক করছে।
মাত্র একটি সরবরাহকারীর উপযোগী করে বানানো টেন্ডার?
দরপত্রের ১৮৬ পৃষ্ঠার শর্তাবলীর গভীর বিশ্লেষণে দেখা গেছে—অনেকগুলো শর্তই সন্দেহজনকভাবে ইয়ংতাইয়ের বিদ্যমান কার্যক্রমের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে অভিযোগ করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
যেমন দরপত্রের শর্তে বলা হয়েছে, দরদাতার কয়লা খনির গত পাঁচ বছরের উৎপাদন সক্ষমতা কমপক্ষে ৭০ লাখ টন হতে হবে—যদিও পটুয়াখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রের বার্ষিক কয়লা চাহিদা ১৩ থেকে ৪০ লাখ টন। এছাড়া, খনিতে কমপক্ষে ১ কোটি ৮০ লাখ টন পুনরুদ্ধারযোগ্য কয়লার মজুদ থাকতে হবে এবং দরদাতাকে প্রমাণ করতে হবে যে সে গত পাঁচ বছরে কমপক্ষে ৮০ লাখ টন কয়লা সরবরাহ করেছে, যার মধ্যে অন্তত ৫০ লাখ টন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে সরবরাহ করতে হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এসব শর্ত অতিরিক্ত এবং বাস্তবতা-বর্জিত—বিশেষ করে তাদের জন্য, যারা সাধারণত ৩৫০-৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্ল্যান্টে কয়লা সরবরাহ করে থাকেন।
নাম না প্রকাশের শর্তে বিপিডিবি’র এক কর্মকর্তা মন্তব্য করেন, “এই শর্তগুলো নকশা অনুযায়ী প্রতিযোগিতামূলক দরদাতাদের বাদ দেওয়ার জন্যই নির্ধারণ করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, যে কোনো ট্রেডার যার অভিজ্ঞতা রয়েছে ৩৫০-৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা সরবরাহের (৯০ শতাংশ লোড ফ্যাক্টরে চলমান), সেই ট্রেডার অনায়াসেই ১,৩২০ মেগাওয়াটের প্ল্যান্টেও কয়লা দিতে পারবে, কারণ বছরের পুরো সময় তো বিদ্যুৎকেন্দ্র পূর্ণ সক্ষমতায় চলবে না।
দরপত্র পূর্ব বৈঠক হয়নি, মূল্য নির্ধারণে আচমকা সূচকের পরিবর্তন
এই দরপত্র প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার ঘাটতি ব্যাপকভাবে চোখে পড়েছে। আরএনপিএল কোনও দরপত্র পূর্ব সভা (প্রি-বিড মিটিং) আয়োজন করেনি—যেটি একটি প্রচলিত এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যেখানে কারিগরি অস্পষ্টতা দূর করার পাশাপাশি দরপত্রে আরও অংশগ্রহণকারীদের আসতে উৎসাহিত করা হয়।
এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হঠাৎ করে দাম নির্ধারণের ফর্মুলা পরিবর্তন। প্রক্রিয়ার মাঝপথে কয়লার মূল্য নির্ধারণে ব্যবহৃত সূচক আইসিই৩ থেকে বদলে দেওয়া হয় এইচবিএ২–যেটি বেশিরভাগ ইন্দোনেশীয় খনি কর্তৃপক্ষের কাছে অপরিচিত। দরদাতাদের এই নতুন সূচকের ভিত্তিতে প্রস্তাব দেওয়ার জন্য মাত্র ১৪ দিনের সময় দেওয়া হয়।
বিস্ময়করভাবে, শুধুমাত্র ইয়ংতাই এই পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত ছিল বলে মনে হয়—যা আবারও অসাধু সুবিধা লাভের অভিযোগকে উস্কে দেয়।
আরএনপিএল-এর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “এটা সম্ভব যে কিছু কোম্পানি ইচ্ছাকৃতভাবে অসম্পূর্ণ ডকুমেন্ট জমা দিয়েছিল, যাতে করে ইয়ংতাইয়ের জন্য রাস্তা পরিষ্কার হয়। তারা ‘ডামি বিডার’ হতে পারে।”
এলসির কঠিন শর্ত
দরপত্র নথি অনুযায়ী, প্রতিটি চালানের জন্য ঋণপত্র বা এলসি অবশ্যই লোডিং পোর্টে জাহাজ পৌঁছানোর নির্ধারিত সময়ের (লেক্যান) অন্তত সাত কর্মদিবস আগে বাংলাদেশের যেকোনো তফসিলভুক্ত ব্যাংকে খুলতে হবে। “লেক্যান” বলতে বোঝানো হয়, নির্দিষ্ট সেই সময়কাল, যার মধ্যে কোনো জাহাজকে বৈধভাবে পণ্য পরিবহনের জন্য লোডিং পোর্টে উপস্থিত হতে হয়। এটি “লে ডেজ ক্যানসেলিং” শব্দবন্ধের সংক্ষিপ্ত রূপ।
এই খাতে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এলসি না খোলা পর্যন্ত কোনো কয়লা ব্যবসায়ী বা খনি কর্তৃপক্ষ সাধারণত পরিবহন কার্যক্রম শুরু করে না—যদি না তারা পূর্বে দরদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করে থাকে এবং তাদের ওপর আস্থা থাকে।
বর্তমানে ইয়ংতাই এনার্জি, ইন্দোনেশিয়ার বুকিত আসাম খনি থেকে কয়লা এনে পটুয়াখালীর ১,৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের টেকনিক্যাল অপারেশনের জন্য সরবরাহ করছে।
অব্যবহৃত সম্পদ ও আকাশচুম্বী ব্যয়
সবদিক থেকেই প্রস্তুত থাকলেও, পটুয়াখালীর ১,৩২০ মেগাওয়াট আলট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এখনো বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যেতে পারেনি। আরপিসিএল-এর মে মাসের তথ্যমতে, ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে, এবং ৯ জুন ইউনিট-২ উৎপাদনে যায়। কেন্দ্রটি এ পর্যন্ত মোট ১,২৪৪ মেগাওয়াট নিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে।
তবে দীর্ঘমেয়াদি কয়লা সরবরাহ চুক্তি না হওয়ায়—বাণিজ্যিক উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না, যার ফলে চলমান জ্বালানি সংকটের মধ্যেও দেশের করদাতাদের অর্থ খরচ হচ্ছে শুধু কেন্দ্রটি অলস পড়ে থাকার কারণে।
সাধারণত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন সস্তা হয়, কিন্তু এই কেন্দ্রের বিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি সম্ভাব্য উৎপাদন খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১২ টাকা, যা দেশের প্রচলিত ৬ থেকে ৭ টাকার তুলনায় দ্বিগুণের কাছাকাছি।
এই উচ্চ উৎপাদন ব্যয়ের পেছনে দুটি বড় কারণ হচ্ছে—দরপত্রে সীমিত প্রতিযোগিতার কারণে কয়লার উচ্চমূল্য এবং প্রকল্পটির বিশাল মূলধনী বিনিয়োগ। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দীর্ঘদিন অলস পড়ে থাকলে যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়া, জাতীয় গ্রিড ও সাধারণ গ্রাহকদের ওপর বাড়তি চাপ তৈরিরও ঝুঁকি আছে।
সমাধানের উপায়: দরপত্রের শর্তে নমনীয়তা জরুরি
বিপিডিবির চেয়ারম্যান রেজাউল করিম পরিস্থিতির গুরুত্ব স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, শর্ত সহজ করে নতুন করে দরপত্র আহ্বান করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, এমনকি পাঁচ বছরের পরিবর্তে এক বছরের স্বল্পমেয়াদি চুক্তির বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “২৫০ কোটি ডলারের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র এভাবে অলস পড়ে থাকতে দেওয়া যায় না। যন্ত্রপাতি যদি ব্যবহৃত না হয়, তাহলে সেগুলোর কম্পোনেন্ট নষ্ট হতে শুরু করবে।”